নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বৃষ্টিতে প্রায় দুই দিন ভেসে যাওয়ার পর গতকালও চতুর্থ দিনের খেলা শুরু হয় দেরিতে। দ্বিতীয় সেশনে পাকিস্তানের দ্রুত রান তোলার চেষ্টা দেখেই বোঝা যাচ্ছিল, ঢাকা টেস্টে ফল খুঁজছে সফরকারীরা। শেষ পর্যন্ত ৪ উইকেটে ৩০০ রান তুলে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে পাকিস্তান। যে উদ্দেশ্যে এমনটা করা, তাতেও ষোলআনা সফল বাবর আজমের দল। চতুর্থ দিনে আলোকস্বল্পতার কারণে খেলা শেষ হয়েছে আগেই। আর তাতে প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে ৭৬ রান তুলতেই ৭ উইকেট খুইয়েছে বাংলাদেশ!
বাংলাদেশ যখন প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নামে, তখনও চতুর্থ দিনের খেলার দেড় সেশন বাকি ছিল। হাতে আছে আজকের গোটা দিনটাই। পাকিস্তানের লক্ষ্যটা এই পরিস্থিতি থেকেও বোঝা যায়-বাংলাদেশকে যত দ্রুত সম্ভব অলআউট করে ফলোঅনে ফেলে দ্বিতীয় ইনিংসে আবারও ব্যাটিংয়ে নামানো। আনুষ্ঠানিকতা নিজেদের এক ইনিংস দিয়েই সারতে চায় পাকিস্তান। বাকি কাজ বোলারদের ওপরে। বাংলাদেশকে দুবার অলআউট করতে ১৪৮ ওভার হাতে ছিল পাকিস্তানের।
বলা বাহুল্য, সে লক্ষ্যে এখন তর তর করে এগিয়ে যাচ্ছে বাবর আজমের দল। বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের ‘আত্মহত্যা’ সাজিদ খান-নোমান আলীদের কাজটা সহজ করে দিয়েছে।
আলো কম থাকায় প্রথম ওভারের পর পেসারদের বোলিং করাতে পারেনি পাকিস্তান। তার পরও বাংলাদেশের ব্যাটিং ¯্রফে দাঁড়াতেই পারেনি। ৭ উইকেটের ৬টিই নিয়েছেন সাজিদ খান, আরেকটি রান আউট। বাংলাদেশের হয়ে নাজমুল হোসেন শান্ত করেন ৩০, সাকিব আল হাসান দিন শেষ করেন ২৩ রানে অপরাজিত থেকে। আর কেউ দু অঙ্ক ছুঁতে পারেননি। তাই এখনও সামনে ঝুলছে ফলো অনের খড়গ। ফলোঅন এড়াতে চাই আরও ২৫ রান। পরিস্থিতি বলছে, এই রান তোলাই অনেক কঠিন হবে বাংলাদেশের জন্য।
আলোকস্বল্পতায় খেলা শেষ হওয়ায় বাংলাদেশের কাজটা একটু সহজ হয়েছে। গতকাল বাংলাদেশ খেলেছে ২৬ ওভার। আজ শেষ দিনে সর্বোচ্চ ৯৮ ওভার খেলা হবে। অর্থাৎ ফলোঅনে পড়লে ম্যাচ বাঁচাতে দুই ইনিংস মিলিয়ে মোট ১২৬ ওভার খেলতে হবে বাংলাদেশকে। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ব্যাটিং দেখে কাজটা কঠিনই মনে হচ্ছে সাকিব-তাইজুলদের জন্য।
এদিকে অতীত ইতিহাসও ঠিক সুবিধার নয়। দুই ইনিংস মিলিয়ে মিরপুরেই বাংলাদেশ ১২৬ ওভারের কম খেলেছে, এমন ম্যাচ আছে ৪টি। ২০০৭ সালে ঢাকার মিরপুরে ভারতের বিপক্ষে টেস্টে বাংলাদেশ দুই ইনিংস মিলিয়ে ৯৪.৫ ওভার ব্যাট করে ইনিংস ও ২৩৯ রানের ব্যবধানে হেরেছে। এরপর ২০১৪, ২০১৫ ও ২০১৮ সালে পর্যায়ক্রমে একইভাবে বাজে ব্যাটিংয়ের খেসারত দিয়েছে বাংলাদেশ। ২০১৪ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ইনিংস ও ২৪৮ রানে হেরেছিল বাংলাদেশ। সে ম্যাচে বাংলাদেশ দুই ইনিংস মিলিয়ে ১১৫.৪ ওভার খেলেছিল।
পাকিস্তানের বিপক্ষেও এর আগে ২০১৫ সালে ঢাকা টেস্টে দুই ইনিংস মিলিয়ে ১০৪.৩ ওভার ব্যাট করে ৩২৮ রানের হার দেখতে হয়। সর্বশেষ উদাহরণ ২০১৮ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এই ঢাকাতেই। দুই ইনিংস মিলিয়ে মাত্র ৭৫.১ ওভার ব্যাটিংয়ের খেসারত দিয়ে হারতে হয় ২১৫ রানে।
পাকিস্তান ১ম ইনিংস : ৯৮.৩ ওভারে ৩০০/৪ ডিক্লে. (আগের দিন ১৮৮/২) (আবিদ ৩৯, শফিক ২৫, আজহার ৫৬, বাবর ৭৬, ফাওয়াদ ৫০*, রিজওয়ান ৫৩*; ইবাদত ১/৮৮, খালেদ ১/৪৯, সাকিব ০/৫২, তাইজুল ২/৭৩, মিরাজ ০/৩৭)।
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস : ২৬ ওভারে ৭৬/৭ (সাদমান ৩, মাহমুদুল ০, শান্ত ৩০, মুমিনুল ১, মুশফিক ৫, লিটন ৬, সাকিব ২৩ ব্যাটিং, মিরাজ ০, তাইজুল ব্যাটিং; আফ্রিদি ০/১, নুমান ০/৩৩, সাজিদ ৬/৩৫, বাবর ০/১)। চতুর্থ দিন শেষে
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।