বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
দীর্ঘ ৬ বছর পর ফেনী প্রেসক্লাবের তালা খুলেছে। বিবাদমান ৪ টি কমিটির সাধারণ সম্পাদকরা নিজ নিজ কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেন। এরপর নিজেদের মধ্যে বিভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে জেলার কর্মরত পেশাদার সাংবাদিকরা। গতকাল বিকেল ৩ টায় ফেনীতে কর্মরত সকল সাংবাদিক ঐক্যবদ্ধ হয়ে ফেনী প্রেসক্লাব খোলার ব্যাপারে জেলা প্রশাসক বরাবরে আবেদন জানালে তিনি সবার সম্মতিক্রমে এবং শর্তসাপেক্ষে প্রেসক্লাব খুলে দেয়ার অনুমতি দেন। বিকেল ৪ টার দিকে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট গোলাম জাকারিয়া শহরের ট্রাংক রোডস্থ প্রেসক্লাবের সামনে এসে জেলার কর্মরত সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে ক্লাবের তালা খুলে দেন। এরপর এক এক করে জেলার কর্মরত অন্য সাংবাদিকরাও ক্লাবে প্রবেশ করতে থাকেন। তখন পুরো ক্লাব প্রাঙ্গণ আনন্দময় পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
এর আগে সকাল ১১টার দিকে সাংবাদিকরা শহরের জেল রোডস্থ শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এবং প্রেসক্লাবের ঐক্যের ব্যাপারে শপথ বাক্য পাঠ করেন।
সাংবাদিকরা বলেন, জেলার ইতিবাচক সাংবাদিকতাকে টিকিয়ে রাখার প্রশ্নে প্রেসক্লাবের তালা খোলার বিকল্প ছিলোনা।
সাংবাদিকরা জানান, দীর্ঘদিন বন্ধ ছিলো ফেনী প্রেসক্লাব। পেশাদার সাংবাদিকদের প্রাণের এ জায়গাটি বন্ধ থাকায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিল সাংবাদিকতা। সাংবাদিকদের মধ্যে বাড়ছিলো অনৈক্য। বিবাদমান এ অচলাবস্থা দূর করার প্রয়াসে ফেনীর সাংবাদিকরা এক হয়েছে ঐক্যের প্রশ্নে। যার ধারাবাহিকতায় ক্লাবে প্রবেশ করেছে সাংবাদিকরা। এখানে প্রতিটি টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি, প্রথম কাতারের জাতীয় দৈনিকের প্রতিনিধি, ফেনী থেকে প্রকাশিত সকল দৈনিক ও সাপ্তাহিক পত্রিকার সম্পাদক ও নির্বাহী সম্পাদকরা আছেন।
ফেনী রিপোর্টার্স ইউনিটির নেতৃবৃন্দ প্রেসক্লাবের সাথে একাত্বতা ঘোষণা করে বলেন, 'আমরা জেলার সকল সাংবাদিকরা চাই জেলার প্রাচীন এই সাংবাদিক সংগঠনটি প্রাণ ফিরে পাক। বিবেদ ভুলে সকল সাংবাদিকরা এক ছাদের নিচে আসুক। প্রেসক্লাবে সাংবাদিকরা ফেরায় ফেনী সাংবাদিকতা নতুন করে প্রাণ সঞ্চার হয়েছে। পেশাগত সাংবাদিকদের অনৈক্যের কারণে অপেশাদাররা মাথাচাড়া দিয়ে উঠে। প্রেসক্লাব খুলে দেয়ায় আশা করা যাচ্ছে সে অবস্থার অবসান ঘটবে।
উল্লেখ্য ২০১৫ সালের ২৫ ডিসেম্বর ক্লাবটিকে সীলগালা করে দেয় প্রশাসন। ক্লবের দুই পক্ষের মধ্যে বিবাদের কারণে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কায় জেলা প্রশাসন এ সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো। এরপর অবস্থার উন্নতি হলে খুলে দেয়া হয়। সর্বশেষ ২০১৬ সালের ৩ মে আবার সীলগালা করেছিলো।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।