পাকিস্তানের শিয়ালকোটের ঘটনায় ইতিমধ্যে ২৩৫জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে পুরস্কৃতও করা হবে একজনকে। ওই ব্যক্তি নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শ্রীলঙ্কান কারখানা ব্যবস্থাপককে উত্তেজিত জনতার হাত থেকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছিলেন। এই সাহসিকতার জন্য তাকে মেডেল দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।

গত শুক্রবার পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের শিল্পনগরী শিয়ালকোটে গণপিটুনিতে নিহত হন ৪৯ বছর বয়সী শ্রীলঙ্কান নাগরিক প্রিয়ান্থা। ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ওই সাহসী ব্যক্তিকে শনাক্ত করা হয়েছে। তার নাম মালিক আদনান। তিনি শ্রীলঙ্কান কারখানা ব্যবস্থাপক প্রিয়ান্থা দিয়াওয়াদনার সহকর্মী। একই কারখানায় উৎপাদন ব্যবস্থাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন আদনান।

ধর্ম অবমাননার অভিযোগে একদল উত্তেজিত জনতা প্রথমে কারখানায় ঢুকে প্রিয়ান্থাকে বের করে আনে। তাকে প্রকাশ্যে গণপিটুনি দেও হয়। গণপিটুনিতে তার মৃত্যু হলে লাশ পুড়িয়ে দেয়া হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, উত্তেজিত জনতাকে ঠেকিয়ে প্রিয়ান্থাকে বাঁচানোর চেষ্টা করছেন আদনান। কিন্তু তার চেষ্টা শেষ পর্যন্ত বৃথা যায়।

আদনান যে সাহসিকতা দেখিয়েছেন, সে জন্য তাকে ‘তমঘা-ই-সুজাত’ পদক দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। এক টুইট বার্তায় ইমরান খান লিখেছেন, জাতির পক্ষ থেকে তিনি মালিক আদনানের নৈতিক সাহস ও সাহসিকতাকে অভিবাদন জানাতে চান। তিনি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রিয়ন্থাকে বাঁচানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছিলেন। তারা তাকে তমঘা-ই-সুজাত পুরস্কারে ভূষিত করবেন।

প্রসঙ্গত, গুজব থেকে ঘটনাটি ঘটে। গুজব ওঠে যে প্রিয়ান্থা ধর্মীয় বাণী লেখা একটি পোস্টার ছিঁড়ে তা ডাস্টবিনে ফেলেছেন। এমন অভিযোগ ওঠার পর লোকজন উত্তেজিত হয়ে হামলা চালান। ইমরান খান ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বলেন, এটি পাকিস্তানের জন্য লজ্জার একটি দিন। পাশাপাশি তিনি ন্যায় বিচারের নিশ্চয়তাও দিয়েছেন। সূত্র: ডন।