মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : ভারত ও সংযুক্ত আরব আমিরাত নিজেদের মধ্যে কৌশলগত ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদারের লক্ষ্যে বেশ কয়েকটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। চুক্তির ফলে আরব আমিরাতের বিনিয়োগকারীরা ভারতে অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগ করতে পারবে। গত বৃহস্পতিবার নতুন দিল্লীতে সফররত আবুধাবির যুবরাজ জায়েদ আল নাহিয়ান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে সাক্ষাৎকালে এই চুক্তি স্বাক্ষর করেন। ভারতের অবকাঠামো খাতে আরব আমিরাতের বিশাল তহবিল আকর্ষণ করার লক্ষ্যেই বিনিয়োগ চুক্তি করেছে ভারত। আরব আমিরাত বিশ্বের বৃহত্তম বিনিয়োগকারী দেশ। বর্তমানে সারা বিশ্বে আবুধাবি বিনিয়োগ কর্তৃপক্ষের বিনিয়োগ আছে ৮০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। তবে ভারতের সঙ্গে বিনিয়োগের ব্যাপারে ঠিক কি ধরনের আলোচনা হয়েছে, তা বিস্তারিত জানা যায়নি।
তবে আরব আমিরাতের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনোয়ার গার্গাস সাংবাদিকদের জানান, তার দেশ ভারতে অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী। আমরা এখন ভারত সরকারের সঙ্গে বিনিয়োগের ক্ষেত্রগুলো নিয়ে আলোচনা করছি। ভারতে বর্তমানে আরব আমিরাতের ১০ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ রয়েছে। আনোয়র বলেন, ভারত একটি বিশাল অর্থনীতির দেশ। এখানে বহু খাত আছে যেখানে বিনিয়োগ করা যায়। এটা বোঝা যায়, আমরা বিনিয়োগ করলে ভারতের অর্থনীতি আরও গতিশীল ও ফুলেফেঁপে উঠবে। তবে এাঁ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, আমরা বিষয়টিকে অবকাঠামোগত দিক থেকে ভাবছি।
আনোয়ার আরও বলেন, আমরা যে ধরনের বিনিয়োগ অনুকুল পরিবেশ খুঁজছি, সে ধরনের পরিবেশ ভারতে রয়েছে। এখন আমরা সঠিক ভারতীয় চ্যানেলগুলো খুঁজছি, যার মাধ্যমে আমাদের দেয়া বিনিয়োগ প্রতিশ্রুতি রক্ষা হবে। তিনি বলেন, ভারত আমাদের বিনিয়োগ চাচ্ছে, আমরাও চাচ্ছি ভারতের বাজারে ঢুকতে। এ ক্ষেত্রে উভয় পক্ষেরই সমান সমান আগ্রহ আছে।
ভারতীয় এক কর্মকর্তা জানান, আরব আমিরাতের চাহিদা অনুযায়ী ভারতের নবগঠিত জাতীয় বিনিয়োগ ও অবকাঠামো তহবিল (এনআইআইএফ) বোর্ডে তাদের একজন প্রতিনিধি রাখার ব্যাপারে ভারত সম্মত হয়েছে। ভারতের অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে এই বোর্ড গঠন করা হয়েছে। গত ডিসেম্বরে ভারত সরকার এনআইআইএফ গঠনের ঘোষণা দেয় এবং বাজেটে এর জন্য ২০ হাজার কোটি রূপী বরাদ্দ রাখা হয়।
সরকার আশা করছে, বিদেশী বিনিয়োগকারীদের দ্বারা আরও ২০ হাজার কোটি রুপী এই তহবিলে যুক্ত হয়ে তহবিলকে আরও সমৃদ্ধ করবে।
গত আগস্ট মাসে ৩৪ বছরের মধ্যে প্রথম কোনো ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদি আরব আমিরাত সফর করেন। তখন তিনি এশিয়ার তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ ভারতের অবকাঠামো খাতে আমিরাতের বিনিয়োগ আহ্বান করেন। সে সময় মোদি আরও বলেন, তার দেশে এই খাতে এক ট্রিলিয়ন ডলারেরও বেশি বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে। মোদির ওই সফরে আমিরাতের বিনিয়োগকারীরা ভারতে বিনিয়োগের ব্যাপারে বিশেষভাবে আগ্রহী হন। তাৎক্ষণিকভাবে এই খাতে বিনিয়োগের লক্ষ্যমাত্রা পৌঁছায় ৭৫ বিলিয়ন ডলারে।
ভারতের মহাকাশ গবেষণায় সহযোগিতার বিষয়েও দু’ দেশের মধ্যে চুক্তি হয়েছে। মঙ্গলে ভারতের মহাকাশযান পাঠানোর ব্যাপারে সহযোগিতা করবে আমিরাত। এ ছাড়া নবায়নযোগ্য জ্বালানি, সাইবার অপরাধ বন্ধ ও দক্ষতা উন্নয়নের ব্যাপারেও উভয় দেশের মধ্যে চুক্তি হয়। দেশ দু’টির মধ্যে মোট চুক্তি স্বাক্ষর হয় ৯টি।
মোদির আমিরাত সফরের ৬ মাস পর আমিরাতের যুবরাজ ভারত সফর করলেন। বিশেষ করে মোদির সফরকালে দু’ দেশের মধ্যে নতুন করে যে সম্পর্কের সূচনা হলো, তারই বাস্তব প্রতিফলন ঘাটাতে যুবরাজের এই ভারত সফর। যুবরাজ আনোয়ার বলেন, ভারত এমনিতেই আমাদের কাছে গুরুত্ব বহন করে। ইরান বা পাকিস্তানের সাথে সম্পর্ক দিয়ে আমরা ভারতের সাথে সম্পর্ককে মূল্যায়ন করি না। লিভমিন্ট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।