মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : অভিনয় জগতে আসার আগ্রহ নেই সেই পাকিস্তানি নীলচোখা চা ওয়ালার। ইতোমধ্যে ফ্যাশন মডেলের খাতায় নাম লেখালেও তিনি অভিনয়ে আসতে নারাজ। কারণ হিসাবে অভিনয়কে সম্মানী পেশা নয় বলেই গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন আরশাদ খান। ইতোমধ্যেই বহু চলচ্চিত্র প্রতিষ্ঠানের অফার পেলেও আরশাদ খান বলেন, আমি চলচ্চিত্রে অভিনয়ের ব্যাপারে কখনো ভাবিনি। আমাদের পরিবারের কেউ এখনো পর্যন্ত এ পেশায় আসেনি। চলচ্চিত্রে কাজ করা সম্মান নয়, পাখতুনরা সবসময় সে কাজই করে যা সম্মানিত। যদি আমার এমন কোন সম্মানি পেশা মিলে তাহলে আমি সেখানেই কাজ করবো। তবে সহজেই খ্যাতি পাওয়া আরশাদ খান বলেন, হঠাৎ এ জনপ্রিয়তা আমার খুব ভাল লাগছে। এখন আমার ধারণা হচ্ছে আমাকে দেখতে সুদর্শন মনে হয়। লোকজন এখন আমার সঙ্গে ছবি তুলছে ও ভিডিও করছে। উল্লেখ্য, ফোটোগ্রাফার জাভেরিয়া বা জিয়া আলির তোলা ইসলামাবাদের এ চা ওয়ালার ছবি কিছুদিন আগে ভাইরাল হয় ইন্টারনেটে। এই ছবি দেখার পরে দু’দেশের মানুষই টুইটারে বহু মজার মন্তব্য করেন। কিন্তু কে এই চা ওয়ালা? ফোটোগ্রাফার জাভেরিয়া এখন যদি ইসলামাবাদের সেই চায়ের দোকানে তাঁকে খুঁজতে যান, তবে নাও পেতে পারেন। কারণ জাভেরিয়ার ছবি ভাইরাল হওয়ার পরে সেই চা ওয়ালার জীবন রাতারাতি পাল্টে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই শ্যুট করে ফেলেছেন তাঁর প্রথম মডেলিং অ্যাসাইনমেন্ট। অবাক লাগলেও সত্যি। পাকিস্তানের রিটেল সাইট ফিটিন.পিকে তাঁদের বিজ্ঞাপনের মডেল হিসেবে বেছে নিয়েছে ‘আরশাদ খান’কে। হ্যাঁ, এটিই চা ওয়ালার নাম। পাকিস্তানি সংবাদপত্র ‘ডন’-এ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন জানাচ্ছে, আরশাদ জানতেনও না যে কোনও এক ফোটোগ্রাফার তাঁর ছবি তুলেছেন। ইন্টারনেটে তাঁকে নিয়ে যে তুলকালাম হচ্ছে সেসব খবর তাঁর কানে পৌঁছায়নি। কারণ ১৮ বছরের আরশাদ কখনও স্কুলে যাননি। চায়ের দোকানে কাজ করতে করতেই হঠাৎই তিনি দেখেন কয়েকটি ছোট বাচ্চার হাতে রয়েছে লিফলেট জাতীয় কিছু এবং সেখানে রয়েছে তাঁর ছবি। দৌড়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারেন যে, একটি হেলিকপ্টার থেকে এই কাগজগুলি ফেলা হয়েছে। তখনও তিনি জানেন না যে তাঁকে হন্যে হয়ে খুঁজছে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমগুলি। শেষ পর্যন্ত আরশাদের স্টল যখন খুঁজে পাওয়া যায়, তখন এত লোকজন, ক্যামেরা ইত্যাদি দেখে প্রথমটায় ভয় পেয়ে যান আরশাদ এবং তাঁর মামা। চটজলদি গা ঢাকা দিয়েছিলেন আরশাদ এবং হুড়োহুড়ির মধ্যে নিজের ফোনটাও হারিয়ে বসেছিলেন। সেই দিনটা খুবই খারাপ কেটেছিল আরশাদের। কিন্তু কথায় বলে, কোনও ভাল কিছুর আগে খুব খারাপ একটা সময় আসে। আরশাদের ক্ষেত্রেও অনেকটা তাই হয়। পরের দিন থেকেই একেবারেই পাল্টে যায় তাঁর জীবন। কারণ, তিনি পেয়ে যান পাকিস্তানের রিটেল সাইট ফিটিন-এর মডেলিং অ্যাসাইনমেন্ট। ক্যামেরার সামনে অত্যন্ত সপ্রতিভ হয়েই পোজ দিয়েছেন আরশাদ। সূত্র : ডননিউজ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।