পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
ভোক্তাদের কাছে গনশুনানি না করেই তেলের দাম বাড়ানো বাস্তবসম্মত হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) চেয়ারম্যান গোলাম রহমান। তিনি বলেন, জ্বালানির মূল্য বারবার বাড়ানো বাস্তবসম্মত নয়। জ্বালানির দাম বাড়ানো হলে সবকিছু ভোক্তাদের ওপর গিয়ে পড়ে। জ্বালানির একটা স্থিতিশীল মূল্য থাকা প্রয়োজন।
গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আলোচনা সভায় মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া।
জ্বালানি অত্যন্ত সেনসেটিভ (সংবেদনশীল) বিষয় মন্তব্য করে গোলাম রহমান বলেন, জ্বালানির সঙ্গে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে জনগণ জড়িত। এর প্রভাব পরিবহন, কৃষিসহ উৎপাদনশীল সকল খাতে পড়ে। সরকার আন্তর্জাতিক দাম বৃদ্ধির কথা বলে দাম বাড়াচ্ছে। কিন্তু আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমলেও তো আর কমাচ্ছে না। সরকার এখান থেকে মুনাফা করছে। প্রকৃতপক্ষে সরকারের এখান থেকে মুনাফা করা উচিত না। কারণ ন্যায্যমূল্যে জ্বালানি সরবরাহ করা ও অর্থনীতিকে বেগবান করাই হচ্ছে সরকারের দায়িত্ব। এজন্য সরকার হাজার কোটি টাকা ভর্তুকিও দেয়।
তিনি বলেন, যখন জ্বালানি তেলের দাম কমছিল তখন আমরা একটা প্রস্তাব দিয়েছিলাম। প্রাইস স্টেবেলাইজেশন ফান্ড নামের একটা তহবিল গঠন করা। অতিরিক্ত মূল্যে যে জ্বালানি তেল বিক্রি হবে সেই অর্থটা তহবিলে রাখা। জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে গেলে সেই তহবিল ব্যবহার করে তা স্থিতিশীল রাখা। যদি এমন হয় তহবিল দিয়ে হচ্ছে না, তখন এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন গণশুনানির মাধ্যমে জ্বালানির দাম পূনর্র্নিধারণ করতে পারে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক এম এম আকাশ, ভোক্তা অভিযোগ নিষ্পত্তি জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক স্থপতি মোবাশ্বের হক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এনার্জি ইন্সটিটিউটের সহযোগী প্রফেসর ড. এস এম নাফিস শামস, ক্যাবের জ্বালানি উপদেষ্টা প্রফেসর এম শামসুল আলম প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।