পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অধ্যক্ষ কামরুন নাহার এমন কেউ নন যে তাকে ছাড়া ভিকারুননিসা নূন চলবে না। এ মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট। ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ কামরুন নাহার ও অভিভাবক ফোরামের নেতা মীর সাহাবুদ্দিন টিপুর ফোনালাপ ফাঁসের ঘটনায় দায়েরকৃত রিটের শুনানিকালে ওই মন্তব্য করেন আদালত।
গতকাল মঙ্গলবার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম এবং বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল ডিভিমন বেঞ্চে এ শুনানি হয়। শুনানি শেষে আদালত ফোনালাপ ফাঁসের ঘটনা তদন্তে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটির রিপোর্ট আগামী ৩১ জানুয়ারির মধ্যে দাখিলের নির্দেশ দেন।
আদালত বলেন, এটাই শেষ সময়। এরপর রিপোর্ট দাখিলের জন্য কোনো সময় দেয়া হবে না। শুনানির শুরুতে অ্যাডভোকেট আবদুল্লাহ আল হারুন ভূঁইয়া রাসেল বলেন, দীর্ঘদিন হয়ে গেছে আদালতের আদেশ স্বত্বেও ফোনালাপ ফাঁসের ঘটনায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটির রিপোর্ট এখনও দাখিল করা হয়নি। উনি অধ্যক্ষ পদে থাকা অবস্থায় তদন্ত হলে তা ঠিকমত হবে না।
তিনি বলেন, অধ্যক্ষের বিপক্ষে কেউ রিপোর্ট দেবে না। তাই রিপোর্ট দাখিলের আগ পর্যন্ত কামরুন নাহারকে ভিকারুননিসার অধ্যক্ষ পদে দায়িত্ব পালন থেকে বিরত রাখার আদেশ প্রার্থনা করছি। আর সরকারের প্রতি নির্দেশনা দিন দ্রæত যেন রিপোর্ট দাখিল করে।
এ সময় সরকারপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার রিটের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, এই রিট গ্রহণযোগ্য নয়। এ পর্যায়ে ভিকারুননিসার অধ্যক্ষের আইনজীবী মুশফিক উদ্দিন বখতিয়ার আদালতকে বলেন, ভিকারুন্নিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে রিট চলে না। এক্ষেত্রে একটা সিন্ডিকেটও আছে।
তিনি বলেন, কামরুন নাহার একজন বিসিএস ক্যাডার। তিনি একটি কলেজের অধ্যক্ষ পদে দায়িত্বে ছিলেন। তিনি এখানে থাকতে চান না। তাকে জোর করে ভিকারুননিসায় আনা হয়েছে। তখন আদালত বলেন, তিনি এমন কোনো লোক না যে তাকে ছাড়া ভিকারুননিসা চলবে না। এসব কথা কোর্টে এসে বলবেন না।
পরে আদালত ২০২২ সালের ৩১ জানুয়ারি এই রিট মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেন। গত ১৬ সেপ্টেম্বর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ কামরুন নাহার ও অভিভাবক ফোরামের নেতা মীর সাহাবুদ্দিন টিপুর ফোনালাপ ফাঁসের ঘটনায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটির রিপোর্ট আগামী ৩১ অক্টোবরের মধ্যে দাখিলের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
এর আগে গত ৯ আগস্ট শুনানিতে আদালত বলেন, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ কামরুন নাহার ফোনালাপে যে ভাষা ব্যবহার করেছেন, সত্যি হয়ে থাকলে অবশ্যই নিন্দনীয়। এটা অপ্রত্যাশিত। তার মুখ থেকে এ ধরণের ভাষা আশা করা যায় না। তার আগে ৮ জুলাই ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ ও অভিভাবক ফোরামের নেতার ফোনালাপ ফাঁসের ঘটনায় অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়।
রিটে অধ্যক্ষ কামরুন নাহারকে দায়িত্ব পালন থেকে বিরত রাখতে অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের দুই ছাত্রীর অভিভাবক মোহাম্মদ মোরশেদ আলম রিট দায়ের করেন। রিটে শিক্ষা সচিব ও শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক ও গভর্নিং বডির সভাপতিকে বিবাদী করা হয়েছে।
রিটকারীর আইনজীবী আবদুল্লাহ আল হারুন ভূঁইয়া রাসেল বলেন, ভিকারুননিসার অধ্যক্ষ কামরুন নাহার অডিওতে যেসব কথা বলেছেন, তাতে তিনি ওই কলেজের অধ্যক্ষ পদে থাকার নৈতিক অবস্থান হারিয়েছেন। কারণ তিনি অধ্যক্ষ পদে বহাল থাকলে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ওপর এর প্রভাব পড়বে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।