পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ভিকারুননিসা ছাত্রী অরিত্রীর আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে কারাগারে থাকা শিক্ষিক হাসনা হেনা জামিন পেয়েছেন। গতকাল বিকেলে ঢাকা মহানগর হাকিম বাকী বিল্লাহ পাঁচ হাজার টাকা মুচলেকায় এ জামিন মঞ্জুর করেন। এর আগে গত ৬ ডিসেম্বর তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। এদিকে, গতকাল বেলা ১টার দিকে শিক্ষক হাসনা হেনার মুক্তির দাবিতে আন্দোলনকারীরা অনশন ভেঙে ক্লাসে ফিরে গেছেন। এর আগে শিক্ষা সচিব সোহরাব হোসাইন সচিবালয়ে এক উপবৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠান থেকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ঘরে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানান।
আদালতে থাকা পল্টন থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) এসআই জালাল উদ্দীন বলেন, পুলিশি রিপোর্ট দাখিল না হওয়া পর্যন্ত পাঁচ হাজার টাকা মুচলেকায় আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেছেন।
হাসনা হেনার মুক্তির দাবিতে আন্দোলনকারী ছাত্রীরা বলেন, গতকাল টানা তৃতীয় দিনের মতো তারা হাসনা হেনার মুক্তির দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন। সকালের দিকে একদল শিক্ষার্থী ম্যামের মুক্তির দাবিতে অনশনে যায়। পরে দুপুর ১টার দিকে শিক্ষকরা এসে আন্দোলনকারী ছাত্রীদেরকে ঠান্ডা পানি খাইয়ে অনশন ভেঙে ক্লাসে ফিরিয়ে নেন। জান্নাতুল ফেরদৌস নামে এক শিক্ষক ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে বলেন, অনশন তখনই হবে, যখন অন্য কোনো রাস্তা খোলা থাকবে না।
শিক্ষা সচিব সোহরাব হোসাইন বলেন, সামনে একাদশ জাতীয় নির্বাচন। এ বিষয়টি মাথায় রেখে সব ধরণের অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়ানোর জন্য ছাত্রী, শিক্ষক ও অভিভাবক সবাইকে বিশেষ সতর্ক থাকা উচিত। তিনি বলেন, কোন শিক্ষার্থীর মৃত্যু দুঃখজনক ঘটনা। এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি হোক তা আমরা চাই না।
থানা, আদালত ও স্কুল সূত্রে জানা যায়, গত ৩ ডিসেম্বর ছাত্রীর সামনে বাবাকে অপমান করার অভিযোগে অরিত্রী অধিকারী (১৫) নামে নবম শ্রেণির এক ছাত্রী আত্মহত্যা করেন। এ ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটির সাধারণ ছাত্রী ও তাদের অভিভাবকরা অভিযুক্ত শিক্ষকদের শাস্তি এবং বিদ্যমান গভর্নিং বডির পদত্যাগসহ নানা দাবিতে লাগাতর আন্দোলন করে। এছাড়া অরিত্রীর বাবা আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ এনে অধ্যক্ষসহ তিন শিক্ষককে আসামী করে পল্টন থানায় একটি মামলা করেন। ৫ ডিসেম্বর রাতে উত্তরা থেকে শিক্ষক হাসনা হেনাকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ। পরদিন ৬ ডিসেম্বর তাকে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে রাখার আবেদন করলে আদালত হাসনা হেনাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।