পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি, বাংলা একাডেমির সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলামের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান।
এক শোকবার্তায় তিনি বলেন, ‘অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম ছিলেন বাংলাদেশের প্রধান নজরুল গবেষক ও শিক্ষাবিদ। মহান ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন এই কীর্তিমান পুরুষ। তাঁর জীবনাবসান দেশ ও জাতির জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। জাতি একজন সূর্যসন্তানকে হারালো।
ভিসি বলেন, ‘বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, ইতিহাস লেখক ও বরেণ্য গবেষক অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম শিক্ষকতার পাশাপাশি অত্যন্ত দক্ষতা ও বিচক্ষণতার সঙ্গে বিভিন্ন প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করেন। তিনি অসাম্প্রদায়িক ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গভীর আস্থাশীল একজন অভিভাবক ছিলেন। বাংলা একাডেমির সভাপতি হওয়ার আগে তিনি প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক পদেও দায়িত্ব পালন করেছেন। অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রথম নজরুল অধ্যাপক এবং নজরুল গবেষণা কেন্দ্রের প্রথম পরিচালক। তাঁর হাত ধরেই দেশে নজরুল গবেষণায় নতুন দিগন্তের সূচনা হয়। ছাত্রজীবনে ভাষা আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন তিনি। বায়ান্নোর একুশে ফেব্রুয়ারিসহ আন্দোলনের বিভিন্ন পর্যায়ের দুর্লভ কিছু আলোকচিত্রও নিজের ক্যামেরায় বন্দি করেছিলেন রফিকুল ইসলাম। যা দেশের মহান ভাষা আন্দোলনের ইতিহাসের অসামান্য সম্পদ হয়ে রয়েছে।’
প্রফেসর মশিউর রহমান বলেন, ‘বাঙালির মুক্তির সংগ্রামের এই প্রত্যক্ষ সাক্ষী জাতির গৌরবময় ইতিহাসও লিখে গেছেন বস্তুনিষ্ঠতার সঙ্গে। শহীদ বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে প্রথম গ্রন্থ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষের ইতিহাসের প্রথম গ্রন্থটিসহ প্রায় ৩০টিরও বেশি গ্রন্থ রচনা এবং সম্পাদনা করেছেন ৮৭ বয়সী এই প্রবীণ শিক্ষাবিদ। তিনি অসংখ্যা গুণগ্রাহী ও কৃতি শিক্ষার্থী রেখে গেছেন। যারা বর্তমানে ভাষা-সাহিত্য, সংস্কৃতিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী উদযাপনের মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে পালন করেছেন তিনি। তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একজন শিক্ষক ছিলেন। দেশের প্রগতিশীল আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাঁর অবদান বাঙালি জাতি শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে।’ শোকবার্তায় উপাচার্য প্রয়াত এই বুদ্ধিজীবীর বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং তাঁর শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।