Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

‘আনন্দ বেদনায় মিলন বিরহ সঙ্কটে’

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩০ নভেম্বর, ২০২১, ১২:০৫ এএম

দীর্ঘ ৩৭ বছর পর স্ত্রীকে নিজ চোখে দেখে আপ্লুত উমাপদ বাউরি। অস্ফুট স্বরে বলে উঠলেন, ‘তুই শাঁখাটা এখনও রাখলি বউ!’ দীর্ঘদিনের বিচ্ছেদ বেদনার পর স্বামীকে দেখে কান্না চেপে রাখতে পারেননি স্ত্রী ভবানী দেবীও। রোববার ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার বকখালিতে এ ঘটনা ঘটে। হ্যাম রেডিওর মাধ্যমে ৩৭ বছর আগে হারিয়ে যাওয়া স্ত্রীকে ফিরে পান উমাপদ বাউরি। ৩৭ বছর আগে কোনো এক বিকেলে হাটে গিয়ে আর বাড়ি ফেরেননি ঝাড়খণ্ডের বোকারো জেলার কুমারদাগার বাসিন্দা ভবানী দেবী। সেই সময় অনেক খোঁজ-খবর করেও সন্ধান মেলেনি তার। ঘটনার ১৫ বছর পর স্ত্রীর মৃত্যুর সনদ হাতে পেয়েছিলেন উমাপদ। ঘরে দুই মেয়ে সন্তান। তাদের কথা ভেবেই দ্বিতীয় বিয়ে করেছিলেন উমাপদ। তবে দীর্ঘ এ সময় পথেঘাটেই ঘুরে বেড়িয়েছেন ভবানী দেবী। ঘুরতে ঘুরতে শেষমেশ তার ঠাঁই হয় বকখালির সমুদ্রসৈকতের কাছে বানেশ্বর নামক স্থানে। সেখানে এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে কাজ করতেন ভবানী। কিছুদিন আগে একজন পর্যটকের মাধ্যমে ভবানী দেবীর নিখোঁজ হওয়ার পুরো খবর জানতে পারে ‘হ্যাম রেডিও’। রেডিওটির সংবাদকর্মী ও সুন্দরবন জেলা পুলিশ ভবানীর পরিচয় বের করেন। তারপর যোগাযোগ করা উমাপদের সাথে। তবে উমাপদের ঘরে ফেরায় বিপত্তি বাধে বাউরি সম্প্রদায়ের মানুষের রীতিনীতিতে। প্রতিবেশীরা কোনোভাবেই ভবানীকে স্বামীর ঘরে ফিরতে দিতে রাজি হচ্ছিলেন না। পরে বাউরি সম্প্রদায়ের গুরু ও স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা ভবানী দেবীকে উমাপদের ঘরে ফেরানোর ব্যবস্থা করেন। রোববার উমাপদ বাউরি ও তাদের প্রতিবেশীরা ভবানী দেবীকে স্বামীর ঘরে ফেরাতে যান সুন্দরবন জেলা পুলিশের এসপির কার্যালয়ে। সেখানে ৩৭ বছর পর মুখোমুখি হন উমাপদ ও ভবানী দম্পতি। হ্যাম রেডিও’র পশ্চিমবঙ্গ স্টেশনের সম্পাদক অম্বরিশ নাগ বিশ্বাস বলেন, প্রথমে ওই নারীর প্রতিবেশীরা তাকে ফিরিয়ে নিতে চায়নি। পরে স্থানীয় প্রশাসনের তৎপরতায় তাদেরকে রাজি করানো হয়। সুন্দরবন জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাকেশ সিংহ বলেন, স্বামীর ঘরে ভবানী দেবীকে ফেরাতে পেরে আনন্দিত আমরা। এবিপি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ‘আনন্দ বেদনায় মিলন বিরহ সঙ্কটে’
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ