Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ৩০ মে ২০২৪, ১৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২১ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

আলেপ্পোয় আবার যুদ্ধবিরতি

প্রকাশের সময় : ২২ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

সিরিয়ায় বোমা হামলা অব্যাহত রাখার জন্য পুতিনের সমালোচনা ফ্রান্স ও জার্মানির
ইনকিলাব ডেস্ক : সিরিয়ার তুমুল লড়াইবিক্ষুব্ধ আলেপ্পো শহরে আবার রাশিয়া সমর্থিত একতরফা যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সিরিয়ার সেনাবাহিনী। মানুষজনকে অবরুদ্ধ পূর্ব আলেপ্পো ছেড়ে যাওয়ার সুযোগ দিতে এ যুদ্ধবিরতি করা হয়েছে। রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম গত বৃহস্পতিবার বলেছে, সেনাবাহিনী আলেপ্পোর উত্তরে বুস্তান আল কাসের কোয়ার্টার এবং ক্যাসটেল্লো রোড এ দুটি এলাকায় এক্সিট কোরিডর খুলেছে। রাষ্ট্রীয় টিভি তে দাঁড়িয়ে থাকা বাস দেখা গেছে। আলেপ্পোর অবরুদ্ধ বিদ্রোহী-নিয়ন্ত্রিত অংশে সম্প্রতি রাশিয়া এবং সিরিয়ার বোমা হামলায় হাসপাতাল, বেকারি এবং ওয়াটার পাম্পিং স্টেশন বিধ্বস্ত হয়েছে এবং শত শত মানুষ এবং বেসামরিক নাগরিক মারা গেছে। আলেপ্পোয় দীর্ঘ অবরোধের পর একতরফা যুদ্ধবিরতির সমালোচনা করেছে জাতিসংঘ। তারা বলেছে, এটি তখনই সহায়ক হবে যদি ওই এলাকা ছেড়ে যেতে অনিচ্ছুকদের জন্যও এটি উপযোগী হয়। আলেপ্পোর বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত অংশে আটকা পড়েছে ২ লাখ ২৫ হাজার বেসামরিক নাগরিক। তারা এতদিন কোরিডোর থেকে দূরে ছিল। সিরিয়ার সেনাবাহিনী লোকজনকে শহর ছেড়ে যেতে বাধা দেয়া এবং তাদেরকে ঢাল হিসাবে ব্যবহার করার জন্য প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ বিরোধী বিদ্রোহীদের দায়ী করেছে। সিরিয়ান সেনাবাহিনী জানিয়েছে, গত মঙ্গলবার থেকে বিদ্রোহীদের অধিকৃত আলেপ্পো নগরী ত্যাগ করতে দেয়ার উদ্দেশ্যে অস্ত্রবিরতি কার্যকর করা হয়েছে। বিদ্রোহীদের দাবি, তাদের আত্মসমর্পণ করার জন্য মানসিক চাপ দেয়ার জন্যই এই অস্ত্রবিরতির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এর আগে রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানায়, বুস্তান আল-কাসর ও উত্তর আলেপ্পোর ক্যাস্টেলো রোডের কাছে দুটো করিডোর তৈরি করা হয়েছে যেন বিদ্রোহীরা বের হয়ে যেতে পারে। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে ওই করিডোরের কাছে সবুজ বাস দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। বিদ্রোহী অধিকৃত আলেপ্পোতে রাশিয়ান ও সিরিয়ান বোমা হামলা গত কয়েক সপ্তাহে বেশ কিছু হাসপাতাল, বেকারি ও পানির পাম্প ক্ষতিগ্রস্ত হয় ও শত শত সাধারণ নাগরিক নিহত হয়। গত বুধবার রাতে ফ্রান্স ও জার্মানির নেতারা সিরিয়ায় বোমা হামলা অব্যাহত রাখার জন্য রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের সমালোচনা করেন। জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মারকেল সিরিয়ার বোমা হামলাকে অমানবিক ও নিষ্ঠুর বলে অভিহিত করেন এবং ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদে বলেন, আলেপ্পোতে যা ঘটছে তা যুদ্ধাপরাধ। আমাদের প্রথম দাবি, সিরিয়ার শাসক ও তাদের পৃষ্ঠপোষক (রাশিয়া)দের এই বোমা হামলা বন্ধ করতে হবে। উভয় নেতাই হুশিয়ারি জানিয়ে বলেন, তারা রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা অব্যাহত রাখতে বাধ্য হবেন। ইইউ সম্মেলনের কয়েক ঘণ্টা আগে তারা এই সাবধানবাণী উচারণ করেন। এই সম্মেলনে সিরিয়া যুদ্ধে রাশিয়ার ভূমিকা আলোচনা করা হবে। ওলাঁদে এক প্রেস কনফারেন্সে বলেন, যা কিছুই হুমকি দিতে সক্ষম, তা-ই কাজ করার কথা। তার এই বক্তব্যে যোগ দিয়ে মারকেল বলেন, আমরা এই বিকল্প ছাড়তে পারি না। ওলাঁদে বলেন, পুতিন বৃহস্পতিবারের সাময়িক অস্ত্রবিরতি ১১ ঘণ্টা পর্যন্ত বর্ধিত করতে পারেন। তিনি আরও বলেন, আমরা বৈঠকের পর এই অস্ত্রবিরতি বর্ধিত করা হতে পারে বলেই ধারণা করছি। কিন্তু এটা নির্ভর করবে সিরিয়ার শাসকগোষ্ঠী ও রাশিয়ার ওপর।
ওলাঁদে বলেন, অল্প কয়েক ঘণ্টার অস্ত্রবিরতি ত্রাণ পৌঁছানো ও নাগরিকদের নিরাপদ স্থানে স্থানান্তরিত করার জন্য যথে নয়। এই সপ্তাহের শুরুতে সিরিয়ার সেনাবাহিনী দাবি করে, এই সাময়িক অস্ত্রবিরতিতে আটকে পড়া নাগরিকরা নিরাপদ স্থানে সরে যেতে পারবেন ও বিদ্রোহীরাও নগরী ত্যাগ করতে পারবে। কিন্তু বিদ্রোহীদের দাবি, পুরো নগরী অধিকার করার উদ্দেশ্যেই নাগরিকদের সরিয়ে দিতে চাইছে মস্কো ও বাশার আল-আসাদ সরকার। গার্ডিয়ান, রয়টার্স।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আলেপ্পোয় আবার যুদ্ধবিরতি
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ