বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র ১৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি সৈয়দ মো. সোহেল ও তার রাজনৈতিক সহযোগী হরিপদ সাহা হত্যা মামলার আরও দুই আসামীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। এ পর্যন্ত এজাহার নামীয় ১১ আসামীর মধ্যে চারজন গ্রেফতার হলেন।
কুমিল্লার র্যাব-১১-এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর মোহাম্মদ সাকিব হোসেন শনিবার সন্ধ্যায় গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেফতাররা হলেন- মামলার ৬ নম্বর আসামি আশিকুর রহমান রকি ও ৭ নম্বর আসামি আলম মিয়া।
মেজর মোহাম্মদ সাকিব হোসেন জানান, আশিককে লালমনিরহাটের চন্ডীবাজার থেকে এবং আলমকে কুমিল্লা জেলার আদর্শ সদর উপজেলার বড়জালা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। রাতেই তাদের থানায় হস্তান্তর করা হবে।
এর আগে কুমিল্লার চান্দিনা বাসস্ট্যান্ড থেকে বৃহস্পতিবার আসামি মো. মাসুমকে কুমিল্লার চান্দিনা বাসস্ট্যান্ড থেকে গ্রেফতার করা হয়। মাসুম হত্যা মামলায় ৯ নম্বর আসামি। এবং মামলা দায়েরের পরদিন বুধবার মো. সুমন নামে একজনকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে গ্রেফতার করা হয়। সে মামলার ৪ নম্বর আসামী।
কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কমল কৃষ্ণ ধর জানান, মামলায় ১৬ নং ওয়ার্ডের শাহ আলমকে প্রধান আসামী করে ১১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া অজ্ঞাতপরিচয় আসামী করা হয়েছে ১০-১২ জনকে।
গত ২২ নভেম্বর (সোমবার) বিকেলে থ্রিস্টার নামে নিজ কার্যালয়ে কাউন্সিলর সোহেলসহ গুলিবিদ্ধ হন অন্তত ৬ জন। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোহেল ও তার সঙ্গী হরিপদ সাহার মৃত্যু হয়। ঘটনার বর্ণনা দিয়ে ওসি জানান, কাউন্সিলর সোহেল সুজানগরে তার কার্যালয়ে বসে ছিলেন। এ সময় মুখোশ পরা ১৫ থেকে ২০ জন তাকে গুলি করে। এতে কাউন্সিলর সোহেল লুটিয়ে পড়েন। এ সময় গুলিবিদ্ধ হন হরিপদ সাহা, পাথুরীয়াপাড়ার মো. রিজু ও মো. জুয়েল এবং সুজানগর এলাকার সোহেল চৌধুরী ও মাজেদুল হক বাদল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।