পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কুমিল্লায় কাউন্সিলর সোহেল ও তার সহযোগী হরিপদ হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত প্রধান আসামি শাহ আলম পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন। গত বুধবার রাত দেড়টার দিকে কুমিল্লা সদর উপজেলার চানপুরস্থ গোমতী নদীর বেড়িবাঁধ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় তার হাতে থাকা ৭.৬৫ মডেলের একটি পিস্তল উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত শাহ আলম নগরীর ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের সুজানগর পূর্বপাড়া এলাকার বাসিন্দা।
পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মধ্যরাতে চানপুরস্থ গোমতী নদীর বেড়িবাঁধ এলাকায় অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের ধরতে জেলা ডিবি ও কোতোয়ালি থানা পুলিশের একাধিক দল বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়তে থাকে। পুলিশও আত্মরক্ষায় পাল্টা গুলি করে। উভয় পক্ষের গোলাগুলির একপর্যায়ে কয়েকজন সন্ত্রাসী পালিয়ে যায়। গোলাগুলি শেষে ঘটনাস্থলে একজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পিস্তল হাতে পড়ে থাকতে দেখা যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে শাহ আলম বলে শনাক্ত করে। আহত শাহ আলমকে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। গোলাগুলিতে পুলিশের দু’জন সদস্যও আহত হয়েছেন। এর আগে গত সোমবার মধ্যরাতে মামলার ৩ নম্বর আসামি নগরীর সুজানগর এলাকার মো. সাব্বির রহমান ও মামলার ৫ নম্বর আসামি নগরীর সংরাইশ এলাকার সাজন পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছিলেন।
এদিকে কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেল ও তার রাজনৈতিক সহযোগীর খুনের ঘটনার অস্ত্র ও অর্থের যোগানদাতাকে খুঁজে বের করার দাবি জানিয়েছেন, কাউন্সিলর সোহেলের ছোট ভাই ওই হত্যা মামলার বাদী সৈয়দ মোহাম্মদ রুমান। গত বুধবার প্রধান আসামি সন্ত্রাসী শাহআলম বন্দুকযুদ্ধে নিহত হওয়ার পর সুজানগর ও পাথুরিয়াপাড়া এলাকায় স্থানীয় লোকজন মিষ্টি বিতরণ করার এক পর্যায়ে সাংবাদিকদের সামনে এ দাবি তুলে ধরেন তিনি।
মামলার বাদী রুমান আরও বলেন, ওইসব সন্ত্রাসীদের শেকড় অনেক গভীরে। এখনও আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমরা চাই এধরণের নির্মম হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ডকে আইনের আওতায় আনা হোক। খুঁজে বের করা হোক তাদের ও। যারা এখনও সমাজের জন্য আতঙ্ক।
এছাড়াও গত বুধবার রাতে কাউন্সিলর সোহেল হত্যার আসামি ইমরান খন্দকারকে আটক করেছে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ইমরান জানায়, হত্যাকাণ্ড শেষে তিনটি কালো ব্যাগে ভর্তি অস্ত্র, গুলি এবং হাত বোমা সে ও জিসান সংরাইশ এলাকায় তাজিহা লজ নামক বাসার ভিতরে ফেলে দিয়ে চলে যায়। গতকাল বৃস্পতিবার দুপুরের পর তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।