পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পরিপাকতন্ত্রের রক্তক্ষরণ বন্ধে তাকে বিদেশে নেওয়া অতি জরুরি বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ শনিবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে বিএনপি চেয়ারপারসনের স্বাস্থ্যের সর্বশেষ অবস্থা তুলে ধরে তিনি এ কথা জানান।
ফখরুল বলেন, এখানে খালেদা জিয়ার যে অসুখ, সেটা হচ্ছে প্রধানত তার পরিপাকতন্ত্রে। তার অনেক অসুখ। এখন যেটা তার জীবনকে হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে, সেটা হচ্ছে তার পরিপাকতন্ত্রের রক্তক্ষরণ। তিনি বলেন, ঠিক কোন জায়গায় তার রক্তপাত হচ্ছে এটা বের করার জন্য আমাদের ডাক্তাররা গত কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন রকম কাজ করছেন। চিকিৎসার যে পদ্ধতি আছে, সেই পদ্ধতিতে তারা করেছেন। কিন্তু একটা জায়গায় এসে তারা এগোতে পারছেন না। কারণ সেই ধরনের কোনো টেকনোলজি বাংলাদেশে নেই, যে টেকনোলজি দিয়ে তারা সঠিক জায়গায় পৌঁছাতে পারেন। যে কারণে ডাক্তাররা বারবার বলছেন যে, তাকে একটা অ্যাডভান্স সেন্টারে নেওয়া দরকার। যেখানে এ ডিভাইসগুলো আছে, এ টেকনোলজিগুলো আছে।
সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে নব্বইয়ের ডাকসু ও ছাত্র ঐক্যের উদ্যোগে ডা. শামসুল আলমের ৩১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে মন্ত্রীদের বক্তব্যের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, দুর্ভাগ্যের ব্যাপার যে আমাদের দেশে যারা সরকারি দলের রাজনীতি করছেন, তাদের ন্যূনতম রাজনৈতিক শিষ্টাচার নেই, মানবিকতা বোধ নেই। নিজের সম্পর্কে তাদের এত বেশি দাম্ভিকতা যে তারা যেকোনো ব্যক্তি সম্পর্কে, বিশেষ করে খালেদা জিয়া সম্পর্কে কটূক্তি করতে দ্বিধা করেন না।
তিনি বলেন, সবকিছু ভুলে যায় তারা। ১/১১ তে যখন শেখ হাসিনা গ্রেফতার হলেন, তখন খালেদা জিয়া তার মুক্তির জন্য বিবৃতি দিয়েছিলেন। গণতন্ত্রে বিশ্বাস করা এমন একজন নেত্রীকে আজ তারা মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে। কেন দিচ্ছে সবাই আমরা বুঝি, কেন দিচ্ছে সবাই জানে। মির্জা ফখরুল বলেন, আপনি যদি তাকে সরিয়ে দিতে পারেন, তাহলে আপনি মনে করছেন যে আপনার সামনে বড় একটা কাঁটা সরে গেলো। আপনার ক্ষমতায় থাকা আপনার জন্য বেশি সুবিধা হবে।
আমানউল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে ও ফজলুল হক মিলনের পরিচালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন সাবেক ছাত্রনেতা শামসুজ্জামান দুদু, হাবিবুর রহমান হাবিব, খায়রুল কবির খোকন, নাজিম উদ্দিন আলম, জহির উদ্দিন স্বপন, মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, খন্দকার লুৎফুর রহমান, সাইফুদ্দিন মনি, আসাদুর রহমান খান আসাদ, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, কামরুজ্জামান রতন, শিরিন সুলতানা, আজিজুল বারী হেলাল, সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, আমিরুল ইসলাম আলিম, শহিদুল ইসলাম বাবুল, আবদুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল, ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) অধ্যাপক হারুন আল রশিদ প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।