নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
আগের ২৫ টেস্টের ৪২ ইনিংসে নয়বার ছুঁয়েছিলেন ফিফটি। দুবার পৌঁছেছিলেন নব্বইয়ের ঘরে। কিন্তু সেঞ্চুরি অধরাই রয়ে গিয়েছিল লিটন দাসের। অবশেষে ২৬তম ম্যাচে এসে অপেক্ষা ফুরোল তার। বিপর্যয়ের মাঝে দাঁড়িয়ে দায়িত্বশীল ব্যাটিং উপহার দিলেন তিনি। ছয় বছরের টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরির অনির্বচনীয় স্বাদ নিলেন বাংলাদেশের এই ডানহাতি উইকেটরক্ষক-ব্যাটার।
গতকাল পাকিস্তানের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম দিনের তৃতীয় সেশনে তিন অঙ্কের ম্যাজিক্যাল ফিগার স্পর্শ করেন লিটন। সেঞ্চুরির জন্য তাকে খেলতে হয়েছে ১৯৯ বল। তার দর্শনীয় ইনিংসে দশ চারের পাশাপাশি রয়েছে একটি ছয়। তিনি ফিফটি পেয়েছিলেন ৯৫ বলে। জহুর আহমেদ স্টেডিয়ামে মাঠে নেমেছিলেন দলের বিপর্যয়কর অবস্থাতেই। সেখান থেকে মুশফিকুর রহিমকে নিয়ে গড়েছেন ২০৪ রানের জুটি। বাংলাদেশের ইনিংসের ৭৮তম ওভারে নুমান আলির বল মিড অফে ঠেলে দিয়ে সিঙ্গেল নিয়ে মাইলফলকে পৌঁছান লিটন। বিপদ অবশ্য ঘটতে পারত। যদিও ডাইভ দিয়ে ক্রিজে ঢুকে পড়েন, তবুও হতে পারতেন রানআউট। পাকিস্তানের ফিল্ডারের থ্রো স্টাম্পে না লাগায় মেলে রক্ষা।
এই সেঞ্চুরিতে একটা রেকর্ডেরও ভাগীদার হয়েছেন লিটন। বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি টেস্ট খেলে পেলেন তিন অঙ্কের দেখা। ২৬তম টেস্টে তিন অঙ্কে পৌঁছে তিনি পাশে বসেছেন খালেদ মাসুদের। দিন শেষে লিটনের সংগ্রহ ১১৩। ২২৫ বলে, ১১টি বাউন্ডারি আর একটি ছক্কা ছিল তার ইনিংসে। পঞ্চম উইকেটে তার সঙ্গী মুশফিক অপরাজিত আছেন ১৯০ বলে ৮২ রান করে। চট্টগ্রামে টেস্টের প্রথম দিন শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ২৫৩।
এ বছরটা টেস্টে ভালোই কাটছে লিটনের। ২০২১ সালে সাদা পোশাকের ক্রিকেটে উইকেটরক্ষকদের মধ্যে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক লিটন। জানুয়ারি মাসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ থেকেই বেশ ধারাবাহিক তিনি। আগের পাঁচ টেস্টে তার ইনিংসগুলো হলো যথাক্রমে ৩৮, ৬৯, ৭১, ২২, ৫০, ৮, ১৭ ও ৯৫। ৯ ইনিংসে চারটি পঞ্চাশ ছাড়ানো ইনিংস তার। সেঞ্চুরিটাই কেবল পাচ্ছিলেন না। গত জুলাইয়ে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হারারে টেস্টে শতকের খুব কাছে পৌঁছে গিয়েছিলেন। কিন্তু ৯৫ রানে থামে তার ইনিংসটি। সেবার ছক্কা মারার চেষ্টায় উইকেট খুইয়েছিলেন। সেটা ছিল এই সংস্করণের ক্রিকেটে তার আগের সর্বোচ্চ ইনিংস। এর আগে ২০১৮ সালেও এই চট্টগ্রামেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৯৪ রানে একই কায়দায় আউট হয়েছিলেন তিনি।
তবে টি-টোয়েন্টিতে সুবিধা করতে পারছেন না। বিশ্বকাপে ব্যর্থতার কারণে পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের দল থেকে বাদ পড়েন তিনি। তাই দুঃসময় কাটানোর দায় ছিল লিটনের। টেস্ট খেলতে নেমেই রানের দেখা পেলেন তিনি। ২০১৫ সালের জুনে ঘরের মাঠ ফতুল্লায় ভারতের বিপক্ষে টেস্ট অভিষিক্ত লিটন ফেরাকে ঠিকই রাঙালেন সেঞ্চুরিতে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।