পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
বাংলাদেশ মুসলিম লীগ সভাপতি সাবেক এমপি এড. বদরুদ্দোজা সুজা এবং মহাসচিব কাজী আবুল খায়ের অবিলম্বে বেগম খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার আয়োজন করে দিতে সরকারের নিকট জোর দাবী জানিয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার এক যুক্ত বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, মালয়েশিয়ার স্বনামধন্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী ড. মাহাথির মোহাম্মদ বক্ষ ব্যাধির উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ গমন থেকে বিরত থেকে বরং জরুরী ভিত্তিতে দেশের হাসপাতালকে উন্নততর করে, অতঃপর নিজ দেশেই চিকিৎসা সেবা নিয়ে আত্মমর্যাদা ও দায়িত্ববোধের এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন। অথচ আমরা শীর্ষ নেতৃত্বসহ এমনকি সাধারণ রাজনৈতিক নেতা-কর্মীরা পর্যন্ত উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ পাড়ি দেয়ার কৃষ্টি অনুকরণ-অনুসরণ করেই চলেছি। রাজনৈতিক নেতাদের নিজ দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার প্রতি এমন অনাস্থা লজ্জাজনক হলেও এই পরিস্থিতি উত্তরণে রাজনীতিবিদরা মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রীর পদাঙ্ক অনুসরণ করতে পারেননি। রাজনৈতিক নেতাদের চিকিৎসার জন্য বিদেশ চলে যাওয়াই প্রমাণ করে তাদের নিজেদের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম এরকম কোন হাসপাতাল এখনো তারা প্রতিষ্ঠা করতে পারেননি। এমতাবস্থায় বেগম খালেদা জিয়ার বারবার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাওয়ার অনুমতি চেয়েও পাচ্ছেন না। মানবিক বিষয়কেও রাজনৈতিক ভাবে বিবেচনা করা হচ্ছে বলেই তিনি বিদেশ যাওয়ার অনুমতি পাচ্ছেন না বলে সাধারণ মানুষ বিশ^াস করে। নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, ভবিষ্যৎ বিবেচনায় আইনি জটিলতার অজুহাতে একজন জাতীয় নেতার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাওয়ার অনুমতি না পাওয়ার কলঙ্কময় কোন দৃষ্টান্ত রাজনৈতিক অঙ্গনে সূচিত না হোক। এরকম হলে তা অদূর ভবিষ্যতে এক বিভীষিকাময় প্রতিহিংসা-পরায়নতার জন্ম দেবে, যার দায়ভার সংশ্লিষ্ট সকলকেই বহন করতে হবে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে কালিমা-মুক্ত থাকতে, দল মত নির্বিশেষে সকল রাজনীতিবিদদেরই বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশে যাওয়ার অনুমতি প্রদানের পক্ষে কাজ করা উচিত।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।