বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
খুলনায় কিশোর গ্যাংয়ের ১০ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৬। তারা সবাই কিং অফ রূপসা নামে একটি গ্যাং এর সদস্য। অন্যদিকে, মহানগরীর বাগমারা এলাকার আলোচিত মো. আব্দুল্লাহ হত্যা প্রচেষ্টা মামলার আসামি মেহেদী হাসান হৃদয়কে গ্রেফতার করেছে র্যাব সদস্যরা। গতকাল বুধবার দুপুরে প্রেসব্রিফিংয়ে র্যাব-৬ অধিনায়ক লে. কর্ণেল মুহাম্মদ মোসতাক আহমেদ এ তথ্য জানিয়েছেন।
প্রেসব্রিফিংয়ে জানানো হয়, গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২টার দিকে কিং অফ রূপসা নামের কিশোর গ্যাংয়ের ১০ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রূপসা এলাকার কিং অফ রূপসা কিশোর গ্যাং এর ২৫ জন সদস্য রয়েছে। এরা অনেকে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী। এরা বিভিন্ন কিশোর অপরাধের সাথে জড়িত। এরা নিজেদের উদ্দেশ্যে হাসিলের জন্য নিজেদের বাবা-মাকে হেনস্তা করতেও পিছু পা হয় না। আটককৃত কিশোরদের কাছ থেকে নেইল কাটার, চিমটা, চাকু, মোবাইল ফোন, সিগারেট, মানিব্যাগ, টর্চ লাইট, ব্রেসলেট, লাইটার, গাড়ির চাবি, তিনটি মোটরসাইকেল ও নগদ কিছু টাকা উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতার হওয়া কিশোর গ্যাং এর সদস্যরা হলো, লবনচরা সুইচগেট আল আমিন সড়কের মৃত আশরাফ হাওলাদারের ছেলে মো. শাহীন হাওলাদার, মোক্তার হোসেন সড়কের সুলতান আলী শেখের ছেলে শফিকুল ইসলাম অপু, লবনচরা সুইচগেট এলাকার মো. নাসিার হাওলাদারের ছেলে মো: পলাশ হাওলাদার, মো. রুহুল আমিনের ছেলে মো. মেহেদী হাসান রিমন, মোক্তার সড়কের আকমান শেখের ছেলে হৃদয়, মো. রফিকুল ইসলামের ছেলে মো. হৃদয়, শফিকুল ইসলাম বাদলের ছেলে মো. মিরাজুল ইসলাম রাতুল, শিপইয়ার্ড এলাকার মো. আব্দুল ওহাব শেখের ছেলে মো. রাতুল ইসলাম জিসান, ইসলামবাগ সড়ক কাদের ভান্ডার গলির মো. মৃদুল হাসান তনু ও মো. ফেরদৌস গাজী। গ্রেফতার হওয়া কিশোরদের পিতা, মাতা ও এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে তাদের গ্রেফতার করা হয়। তাদের সংশোধনাগারে পাঠিয়ে সংশোধন করা হবে।
অন্যদিকে, মহানগরীর বাগমারা এলাকার আলোচিত মো আব্দুল্লাহ হত্যা প্রচেষ্টা মামলার আসামি মেহেদী হাসান হৃদয়কে গ্রেফতার করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার রাতে তাকে রূপসা উপজেলার কাজদিয়া সরকারি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে থেকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে এ মামলার অপর দু’ আসামিকে গ্রেফতার করে র্যাব। গত ১৭ নভেম্বর সাড়ে পাঁচটার দিকে বাগমারা মেইনরোড মোড়ে একটি সেলুনের মধ্যে মো. আব্দুল্লাহ অবস্থানকালে মোটরসাইকেল যোগে একদল সন্ত্রাসী ধারলো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। পরবর্তীতে আব্দুল্লাহকে মুমূর্ষু অবস্থায় খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায় এলাকাবাসী। তার মাথায় ১৮ টি সেলাই লাগে।
এ ব্যাপরে আব্দুল্লাহ’র পিতা বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা প্রচেষ্টা মামলা দায়ের করেন। গত ১৮ নভেম্বর রাতে মামলার অন্যতম পলাতক আসামি মো. পারভেজ ও তিন দিন পরে মো. রোহান শেখকে গ্রেফতার করে র্যাব। সর্বশেষ গত মঙ্গলবার রাতে মো. মেহেদীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। এ মামলায় জিজ্ঞাসাবাদে মেহেদী অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।