মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের দুই প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর তৃতীয় ও শেষ টেলিভিশন বিতর্কে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, নির্বাচনের ফলাফল হিলারি ক্লিনটনের পক্ষে গেলে তিনি ফলাফল মেনে নেবেন কি না। জবাবে ট্রাম্পের প্রতিক্রিয়া ছিল, সেটি নির্বাচনের ফল দেখেই সিদ্ধান্ত নেবেন তিনি। এদিকে জরিপে দেখা যাচ্ছে, এখনো প্রধান নির্বাচনী রাজ্যগুলোতে হিলারি ক্লিনটন এগিয়ে রয়েছেন। যৌন নিপীড়নের অভিযোগ ওঠার পর বিভিন্ন রাজ্যে ট্রাম্পের সমর্থন হ্রাস পেয়েছে। বিতর্কের সঞ্চালক দ্বিতীয়বার প্রশ্নটি করলে ট্রাম্প বলেন, এ বিষয়ে কিছুটা রহস্য রাখতে চান তিনি। এখনি সব বলে দিতে চান না। এর আগে ট্রাম্প মন্তব্য করেছিলেন, ৮ নভেম্বরের নির্বাচনে চূড়ান্ত কারচুপি হবে এবং তা হবে হিলারি ক্লিনটনের পক্ষে। উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের লাস ভেগাসের ইউনিভার্সিটি অব নেভাডায় ফক্স নিউজের প্রেজেন্টার ক্রিস ওয়ালেসের সঞ্চালনায় প্রায় দেড় ঘণ্টার শেষ দফার এই বিতর্কে উভয় প্রার্থী প্রায় ৪০ মিনিট করে সময় পান। প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ট্রাম্পের নির্বাচন কারচুপির বক্তব্যের সমালোচনা করেছেন। হিলারি ক্লিনটনও ওই বক্তব্যের সমালোচনা করে প্রশ্ন করেন যে, ফল ট্রাম্পের বিপক্ষে গেলে তিনি মানবেন কি না। এর আগে অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ, গর্ভপাত, রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন এবং অবৈধ অভিবাসন নিয়ে তুমুল বাদানুবাদ হয় দুই প্রার্থীর মধ্যে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালে ওসব ইস্যুতে হিলারি ক্লিনটন কি উদ্যোগ নিয়েছিলেন বারবারই সে প্রশ্ন সামনে নিয়ে আসেন ট্রাম্প। পর্যবেক্ষকেরা বলছেন, সর্বশেষ বিতর্কে দুই প্রার্থী আগের দিনের বিতর্কের চেয়ে কম আক্রমণাত্মক ছিলেন। তবে তৃতীয় ও শেষ বিতর্কেও ট্রাম্পকে ধরাশায়ী করেছেন হিলারি। বিতর্কের শুরুতে একে অপরের সঙ্গে হাত মেলাননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পদপ্রার্থী হিলারি ক্লিনটন ও ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিতর্ক শেষেও ট্রাম্পের সঙ্গে হাত না মিলিয়ে শুধু উপস্থাপকের সঙ্গে হাত মিলিয়ে বিতর্ক মঞ্চ ত্যাগ করেন হিলারি ক্লিনটন। বিষয়টি তার সমর্থকদের মধ্যে কোনো প্রভাব ফেলবে কিনা সে বিষয় কোনো মন্তব্য না করে সিংবাদ মাধ্যম জানায়, দুই প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হাত না মিলিয়ে নিজ নিজ পথে হেঁটে চলে গেলেন। এর আগে আগ্নেয়াস্ত্র, গর্ভপাত, মাইগ্রেশন ও ট্যাক্স নিয়ে বেশ তেতো আলাপ চলে ট্রাম্প ও হিলারির মধ্যে। হিলারি আগ্নেয়াস্ত্র, গর্ভপাত, মাইগ্রেশন ও চলতি ট্যাক্স ব্যবস্থাকে সমর্থন করে। অন্যদিকে এই বিষয়গুলো নিয়ে তীব্র সমালোচনরা পাশাপাশি হিলারিকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করে ট্রাম্প। প্রতি উত্তরে হিলারিও ট্রাম্পের ব্যক্তিগত ট্যাক্স প্রদান বিষয়টি সামনে আনে এবং এ ছাড়াও গর্ভপাত ও মাইগ্রেশন বিষয়ে বিভিন্ন সময় ট্রাম্পের করা মন্তব্যের সমালোচনা করেন। বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।