মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : ভারতকে অবশেষে চীনের মতো হতাশ করলো মিয়ানমারও। সন্ত্রাস প্রশ্নে পাকিস্তানকে একঘরে করতে আর কাউকে কাছে না পেয়ে অবশেষ মিয়ানমারের নেত্রী অং সাং সু চি’কে পাশে পেতে চেয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শান্তিতে নোবেলজয়ী এই নেত্রীর সাম্প্রতিক ভারত সফর ছিল তার জন্য উৎকৃষ্ট সময়। কিন্তু ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তথা ভারত সরকারকে এক প্রকার হতাশই করলেন সু চি। স্পষ্ট বলে দিলেন, সন্ত্রাসবাদকে কোণঠাসা করতে তিনি রাজি। কিন্তু কোনো দেশ বা সংগঠনের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে নারাজ।
তিন দিনের সফরে ভারতের মাটিতে পা রাখেন সু চি। বুধবার সফরের শেষ দিনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক ছিল মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী সু চির। সেখানেই সে দেশের রাখাইন এলাকার জাতিদাঙ্গা এবং সাম্প্রতিক সন্ত্রাসের নিন্দা করে নয়াদিল্লি। উদ্দেশ্য ছিল, সন্ত্রাস প্রশ্নে নেপিদাওয়ের সহমর্মিতা পাওয়া এবং পাকিস্তানকে চাপে ফেলা। এককথায় সে কাজে সাফল্য অর্জন করতে পারলো না ভারত। সু চি এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, সন্ত্রাসবাদকে একঘরে করতে হবে, কোনো দেশ বা ব্যক্তিকে নয়। অবশ্য আপাত দৃষ্টিতে মিয়ানমারের সঙ্গে ভারতের এই দ্বিপক্ষীয় বৈঠক কিছুটা হলেও সফল। নিরাপত্তার প্রশ্নে নয়াদিল্লির পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন সু চি। মিয়ানমারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তাদের জমিকে কোনো প্ররোচনাতেই ভারত-বিরোধী কার্যকলাপের জন্য ব্যবহার করতে দেয়া হবে না। পাশাপাশি শক্তি, ব্যাংকিং এবং বীমা ক্ষেত্রে তিনটি দ্বিপক্ষীয় চুক্তিও সই করেছে ভারত-মিয়ানমার। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বিকাশ স্বরূপের কথায়, পূর্ব দেশের এক পুরনো বন্ধু, আমাদের যৌথ প্রগতির অংশীদার মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলরকে প্রধানমন্ত্রী স্বাগত জানিয়েছেন। মোদি নিজেও মিয়ানমারকে বিশ্বস্ত বন্ধু হিসেবেই উল্লেখ করেছেন। কিন্তু শ্রীলঙ্কা বা ভুটানের মতো সার্কভুক্ত দেশগুলো যেভাবে পাকিস্তান প্রশ্নে কোমর বেঁধে ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছিল, সে চেষ্টা দেখা যায়নি সু চি-র মধ্যে। সন্ত্রাসবাদের প্রসঙ্গে তার বক্তব্য, সন্ত্রাসবাদ গোটা বিশ্বের সমস্যা। একে কোণঠাসা করে নির্মূল করতে হবে। তবে আমি কোনো ব্যক্তি বা সংগঠন বা কোনও দেশের নিরিখে বিষয়টিকে দেখতে চাই না। আসলে সু চি-র ইঙ্গিত স্পষ্ট। চীনের অবস্থানকে অনুসরণ করেই পাকিস্তানের সঙ্গে বৈরিতার পথে যেতে চাইছে না মিয়ানমার। এ বিষয়ে চীন এবং মিয়ানমারের মধ্যে যথেষ্ট বোঝাপড়া আছে বলেই মনে করা হচ্ছে। বিবিসি, রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।