বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সম্পত্তি লিখে না দেয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে পিতার হাতের কবজি কেটে ফেলেছে ছোট ছেলে। মাগুরা সদর উপজেলার হাজরাপুর ইউনিয়নের উথলী গ্রামে মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) সকালে বাড়ির পার্শ্ববর্তী একটি চায়ের দোকানে এ ঘটনা ঘটেছে।
এ ঘটনায় পিতা শহীদুল হক সাধুকে (৭০) মাগুরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার অবস্থা খুবই আশংকাজনক। এদিকে ছোট ছেলে হানিফ মিয়া ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, বিয়ের পর থেকে স্ত্রীকে নিয়ে আলাদা থাকেন হানিফ। আর তার পিতা শহীদুল হক বড় ছেলে গোলাম মোস্তফার সঙ্গে থাকেন। পিতা ও ছোট ছেলে আলাদা হলেও মাঝে মাঝেই ফসলি জমি লিখে দেয়ার জন্য পিতাকে চাপ দিতো ছোট ছেলে হানিফ। বিষয়টি নিয়ে তাদের মধ্যে বিভিন্ন সময় কথা কাটাকাটি হতো। আর সেই সম্পত্তি লিখে না দেয়ার জেরেই পিতা শহীদুলের হাতের কবজি কেটে দিয়েছে ছোট ছেলে হানিফ।
এ ঘটনায় বড় ছেলে জানিয়েছেন, আব্বা সকালে বাড়ির পাশের চায়ের দোকানে চা খাচ্ছিলেন। এই সময় হঠাৎ করেই সেখানে ছুরি নিয়ে হাজির হয় হানিফ মিয়া। সে আব্বাকে এলোপাতাড়ি কোপায়। এতে করে আব্বার হাতের কবজি কেটে পড়ে যায়। পরে দোকানে থাকা মানুষদের সহযোগিতায় আব্বাকে হাসপাতালে নেয়া হয়। তার অবস্থা এখন আশঙ্কাজনক।
তিনি আরও জানান, হানিফ সব সময় সন্দেহ করতো, আব্বা আমার মেয়েকে হয়তো তার কিছু জমি লিখে দেবেন। আর এই কারণেই এই কাণ্ড করেছে সে।
এ ঘটনায় মাগুরা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডাক্তার শফিউর রহমান জানিয়েছেন, বৃদ্ধ শহীদুল হকের মাথা এবং কপাল বরাবর ধারালো ছুরির আঘাত লেগেছে। এছাড়া তার হাতের কবজি কেটে গেছে। বর্তমানে তার চিকিৎসা চলছে।
মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঞ্জুর আলম জানিয়েছেন, এখন হাসপাতালে রয়েছি আমি। শহীদুল হকের চিকিৎসা চলছে। এ ঘটনায় জড়িত ছোট ছেলে হানিফ
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।