মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
সর্বভারতীয় উলামা ও মাশাইখ বোর্ড এবং জামাআত-ই-আহল-ই-সুন্নাত, কর্ণাটক ভারতে প্রথমবারের মতো ইমাম নাসাই কর্তৃক রচিত বিখ্যাত বই “খাসাস-ই-আলী”-এর ভাষান্তর গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে। ইসলামিক কালচারাল সেন্টার (ড. সৈয়দ আফজাল পীরজাদা রিসার্চ সেন্টার) এটি প্রকাশ করেছে। বইটিতে ১২০০ পৃষ্ঠা রয়েছে।–নয়াদিল্লি টাইমস
এ উপলক্ষে একটি সিম্পোজিয়ামের আয়োজন করা হয়, যাতে বিভিন্ন ইসলামি দেশের (তুরস্ক, ইরাক, ইরান ও ইন্দোনেশিয়া) বিপুল সংখ্যক প্রতিনিধি, অধ্যাপক, গবেষক, বুদ্ধিজীবী এবং সাংবাদিকরা অংশগ্রহণ করেন এবং তাদের মতামত ব্যক্ত করেন।
সভাপতির ভাষণে এআইইউএমবি-এর প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি সৈয়দ মুহাম্মদ আশরাফ মিয়া বলেন, আরবির পরে ফার্সি ভাষায় ইসলামী সাহিত্যের সবচেয়ে বড় সংগ্রহ থাকা সত্ত্বেও, ফার্সি উৎস ব্যবহার করার জন্য এখনও কোন স্থিতিশীল ব্যবস্থা গড়ে ওঠেনি। তিনি আরও বলেন, সৈয়দ তানভীর হাশমীর দল ও বোর্ড সদস্যরা যে সাহিত্যকর্ম করেছেন তা প্রশংসনীয়। “এই বরকতময় কাজটি প্রকৃতপক্ষে নবীর সাহাবীদের সুন্নাত। কারণ, তারা এভাবেই মুমিন ও মুনাফিকদের মধ্যে পার্থক্য করতেন। কারা হযরত আলীর রা. স্মরণে অংশগ্রহণ করেছে এবং কারা তা পরিহার করেছে, তা তারা পরীক্ষা করতেন।
এই উপলক্ষে তুরস্কের রাষ্ট্রদূত বলেন, আমি হযরত সৈয়দ মোহাম্মদ আশরাফ এবং হযরত সৈয়দ তানভীর হাশমীকে এই গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্য অভিনন্দন জানাই। তিনি বলেন, এই ঐতিহাসিক মুহূর্তে আমাদের উপস্থিতি নিজেই আমাদের জন্য একটি বড় আশীর্বাদ। ইরাক প্রজাতন্ত্রের ন্যাশনাল জেনারেল গাজী আল-তওফী বলেন, হযরত আলী জ্ঞানের প্রধান দ্বার। ইরান প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রদূত ডক্টর আলী চেগনি বলেছেন, হযরত আলীকে রা. ভালবাসেন এমন লোকের সংখ্যা এবং তাঁর উপর লেখা বই ভারতে সবচেয়ে বেশি।
হজরত সৈয়দ মোহাম্মদ আশরাফ কছুছভী অডিটোরিয়ামে উপস্থিত সকল বিশিষ্ট প্রতিনিধিদের সাথে সাক্ষাত করেন। তাদের মধ্যে ভারতে তুরস্ক প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রদূত ফিরাত সুনেল, ইরাক প্রজাতন্ত্রের কনসাল জেনারেল মহামান্য গাজী আল-তৌফি, ইন্দোনেশিয়ার কনসাল জেনারেল মহেশ সাহারিয়া, ইরান প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রদূত ড. আলী চিঘনি, প্রফেসর আখতারুল ওয়াসে, প্রফেসর খাজা মোহাম্মদ ইকরামুদ্দিন, প্রফেসর গোলাম ইয়াহিয়া আনজুম, প্রফেসর ওয়াহিদ নাজির, প্রফেসর ড. আলিম আশরাফ, অধ্যাপক আলভী, হাফিজ মোহাম্মদ আলী কাদরী, মুফতি মোহাম্মদ আলী কাজী মিসবাহী। সংবর্ধনা পর্বে একটি মোমেন্টো এবং একটি সুন্দর ফুলের তোড়া ও রুমাল প্রদান করা হয়।
সকল অতিথিকে অনুষ্ঠানের মডারেটর হযরত মাওলানা ডক্টর মুহাম্মাদ আলী কাজী, জামায়াত-এ-আহলে সুন্নাত কর্ণাটক এবং দিল্লির উলামা ও মাশায়েখ বোর্ড অফিসের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আজিম আশরাফ শরহে -খাসাইস-ই-আলী কিতাবের একটি কপি প্রদান করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।