মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
আরিয়ানের জামিনের বিস্তারিত রায়ের প্রতিলিপিতে শনিবার হাই কোর্ট জানিয়েছে, ষড়যন্ত্র করেছেন আরিয়ান, তেমন প্রমাণ নেই এনসিবির কাছে। মাদক মামলায় আরিয়ান খান যে ষড়যন্ত্র করেছেন, প্রাথমিকভাবে তেমন কোনো প্রমাণ মেলেনি। বোম্বাই হাই কোর্টে আরিয়ানের জামিনের বিস্তারিত রায়ে এমনটাই উঠে এসেছে। এরপর থেকেই প্রশ্নের মুখে এনসিবি। শুরু থেকেই কেন্দ্রীয় মাদক নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে একহাত নিয়েছেন মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী নবাব মালিক। এমনকি এনসিবির আধিকারিকদের বিরুদ্ধে শাহরুখ পুত্রকে ‘কিডন্যাপ’ করবার অভিযোগও তুলেছিলেন নবাব মালিক। এনসিপি নেতা এবার আক্রমণাত্মক টুইট বার্তায় লিখলেন, ‘হাই কোর্টের রায়ই প্রমাণ করে যে, মুক্তিপণের জন্য আরিয়ানকে অপরহরণ করা হয়েছিল। আগে থেকেই গোটা পরিকল্পনা তৈরি ছিল, কিন্তু পাললিক ডোমেনে একটি সেলফি ফাঁস হয়ে যাওয়ার জেরেই পুরো পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। এখন সবটা পানির মতো পরিষ্কার’।
গত ২৮ অক্টোবর মাদক মামলায় জামিন পান আরিয়ান। মুম্বাইয়ের আর্থার রোড জেল থেকে ছাড়া পান ৩১ অক্টোবর। শনিবার সেই মামলার বিস্তারিত রায় প্রকাশ করেছে বম্বে হাইকোর্ট। ১৪ পৃষ্ঠার রায়ে বিচারপতি নীতিন সামব্রে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর (এনসিবি) তরফে তোলা দাবি খারিজ করেছেন। এনসিবি বলেছিল, মাদক মামলায় ষড়যন্ত্রের জন্য আরিয়ান-আরবদের একই অপরাধের উদ্দেশ্য ছিল বলে। হাইকোর্ট জানিয়েছে, অভিযুক্তরা ক্রুজে যাচ্ছিলেন - শুধুমাত্র সেই ভিত্তিতে তাঁদের বিরুদ্ধে মাদক আইনের ২৯ নম্বর ধারা প্রয়োগ করা যাবে না।
বিচারপতি জানিয়েছেন, ষড়যন্ত্রের অভিযোগের ভিত্তি হিসেবে আবেদনকারীদের কাছে কোনো মাদক ছিল কিনা, তা আদালতকে খতিয়ে দেখতে হবে। সেখানে আরিয়ানের থেকে কোনো মাদক উদ্ধার হয়নি। সেই পরিস্থিতিতে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের ধারা প্রয়োগ করতে ‘ইতিবাচক প্রমাণ’ লাগবে। পাশাপাশি আরিয়ানের হোয়্যাটসঅ্যাপ চ্যাটেও কোনো ষড়যন্ত্রের প্রমাণ মেলেনি বলে জামিনের রায়ে জানিয়েছে হাইকোর্ট।
গত সপ্তাহেই উদ্ধব সরকারের সংখ্যালঘু উন্নয়ন মন্ত্রী তথা এনসিপি নেতা নবাব মালিক দাবি করেন, ‘আরিয়ানকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় করা’ই ছিল আসল উদ্দেশ্য। তবে সেই পরিকল্পনা বানচাল হওয়ার পরেই গ্রেফতার করা হয় স্টারকিডকে।
নিজের যুক্তির স্বপক্ষে একটি হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের স্ক্রিনশট শেয়ার করেন নবাব। যেখানে দেখা গেছে এক ইনফর্মারের সাথে গোসাভির কথা হচ্ছে কোর্ডিলা ক্রুজে পার্টি করতে যাওয়া ব্যক্তিদের ফাঁদে ফেলা নিয়ে। সেই কথোপকথনের স্ক্রিনশট শেয়ার করে নবাব লেখেন, ‘এটা হল সমীর দাউদ ওয়াংখেড়ের প্রাইভেট আর্মি। ওকে অনেক জবাবদিহি করতে হবে এ নিয়ে।’ সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।