নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
সব ধরনের ক্রিকেট থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিলেন জাতীয় দলের এক সময়কার মারকুটে ব্যাটার তুষার ইমরান। খেলোয়াড় হিসেবে আর তাকে দেখা যাবেনা মাঠে। ক্রিকেট থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে অবসরের ঘোষণা দিলেন তিনি। আরও কিছুদিন খেলার ইচ্ছা থাকলেও ইনজুরি তার ইচ্ছাপূরণ করতে দেয়নি। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ১২ হাজার রান করার আগেই একের পর এক ইনজুরিতে বিদায় নিতে হলো তুষার ইমরানকে।
গতকাল সাভারের বিকেএসপিতে জাতীয় লিগের শেষ রাউন্ডের ম্যাচে আনুষ্ঠানিকভাবেই ক্রিকেটকে না বলে দিলেন তুষার। যদিও ইনজুরির কারণেই এ ম্যাচে খেলতে পারছেন না খুলনা বিভাগের এই ক্রিকেটার। একই কারণে আগের দুই ম্যাচও খেলতে পারেননি তিনি। আগের দিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তুষার জানিয়েছিলেন, ‘রোববার প্রথম শ্রেণির ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিতে মাঠে যাবো। দোয়া করবেন।’ তার কথা অনুযায়ীই এলো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা।
জাতীয় লিগে গত ৭ থেকে ১০ নভেম্বর পর্যন্ত রংপুর বিভাগের বিপক্ষে খেলা ম্যাচটিই তুষার ইমরানের ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ। ওই ম্যাচের প্রথম ইনিংসে ফিরেছিলেন খালি হাতে। দ্বিতীয় ইনিংসে করেছিলেন ১৫ রান। শেষ ম্যাচে খেলতে না পারলেও খুলনা দলের সঙ্গেই আছেন তুষার। কাল বিকেএসপিতে ঢাকা বিভাগের বিপক্ষে ম্যাচ শুরুর আগে তাকে দেয়া হয়েছে সংবর্ধনা।
বয়স প্রায় ৩৮ ছুঁইছুঁই হলেও শারীরিক গঠনে বেশ ফিট থাকা এ ব্যাটার খেলোয়াড় হিসেবে মাঠের ক্রিকেট ছাড়লেও ক্রিকেটের সঙ্গেই জড়িয়ে থাকবেন। বিদায় বেলায় সে ইঙ্গিতই দিলেন তিনি। তুষার বলেন, ‘একজন ক্রিকেটার হয়ে ক্রিকেটের বাইরে থাকা বেশ কঠিন। তাই খেলোয়াড়ি জীবন শেষ হলেও ভবিষ্যৎ ক্রিকেটার তৈরিতে নিজেকে ব্যস্ত রাখতে চাই।’ অবশ্য আনুষ্ঠানিকভাবে খেলা ছাড়ার আগেই কোচিং পেশায় নাম লিখিয়েছেন তিনি। শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্রিকেট একাডেমির প্রধান কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তুষার।
নিজ ক্যারিয়ারে বাংলাদেশ জাতীয় দলে বেশ সম্ভাবনা নিয়েই যুক্ত হয়েছিলেন তুষার। তবে ৪১টি ওয়ানডে ও ৫টি টেস্ট ম্যাচ খেলেই থামতে হয়েছে তাকে। ২০০৭ সালে জাতীয় দল থেকে ছিটকে পড়ার পর আর সুযোগ মিলেনি। যদিও প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে নিয়মিতই রান করে গেছেন। প্রথম শ্রেণি ক্যারিয়ারে করেছেন ১১,৯৭২ রান। তুষার ইমরানই বাংলাদেশের একমাত্র ব্যাটার যিনি ১০ হাজারের বেশি রান করেছেন। এছাড়া লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটেও তিনি করেছেন ৪৪৩৯ রান। তার বিদায়ে একজন রানমেশিন হারালো বাংলাদেশ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।