Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ব্যথানাশক ট্যাবলেট মাদক হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২১ নভেম্বর, ২০২১, ১২:০০ এএম

ব্যথানাশক ওষুধ মরফিন ট্যাবলেট ব্যবহৃত হচ্ছে মাদক হিসেবে। যদিও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের তালিকাভুক্ত মাদকের তালিকায় রয়েছে এই ট্যাবলেটটি। ব্যথানাশক ওষুধ হিসেবে ব্যবহারের সুযোগ নিয়ে বেশ কয়েকটি চক্র এটিকে মাদক হিসেবে বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে দিচ্ছে। এই চক্রের দুই সদস্যকে ঢাকা মহানগরীর কোতয়ালী থানাধীন বাবুবাজার মাজারের সামনে থেকে গত শুক্রবার অক্সি-মরফোন ট্যাবলেটসহ গ্রেফতার করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) লালবাগ বিভাগের কোতয়ালী জোনাল টিম।

গতকাল কোতয়ালী জোনাল টিমের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার সাইফুর রহমান বলেন, গ্রেফতারকৃতরা হলো আলমগীর সরকার ও জাহিদুল ইসলাম। তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অক্সি-মরফোন ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্য মতে কোতয়ালী থানাধীন মিটফোর্ড এবং ধানমন্ডি সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস হাতে মোট ১৩ হাজার পিস মরফোন উদ্ধার করা হয়।
গোয়েন্দা পুলিশ বলছে, খোলাবাজারে অবৈধভাবে এই অক্সি-মরফোন ট্যাবলেট বিক্রি করে আসছে একটি চক্র। তারা এই ট্যাবলেটের ২০ পিস দুই থেকে আড়াই হাজার টাকায় বিক্রি করতো। বাজারে ২০ পিস অক্সি মরফোনের দাম ৪০০ টাকা। অক্সি-মরফোন হলো মরফিনের একটি অ্যানালগ ভার্সন, যা এনালজেসিক ড্রাগ হিসাবে ব্যবহৃত হয়। এটি ইনজেকশন থেকে ওরাল ফর্মে নিয়ে আসা হয়েছে। এটি মূলত ক্যান্সার, হার্ট, দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত মৃত্যু পথযাত্রী রোগীর তীব্র ব্যথা কমানোর জন্য ব্যবহার করা হয়। বর্তমানে এই ব্যথানাশক ট্যাবলেট ব্যাপক আকারে মাদক হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
সাইফুল ইসলাম বলেন, নির্ধারিত কোম্পানি থেকে এই ট্যাবলেটগুলো অবৈধভাবে আসামিদের কাছে এসেছে। এই ১৩ হাজার ট্যাবলেটের বড় একটা অংশ কুরিয়ারের মাধ্যমে বরিশাল থেকে ঢাকায় এসেছে। যিনি এই ট্যাবলেটগুলো পাঠিয়েছেন তিনি আগের মামলায় পলাতক আসামি। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক মেহেদী হাসান বলেন, এটি তালিকাভুক্ত মাদক। সাধারণ ওষুধের মতো এই অক্সি-মরফোন বিক্রির সুযোগ নেই। মাদকসেবীদের কাছে অবৈধভাবে এই মাদক বিক্রি করছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর নির্দিষ্ট কিছু ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানকে নির্দিষ্ট পরিমাণ ওষুধ বিক্রয় ও বাজারজাত করার অনুমোদন দেয়। যা নির্দিষ্ট কোম্পানির কাছ থেকে লাইসেন্স দেখিয়ে, কোন পথে যাবে, কার কাছে যাবে এসব কিছু জানানোর পর বিক্রি করা হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মাদক

২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ