নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে খেলা চলছে জৈব সুরক্ষা বলয়ে। প্রাদুর্ভাব কিছুটা কমে যাওয়া বাস্তবতা মেনে দীর্ঘ ৬১৮ দিন পর দেশের ক্রিকেটে ফিরেছে দর্শক। যদিও অর্ধেক। প্রটোকল মানতে মিরপুরের গ্যালারির নিচ তলা রাখা হয়েছে পুরোপুরি দর্শক শূন্য। সমর্থকদের আবেগের বাঁধ ভাঙতেই পারে। তাই বলে স্বাস্থ্যবিধির কথা বেমালুম ভুলে গেলে চলবে কেন? তেমনই এক ঘটনার সাক্ষী হলো হোম অব ক্রিকেট। আর তাতে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েও।
বাংলাদেশ-পাকিস্তান সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে সফরকারীদের ইনিংসে চতুর্দশ ওভারের দ্বিতীয় বলটি করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন মুস্তাফিজুর রহমান। এমন সময় হঠাৎ দেখা যায় নর্দার্ন গ্যালারির নিরাপত্তা বেষ্টানি টপকে মাঠে ঢোকার চেষ্টা করছেন এক দর্শক। পাঁচ-ছয় জন মাঠ কর্মী ছুটে যান তাকে ঠেকাতে। কিন্তু পারেননি তারা। তাদের এড়িয়ে সীমানার বিলবোর্ড পেরিয়ে ওই তরুণ দর্শক পৌঁছে যান মাঠে। তাকে দেখে মাঝ মাঠের দিকে ছুটে যেতে থাকেন সব খেলোয়াড়। একটু এগিয়ে এসে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন আম্পায়ার তানভির আহমেদ। তার কাছাকাছি ছিলেন মুস্তাফিজ। ওই তরুণ বাঁহাতি এই পেসারের কাছে গিয়ে মাটিতে মাথা ছুঁয়ে সেজদার মতো ভঙ্গি করেন। এরপর একজন নিরাপত্তা কর্মী তাকে টানতে টানতে কিউরেটরের কক্ষের পাশের গেট দিয়ে বাইরে নিয়ে যান।
বিশ্ব জুড়ে এমন ঘটনা অহরহ হলেও বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট অনেকটাই ভিন্ন। তার উপর করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের এ সময়ে খেলোয়াড়রা রয়েছেন জৈব সুরক্ষিত বলয়ে। এ সময়ে বাইরে কেউ খেলোয়াড়ের সংস্পর্শে আসার জেরটা টের পেতে হতে পারে বাংলাদেশকে। ঘটনার পরই বল করতে এসেছিলেন মুস্তাফিজ। এক বল করার পরই তাকে মাঠ থেকে উঠে যেতে হয়। সুরক্ষা বলয়ের সতর্কতার কারণেই এমনটি কিনা তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এই ঘটনায় একই সঙ্গে প্রশ্ন উঠতে পারে বাংলাদেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েও।
কেননা, নিরাপত্তা বলয় ভেদ করে মাঠে দর্শক প্রবেশের এমন ঘটনা বাংলাদেশে এবারই প্রথম নয়। এর আগেও বেশ কয়েকবার মাঠে দর্শক ঢুকে পড়ার ঘটনা ঘটেছে। এই শেরে বাংলায় এর আগে মাশরাফি বিন মুর্তজার এক ভক্ত মাঠে ঢুকে পড়েন। সিলেট স্টেডিয়ামে ঢুকে পড়েন মুশফিকের ভক্ত। আর চট্টগ্রামের মাঠে ঢুকেছিলেন সাকিবের ভক্ত। এবার জৈব সুরক্ষা বলয় ভেঙে একজন ঢুকে পড়ায় নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা উচ্চকিতই হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।