নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বিশেষ সংবাদদাতা, চট্টগ্রাম থেকে : সর্বশেষ টেস্ট দলের ৫ ক্রিকেটার নেই ১৪ জনের দলে! ঘোষিত দলে পেস বোলার সংখ্যা মাত্র ২ জন। তাও আবার শফিউল কিংবা কামরুল ইসলাম রাব্বীর কেউ এখন আর দীর্ঘ পরিসরের ম্যাচে আতঙ্ক নন। ফ্লাট উইকেট প্রস্তুত করে চট্টগ্রাম টেস্টের দলে পেস বোলারের সংখ্যা বাড়িয়ে লাভ কি? এই আইডিয়া থেকেই ১৪ সদস্যের দলে ব্যাটসম্যান এবং স্পিনারদের সমাবেশকে যথার্থ মনে করার কথা মিডিয়াকে জানিয়েছিলেন গত ১৬ অক্টোবর প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু। তবে গতকাল বদলে যাওয়া পীচের পূর্বাভাসে স্পিন নির্ভর একাদশের আভাসই যাচ্ছে পাওয়া।
এক পেস বোলার নিয়ে খেলার অতীত আছে বাংলাদেশের এই জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামেই। ২০১৪ সালে শ্রীলংকার বিপক্ষে বাংলাদেশ দলে একমাত্র পেস বোলার ছিলেন আল আমিন। সেই টেস্টে শ্রীলংকার ৫৮৭ স্কোরে চাপা পড়েও হতোদ্যম হয়নি বাংলাদেশ দল। ব্যাটিং বীরত্বে করেছে ড্র। ১৪ মাস পর টেস্ট প্রত্যাবর্তনেও সেই স্ট্র্যাটেজিতে টেস্ট একাদশের সম্ভাবনাই প্রবল। ২৩ মাস পর টেস্টে প্রত্যাবর্তন করবেন শফিউল, না কামরুল ইসলাম রাব্বীর অভিষেক হবে, নাকি অল স্পিনে খেলবে বাংলাদেশ? গতকাল অনুশীলনে এই দুই পেস বোলারকে না এনে একটা রহস্যই রেখে দিয়েছে টিম ম্যানেজমেন্ট।
তবে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি স্পিন করতে পারেন, এই যোগ্যতায় বাংলাদেশের ৭৮ এবং ৭৯ নম্বর টেস্ট ক্রিকেটার হিসেবে সাব্বির রহমান রুম্মান এবং মেহেদী হাসান মিরাজের অভিষেক হচ্ছে আজÑ টিম ম্যানেজমেন্টের পক্ষ থেকে সেই নিশ্চয়তা পেয়ে গেছেন এই দুই ক্রিকেটার। স্পিন শক্তি বাড়াতে অফ স্পিনার শুভাগতহোমের প্রয়োজন পড়বে, না অকেশনাল পেস বোলার সৌম্য’কে দরকারÑ সে রহস্যও টস পর্যন্ত রেখে দিয়েছে টিম ম্যানেজমেন্ট।
সাকিব, তাইজুল, শুভাগতহোম, মেহেদী মিরাজÑচার স্পেশালিস্ট স্পিনারের পাশে অকেশনাল স্পিনার সাব্বির, মাহামুদুল্লাহ, মুমিনুল! একাদশে ৭ স্পিনার। টার্নিং উইকেটের সম্ভাব্য আলামত পেয়ে ইংল্যান্ড সেখানে তিন স্পিনার আদিল রশিদ, মইন আলী এবং গ্যারেথ বেটির উপর রাখছে আস্থা। লড়াইটা স্পিনে তাহলে জমবে ভালোই।
তবে বাংলাদেশ দলে দ্বিতীয় উইকেট কিপারের প্রয়োজন আপাতত: নেই বলে নূরুল হাসান সোহানের টেস্ট অভিষেক হচ্ছে বিলম্বিত, সে আভাসই দিয়েছেন মুশফিকুর। সর্বশেষ তিন টেস্টে কিপিং গ্লাভস খুলে রেখে তা লিটনের হাতে তুলে দিয়েছিলেন মুশফিকুর। তবে লিটনের ইনজুরিটা এবার চেনা পরিচয়ে ফিরিয়ে আনছে মুশফিকুরকে। নিজের মাইলস্টোন সিরিজ এবং বাংলাদেশের প্রতীক্ষিত টেস্ট প্রত্যাবর্তনে কিপিং গ্লাভস হাতেই দেখা যাবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন মুশফিক নিজেইÑ ‘আঙুলে ব্যথা ছিল বলে সর্বশেষ ক’ টেস্টে কিপিং করিনি। ব্যথা নিয়ে ১০-১২ বা ২০-৫০ ওভার কিপিং করা যায়, কিন্তু ৯০-১০০ ওভার কিপিং করা কঠিন ছিল। এখন আমি পুরোপুরি ফিট। টিম ম্যানেজমেন্ট যদি চায় তাহলে তে অবশ্যই করব কিপিং। আমি কিপিং করে ব্যাটিংয়ে নেমে ২০০ রানও করেছি, আবার শূন্য রানও করেছি। এটা আসলে আমার ওপর কোনো প্রভাব ফেলে না। টিম ম্যানেজমেন্ট যদি মনে করে কিপিং করে দলকে হেল্প করতে পারব, তাহলে তা করব। আর যদি মনে করে আমি টিমে না থাকলে টিম ভালো করবে, তাহলে তো সমস্যাই নেই।’
গত বছরে শহীদ, সৌম্য, লিটন, মুস্তাফিজুর-চার তরুনের হয়েছে টেস্ট অভিষেক। ১৪ মাস পর প্রত্যাতন টেস্টে সংখ্যাটি সেখানে দুই, না তিন, না ততোধিক, সে প্রশ্নের উত্তর মিলবে আজ সকালে, টসে’র ঠিক আগে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।