পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন সব জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে দেশের নদ-নদীর অবৈধ দখলদারদের তালিকা করা হয়েছে। সারাদেশে অবৈধ দখলদারের সংখ্যা হচ্ছে ৬৫ হাজার ১২৭ জন। তালিকার পর সারাদেশে অভিযান পরিচালনা করে ১৯ হাজার ৮৭৪ জন নদী দখলদারকে উচ্ছেদ করা হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এ তথ্য জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সবাপতিত্বে শুরু অধিবেশনে এ সংক্রান্ত প্রশ্নটি উত্থাপন করেন সরকারদলীয় সদস্য বেনজীর আহমদ। লিখিত জবাবে প্রতিমন্ত্রী আরো জানান, দেশের বিভিন্ন নদীর তীরভূমি হতে এ পর্যন্ত ২১ হাজার ৪৪৩টি স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। এতে ৭২৩ দশমিক ৬২ একর তীরভূমি পুনরুদ্ধার করা হয়েছে। দেশের নদীসমূহ দখলমুক্ত করতে ২০১০ সাল থেকে অভিযান শুরু করা হয়।
তিনি জানান, নদী দখল রোধে সারাদেশে সংশ্লিষ্ট দফতর ও সংস্থার সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম চলছে। নদীর তীরভূমি পুনর্দখল রোধে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা হিসেবে নদীর উভয় তীরে ওয়াকওয়ে, আরসিসি স্টেপস, বসার বেঞ্চ, বিনোদন কেন্দ্র নির্মাণ, নদীরপাড় বাঁধাই, গাইড ওয়াল নির্মাণ, বৃক্ষরোপন ইত্যাদি কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। ঢাকার চারদিকে বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, শীতলক্ষ্যা, বালু ও ধলেশ্বরী নদীর মধ্যদিয়ে প্রবাহিত ১১০ কিলোমিটার বৃত্তাকার নৌপথের দুই তীরে অবস্থিত ২২০ কিলোমিটার তীরভূমিতে প্রথম পর্যায়ে ২০ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে এবং দুটি ইকোপার্ক নির্মাণ করা হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী জানান, দ্বিতীয় পর্যায়ে ‘বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, শীতলক্ষ্যা ও বালু নদীর তীরভূমিতে পিলার স্থাপন, তীররক্ষা, ওয়াকওয়ে ও জেটিসহ আনুষঙ্গিক অবকাঠামো নির্মাণ (দ্বিতীয় পর্যায়)’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ৫২ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে ও আনুষাঙ্গিক অবকাঠামো নির্মাণকাজ চলছে। ওই প্রকল্পের আওতায় ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ এবং টঙ্গী নদীবন্দর এলাকায় ৪ হাজার সীমানা পিলার নির্মিত হয়েছে এবং দেড় হাজার সীমানা পিলারের নির্মাণকাজ চলমান।
তিনি আরো বলেন, এছাড়া রামচন্দ্রপুর থেকে বসিলা ও রায়েরবাজার খাল থেকে কামরাঙ্গীরচর পর্যন্ত প্রায় চার কিলোমিটার ওয়াকওয়ে নির্মিত হয়েছে। অবশিষ্ট ৪৮ কিলোমিটার ওয়াকওয়ের মধ্যে ২৭ কিলোমিটারের নির্মাণকাজ চলছে। ২১ কিলোমিটার ওয়াকওয়ের দরপত্র গত ৯ নভেম্বর গ্রহণ করা হয়েছে। টঙ্গী নদীবন্দর এলাকায় একটি ইকোপার্ক নির্মিত হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।