Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বঙ্গবন্ধুকে ঘিরে গুজব ছড়িয়েছে জিয়া, এরশাদ ও খালেদা

আলোচনা সভায় নৌ প্রতিমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৫ আগস্ট, ২০২১, ১২:০২ এএম

নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, জিয়া, এরশাদ ও খালেদা জিয়া বঙ্গবন্ধু বিরুদ্ধে বিভিন্ন গুজব রটিয়েছে। জিয়াউর রহমানের প্রথম কাজই ছিল বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারকে কলুষিত করা। এ জন্য জিয়া রাষ্ট্রযন্ত্র ও অর্থ ব্যবহার করেছে। যুবকদের ধ্বংস করতে অস্ত্র তুলে দিয়ে সন্ত্রাসী বানানো হয়েছে। জিয়া, এরশাদ ও খালেদা জিয়া অনেক ষড়যন্ত্র করেও বঙ্গবন্ধুকে অন্ধকারে নিয়ে যেতে পারেনি, কারণ বঙ্গবন্ধু বাংলার মানুষের হৃদয়ে রয়েছেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, শোককে শক্তিতে পরিণত করে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে। ২০৪১ সাল নাগাদ উন্নত দেশের কাতারে পৌঁছবে। গতকাল শনিবার বিআইডবিøউটিএ ভবনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এখন এক বিস্ময়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী ও দৃঢ়চেতা নেতৃত্বের কারণে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে এবং আমরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ে তুলব। সোনার বাংলা নির্মাণ মুখ থুবড়ে পড়বে না। অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে, সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে এগিয়ে যাব। নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জাতীয় নদীরক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান এ এস এম আলী কবীর, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব বেগম লায়লা জেসমিন, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. আলমগীর, নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমডোর আবু জাফর মো. জালাল উদ্দিন ও বিআইডবিøউটিএর চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক।

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের হত্যাকান্ড নিছক ব্যক্তি হত্যাকান্ড নয়, নিছক পরিবার হত্যাকান্ড নয়। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ’৭১ এর বিজয় ও স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করার অস্বীকৃতিতে এ হত্যাকান্ড। ঘাতকরা ’৭৫ এর ১৬ আগস্ট থেকে তাদের নীলনকশা বাস্তবায়ন শুরু করে। ৭৫ এর খুনিদের রাজনীতি করার সুযোগ করে দেয়া হয়েছে। তাদেরকে সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুর গৌরবজনক ইতিহাস মুছে ফেলার অপচেষ্টা করা হয়েছে। জিয়াউর রহমান খুনিদের দূতাবাসে চাকরি দিয়ে তাদেরকে স্বীকৃতি দিয়েছে। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার করা যাবে না- এ জন্য মোশতাক অধ্যাদেশ জারি ও জিয়া অধ্যাদেশকে আইনে পরিণত করেন। যার খেসারত দিতে হয়েছে বাংলাদেশকে। এ কারণে বাংলাদেশ অন্ধকার থেকে অন্ধকারতম হয়েছিল। অনুষ্ঠানের শুরুতে বঙ্গবন্ধুসহ ১৫ আগস্টে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা এবং দেশ ও জাতির অগ্রগতির জন্য দোয়া করা হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ