মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : চীনের অর্থনীতিতে চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে এসে জিডিপি ৬.৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে যা প্রত্যাশার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। কারণ, বাজার প্রত্যাশার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ রপ্তানি বৃদ্ধি পাওয়ায় আগের প্রান্তিকের থেকে ৬.৫-৭ শতাংশ থেকে বেড়ে ৬.৭ শতাংশে এস দাঁড়িয়েছে। মোট জাতীয় উৎপাদন (জিডিপি) জুলাই- সেপ্টেম্বর সময়ের মধ্যে ৬.৭ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে বলে বিশ্লেষকরা ধারণা করেছিলেন। দ্বিতীয় প্রান্তিকে এসেও প্রথম ত্রৈমাসিক প্রান্তিকের থেকে আর্থিক অবস্থা অপরিবর্তিত থাকার পূর্বাভাস দেয়া হয়েছিল। যদিও বড় ধরনের একটি ধস নামার আশঙ্কা করা হয়েছিল। চীনের পরিসংখ্যান ব্যুরো এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, দেশটির অর্থনীতিতে অনেক অনিশ্চিত কারণ বিদ্যমান থাকা এবং টেকসই প্রবৃদ্ধির জন্য ভিত্তিভূমি রচনা করা কঠিন নয়। কিন্তু চলতি বছরের শেষে এসে তা অনেকটা শিথিল রয়েছে। যদিও সাম্প্রতিক তথ্য-উপাত্ত থেকে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম চীনের অর্থনীতির ভারসাম্যহীনতা এবং ক্রমবর্ধমান প্রবৃদ্ধিতে সরকারের ব্যয় সংকোচন এবং ঋণের ক্রমবর্ধমান নির্ভরশীলতা বেসরকারি বিনিয়োগ চাপের মুখে পড়েছে। উল্লেখ্য, সরকার সারা বছরের জন্য ৬.৫-৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল কিন্তু প্রথম ত্রৈমাসিকে ২০১৫ সালে ৬.৯ শতাংশে প্রসারিত হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। খবরে বলা হয়, গেল বছরের তুলনায় এ বছর ব্যবসা বান্ধব পরিবেশ বিরাজ করায় এ প্রবৃদ্ধি হবে বলে আশা করা হয়েছিল। এর আগে অপর এক খবরে বলা হয়, চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি চীনের মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির হার ৭ শতাংশের নিচে নেমে গেছে। প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬ দশমিক ৭ শতাংশ, যা দেশটির লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম। চীনের জিডিপি লক্ষ্যমাত্রা হলো ৭ শতাংশ। ২০০৭ সালে শুরু হওয়া বিশ্ব অর্থনৈতিক সংকটের পরে এটিই চীনের জিডিপিতে সর্বনিম্ন প্রবৃদ্ধি। অর্থনীতিতে মন্থরতা রুখতে চীনা নীতিনির্ধারকদের মুদ্রানীতির মাধ্যমে কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে বলে মনে করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, চীনের শেয়ারবাজারের সাম্প্রতিক অস্থিরতা এবং এটাকে কেন্দ্র করে বিশ্ববাজারেও উদ্বেগ দেখা দেয়ায় দেশটির জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমেছে। জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে দেশটির জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৮ শতাংশ হতে পারে বলে অধিকাংশ বিশ্লেষকও আশা করেছিলেন। চীন তার অর্থনীতিকে রপ্তানি নির্ভরতার চেয়ে ভোক্তা ও সেবামুখী করে তোলার চেষ্টা চালিয়ে আসছে। চীন চলতি বছরের জন্য ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। কিন্তু দেশটির প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াং বলেছেন, পর্যাপ্ত কর্মসংস্থান না হওয়া পর্যন্ত এর চেয়ে কম প্রবৃদ্ধি হলেও তা গ্রহণযোগ্য হবে। রয়টার্স, বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।