Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ইইউতে থাকার পক্ষে ছিলেন জনসন!

প্রকাশের সময় : ২০ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও ব্রেক্সিট অন্যতম প্রধান নেতা বরিস জনসন ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ছাড়ার আন্দোলন শুরু করার কিছুদিন আগেও আঞ্চলিক এই সংগঠনে যুক্তরাজ্যের থাকার পক্ষে মন্তব্য কলাম লিখেছিলেন। তবে সেই লেখাটি তখন প্রকাশিত হয়নি। যুক্তরাজ্যের সানডে টাইমস পত্রিকা সম্প্রতি সেই লেখাটি প্রকাশ করেছে। ওই লেখায় বরিস জনসন মন্তব্য করেছিলেন, যুক্তরাজ্যের ইইউতে থাকা ইউরোপ এবং বিশ্বের জন্য প্রয়োজন। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন, ব্রেক্সিট ফলে যুক্তরাজ্য অর্থনৈতিকভাবে ধাক্কা খেতে পারে এবং স্কটল্যান্ডের সঙ্গে সংযোগ নড়বড়ে হয়ে যেতে পারে। সানডে টাইমস পত্রিকা দাবি করেছে, এই লেখাটি বরিস জনসন ইইউ ত্যাগের আন্দোলনে নেতৃত্ব নেওয়ার দুই দিন আগে এই লেখাটি দিয়েছিলেন। সেখানে তিনি ইউরোপের একক বাজার কাঠামোতে সদস্য থাকার পক্ষে মন্তব্য করেছিলেন। তবে এই সপ্তাহে তিনি একক বাজার কাঠামো অচল হয়ে যাছে বলে মন্তব্য করেছেন। বরিস জনসন ওই লেখায় ভোটারদের প্রতি বলেছিলেন, আপনার চোখ ও শ্বাসপ্রশ্বাস খানিক সময়ের জন্য বন্ধ করে যুক্তরাজ্যের বিষয়ে চিন্তা করুন। বাকি ইউরোপিয়ান দেশগুলোর ব্যাপারে চিন্তা করুন এবং ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তা করুন।
এদিকে, বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, হার্ড ব্রেক্সিট ও সফট ব্রেক্সিট নিয়ে যুক্তরাজ্যে নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে। ইইউ-বিরোধীরা বলছেন, সংস্থাটিকে পুরোপুরি বাদ দিতে হবে। এমন মনোভাবকে বলা হছে হার্ড ব্রেক্সিট। আর ইইউপন্থীরা বলছেন, একক বাজারের সুবিধা রেখে এবং গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর কোনো ক্ষতি না করে মধ্যবর্তী একটা সম্পর্ক ধরে রাখতে হবে। এমন মনোভাবকে বলা হছে সফট ব্রেক্সিট। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে সম্প্রতি হার্ড ব্রেক্সিট পথে হাঁটার ঘোষণা দিয়ে বলেন, আগামী মার্চের শেষের দিকে তিনি আর্টিক্যাল ৫০ সক্রিয় করবেন। তবে দেশটির পার্লামেন্টের নেতারা বলেছেন, তারা থেরেসা মেকে এ নিয়ে পার্লামেন্টে ভোটাভুটির সুযোগ দিতে চাপ প্রয়োগ করবেন। তারা দাবি করেন, থেরেসা মের হার্ড ব্রেক্সিট পথে হাঁটার কোনো ম্যান্ডেট বা এখতিয়ার নেই। সাবেক উপপ্রধানমন্ত্রী নিক ক্লেগ বলেছেন, থেরেসা মে আর্টিক্যাল ৫০ সক্রিয় করলে তা ইইউর বাকি ২৭ দেশের হাতে পুরো সুযোগ তুলে দেবে। সূত্র: সানডে টাইমস ও এএফপি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ইইউতে থাকার পক্ষে ছিলেন জনসন!
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ