পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সাউথ বাংলা অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান এসএম আমজাদ হোসেন আদালতের অনুমতি নিয়ে বিদেশ গেছেন বলে জানিয়েছে, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল মঙ্গলবার দাখিলকৃত প্রতিবেদনে এ কথা দাবি করেছে সংস্থাটি। প্রতিবেদনে বলা হয়, আমজাদ হোসেন বিশেষ জজ আদালতের অনুমতি নিয়ে বিদেশ গেছেন। ৩০ নভেম্বরের মধ্যে তিনি ফিরে আসবেন। তবে, শর্ত অনুযায়ী তিনি প্রয়োজনীয় তথ্য আদালতকে জানাননি। এছাড়া যেসব বিষয়ে কাগজপত্র দুদকের কাছে বুঝিয়ে দিতে বলা হয়েছিল সেগুলো তিনি দেন নি। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান স্বাক্ষরিত এ প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেন অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান।
এর আগে দুর্নীতি, অনিয়ম ও অর্থপাচারের অভিযোগ ওঠা এস এম আমজাদ হোসেন কীভাবে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলেনÑ তা জানতে চেয়েছিলেন হাইকোর্ট। এ বিষয়ে গত সোমবার দুপুরের মধ্যে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছিল। আদেশ অনুযায়ী এ বিষয়ে প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়। পরে উপস্থাপিত প্রতিবেদনের ওপর শুনানি মুলতবি (স্ট্যান্ডওভার) করেন আদালত। এ সময় ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক শুনানিতে সংযুক্ত ছিলেন। বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার এবং বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমানের ভার্চুয়াল ডিভিশন বেঞ্চ সপরিবারে এসএম আমজাদ হোসেনের দেশত্যাগ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
প্রসঙ্গত : এসএম আমজাদ হোসেনের বিরুদ্ধে ঋণ জালিয়াতির মাধ্যমে ৪৩০ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলা রয়েছে। এ ছাড়া দুদকের অনুসন্ধানে নতুন করে আরও ৮২৯ কোটি টাকা জালিয়াতির তথ্য মিলেছে। এ অবস্থায় এসএম আমজাদ হোসেন কি করে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন, তা সোমবার দুপুরের মধ্যে জানাতে দুদককে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আমজাদ হোসেন সপরিবারে দেশ ছেড়েছেন-সম্প্রতি এরকম প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে সংবাদ মাধ্যমে। প্রতিবেদনটি আদালতের দৃষ্টিতে আনা হলে বিষয়টি আমলে নিয়ে উপরোক্ত আদেশ দেন হাইকোর্ট। ৭ নভেম্বর জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, এসএম আমজাদ হোসেন স্থল সীমান্ত দিয়ে ৩ নভেম্বর ভারত হয়ে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছেছেন। তার সঙ্গে স্ত্রী সুফিয়া আমজাদ ও মেয়ে তাজরির আমজাদও রয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।