Inqilab Logo

সোমবার, ১৩ মে ২০২৪, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১, ০৪ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

ওয়াজ মাহফিলে হিংসাত্মক বক্তব্য রাখলে আইনানুগ ব্যবস্থা ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৬ নভেম্বর, ২০২১, ৮:৩৬ পিএম

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান বলেছেন, দেশের সামপ্রদায়িক সম্প্রীতির উপর আঘাত করা মানে দেশের স্বাধীনতার উপর আঘাত করা। জাতির পিতার স্বপ্নের উপর আঘাত করা। প্রতিমন্ত্রী বলেন, গুজব ছড়িয়ে ফেসবুক ইউটিউবে অসত্য ও বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে মানুষের মাঝে সৃষ্টি বিশৃংখলা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। ওয়াজ মাহফিলে পবিত্র কোরআন ও হাদিসের আলোকে আলোচনা করতে হবে। এখানে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে কোন দলের পক্ষে প্রচারণা কিংবা হিংসাত্মক বক্তব্য রাখা যাবেনা। এরূপ করলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। প্রতিমন্ত্রী আজ মঙ্গলবার যশোর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় পরিচালিত "ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সচেতনতা বৃদ্ধিকরণ" শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সচেতনতা মূলক আন্তঃধর্মীয় সংলাপ সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন । ধর্ম মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য জানানো হয়।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ধর্মের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত পাকিস্তান রাস্ট্রের অসারতা বুঝতে পেরেছিলেন। অসম্প্রদায়িক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে তিনি তার জীবন উৎসর্গ করেছেন। বাংলাদেশের সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতা তথা অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের নীতি সন্নিবেশ করে গেছেন। প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ধর্মনিরপেক্ষতা মানে ধর্মহীনতা নয় ধর্মনিরপেক্ষতার অর্থ হচ্ছে প্রতিটি ধর্মীয় সম্প্রদায়ের অনুসারীরা স্বাধীনভাবে নির্বিঘেœ নিরাপদে এদেশে ধর্ম পালন করতে পারবে। প্রতিটি ধর্মের প্রতি রাষ্ট্র ও সরকার প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান করবে। ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ধর্মীয় সম্প্রীতির বৈশিষ্ট্য অক্ষুন্ন রাখতে সকল ধর্মের প্রতি নজর রেখে ধর্মীয় সম্প্রদায়ের কল্যাণ এবং ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর কল্যাণে ব্যাপক উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে চলেছেন। প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় মসজিদ, মন্দির ও প্যাগোডা ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এর মাধ্যমে ধর্মীয় সম্প্রীতি ও নৈতিকতা তথা অন্য ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধা, মানবিকতা ও সহনশীলতার উপর গুরুত্ব দিয়ে শিক্ষা দান করা হচ্ছে। বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য এমপি বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ১৯৪৭ সাল হতে বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছেন। ধাপে ধাপে তিনি জাতির মুক্তির জন্য পথ পরিক্রমা তৈরি করে চূড়ান্ত পর্যায়ে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে জাতিকে একটি স্বাধীন দেশ উপহার দিয়েছেন। যশোর জেলা প্রশাসক মো. তমিজুল ইসলাম খান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংলাপে আরও বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জাহাঙ্গীর আলম, যশোর পৌরসভার মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা হায়দার গণি খান (পলাশ), সাবেক সংসদ সদস্য ও যশোর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মনিরুল ইসলাম, মনিরামপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমা খানম, যশোর আমিনিয়া আলীয়া মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা মো. সাখাওয়াত হোসেন, যশোর প্রেস ক্লাবের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন, সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুর রহমান, রামকৃষ্ণ মিশন ও আশ্রম যশোরের অধ্যক্ষ জ্ঞান প্রকাশানন্দ , ইমাম পরিষদ যশোর জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা আনোয়ারুল করিম, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা বেলায়েত হোসেন, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ যশোর জেলা শাখার সভাপতি অসীম কু-ু হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ যশোর জেলা শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সন্তোষ দত্ত প্রমুখ।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ