পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
একেক শিফটে একেক রকমের প্রশ্ন। এতে দেখা যাচ্ছে কোন শিফটের প্রশ্ন সহজ হয়ে যাচ্ছে আবার কোনটিতে কঠিন। যার কারণে সহজ হওয়া শিফট থেকে বেশি শিক্ষার্থী মেধা তালিকায় স্থান পাচ্ছে বলে মনে করছেন শিক্ষার্থীরা।
গতকাল সোমবার বি ইউনিটের ফলাফল প্রকাশের পর বিশ্লেষণে দেখা যায়, মাট ৩২৬টি আসনের মধ্যে শুধুমাত্র ৫ম শিফট থেকে সর্বোচ্চ ২১৭ জন অপরপক্ষে ২য় শিফট থেকে সর্বনিম্ন ১২ জন মেধা তালিকায় স্থান পেয়েছেন।
অভিভাবকরা বলছেন, এমন ভর্তি পরীক্ষা পদ্ধতিতে ছেলেমেয়েদের মেধার মূল্যয়ন হচ্ছেনা। বরং ভাগ্যের উপর নির্ভর করতে হচ্ছে।
জানা যায়, বি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ২৩ হাজার ৭৯১ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছেন ৬ হাজার ২২৬ জন। মোট ৫টি শিফটে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রথম শিফটে ৩৩ জন, তৃতীয় শিফটে ৩৫ জন ও চতুর্থ শিফটে ২৯ জন মেধা তালিকায় স্থান পেয়েছেন।
ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা বলছেন, একাধিক শিফটে পরীক্ষা নেয়ার ফলে আমরা বৈষম্যের শিকার হচ্ছি। তাদের দাবি, প্রতি শিফটে নিদির্ষ্ট সংখ্যক আসন দিলে এ বৈষম্য তৈরি হবে না।
এর আগে, ‘ডি’ ইউনিট (জীববিজ্ঞান অনুষদ), ‘জি’ ইউনিট (আইবিএ) ও ‘এইচ’ ইউনিটের (আইআইটি) ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, সর্বমোট ১০টি শিফটে অনুষ্ঠিত ‘ডি’ ইউনিটের পরীক্ষায় ৩২০টি আসনের মধ্যে ৫ম শিফটে মেধা তালিকায় স্থান পেয়েছে সর্বোচ্চ ১০৪ জন। অন্যদিকে ৩য় শিফটে সর্বনি¤œ মেধা তালিকায় স্থান পেয়েছে মাত্র ১ জন। এ ছাড়া প্রথম শিফটে ১০ জন, দ্বিতীয় শিফটে ৭ জন, চতুর্থ শিফটে ১৮, ষষ্ঠ শিফটে ২২, সপ্তম শিফটে ৫৩, অষ্টম শিফটে ২৯, নবম শিফটে ৪৯ ও দশম শিফটে ২৭ জন শিক্ষার্থী স্থান পেয়েছে।
অন্যদিকে দুইটি শিফটে অনুষ্ঠিত ‘জি’ ইউনিটের পরীক্ষায় ৫০টি আসনের মধ্যে প্রথম শিফটে মেধা তালিকায় স্থান পেয়েছে ১৫ জন এবং দ্বিতীয় শিফটে মেধা তালিকায় স্থান পেয়েছে ৩৫ জন। এছাড়া তিনটি শিফটে অনুষ্ঠিত ‘এইচ’ ইউনিটের পরীক্ষায় ৫৬টি আসনের মধ্যে প্রথম শিফটে ২০ জন, দ্বিতীয় শিফটে ২৩ জন ও তৃতীয় শিফটে ১৩ জন শিক্ষার্থী মেধা তালিকায় স্থান পেয়েছে।
শিক্ষাবিদ ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের প্রফেসর আনু মুহাম্মদ বলেন, আমরা অনেকবার বলেছি শিফট পদ্ধতি বাদ দিয়ে একই প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নিতে। এজন্য প্রয়োজনে দেশের বিভিন্ন শহরে পরীক্ষার আয়োজন করা যেতে পারে। তাতে বৈষম্য কমবে এবং শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের ভোগান্তি কমবে। তাই বিশ^বিদ্যালয় প্রশাসনের উচিত আগামী বছর থেকে এক শিফটেই পরীক্ষার ব্যবস্থা করা।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার ও সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর রাশেদা আখতার বলেন, ইংরেজি মাধ্যমের শিক্ষার্থীরা পঞ্চম শিফটে পরীক্ষা দেওয়ায় এমন বৈষম্য হতে পারে। আমরা নিজেরাও চাচ্ছি শিফট পদ্ধতি বাদ দিয়ে পরীক্ষা নিতে। তবে এ বছর করোনার কারণে সেটা সম্ভব হয়নি। এ ব্যাপারে আলোচনা করবো, আগামী বছর থেকে কিভাবে সমস্যা থেকে উত্তরণ করা যায় সেটা দেখবো।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।