নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
শামীম চৌধুরী, চট্টগ্রাম থেকে : চট্টগ্রাম টেস্টের জন্য যে স্কোয়াড হয়েছে ঘোষিত, ওই দলে বাংলাদেশ বোলারদের উইকেট শিকারের সমষ্টি ২৪৫টি। তার অর্ধেকেরও বেশি উইকেট সাকিবের (১৪৭ উইকেট)। ঘরের মাঠে টেস্টে উইকেট শিকারের সেঞ্চুরিটাও পূর্ণ করেছেন ইতোমধ্যে (১০৪টি)। সংখ্যাটি চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ স্টেডিয়ামেই শুধু ৪২টি। ২০০৮ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে (৭/৩৬) দলের প্রধান বোলার পরিচয়ে আত্মপ্রকাশও করেছেন এই জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। আছে এই ভেন্যুতে তিন তিনটি ইনিংসে ৫টি করে উইকেট। ২০১৪ সালে শ্রীলংকার বিপক্ষে গর্বের ড্র’র ম্যাচেও সাকিবের শিকার ৫টি। বাংলাদেশ দলের বোলিং লাইন আপে সবচেয়ে অভিজ্ঞ। ১৪ জনের দলে পেস বোলারের সংখ্যা মাত্র ২, ইনজুরির কারণে নেই দেশের প্রধান পেস অস্ত্র মুস্তাফিজুর। সঙ্গতকারণেই তাকে ঘিরেই আবর্তিত হচ্ছে চট্টগ্রাম টেস্টে বোলিংয়ের স্বপ্ন।
অথচ, এই সিরিজকে সামনে রেখে নিজেদে দলের প্রধান বোলার ভাবছেন না সাকিব। এমনকি প্রধান বোলারের দায়িত্ব পালনে বাড়তি চাপ নেয়ার কথাও ভাবছেন না সাকিব। গতকাল অনুশীলনে নেমে পড়ার আগে মিডিয়াকে সে কথাই জানিয়েছেন সাকিবÑ‘চাপের কি আছে? এখনতো আমি আগের মতো অতো বেশি বোলিংও করি না। যখন অনেক বেশি বোলিং করতাম তখন এক ধরনের রোল ছিলো, এখন অতো বেশি বোলিং করা লাগে না। আমি যে মূল স্পিনার হিসেবে খেলছি, তাও কিন্তু নয়। আগে একজন স্পিনার নিয়ে খেললে আমি হতাম একমাত্র স্পিনার। এখন আসলে ওই ভূমিকা নেই।’
দীর্ঘ বিরতিতে টেস্ট খেলা বাংলাদেশের জন্য নতুন কিছুই নয়। সাকিব নিজেও ক্যারিয়ারে তিন তিনবার দেখেছেন টেস্টে লম্বা বিরতি। সে কারণেই টেস্টে মনস্থির করাটাই তার প্রধান লক্ষ্যÑ‘এই রকম তিনবার হয়েছে। নতুন নতুনতো লাগেই। অনেকদিন না খেললে একটা গ্যাপ তৈরি হয়। ওয়ানডেই খেললাম আমরা এক বছর পর। ওটাও মানিয়ে নিতে প্রথম দুই-তিন ম্যাচ আমাদের সময় লেগেছে। অনেকক্ষণ ধরে বোলিং করা, লম্বা সময় ধরে ব্যাটিং করা, সবকিছুই অন্যরকম। অনেকদিন টেস্ট ম্যাচ খেলিনি। লংগার ভার্সন ক্রিকেট সেই কবে খেলছি, তা মনে নেই। চেষ্টা করছি সেভাবে মনস্থির তৈরি করতে। খুব বেশি প্রস্তুতির দরকার নেই। মানসিক দিক থেকে যতবেশি ঠিক থাকা যাবে, টেস্ট ম্যাচের জন্য ততোই প্রস্তুত থাকা যাবে।’
টেস্টে জিততে হলে প্রতিপক্ষকে ২ বার অল আউট করতে হবে। তবে ফ্লাট উইকেটে বোলারদের জন্য কাজটা অসম্ভব বলেই মনে করছেন সাকিবÑ‘আমরা হোমে যখন খেলি, তখন ব্যাটসম্যানরা যেন রান করে, সে জন্য সাধারণত চেষ্টা করা হয় ফ্ল্যাট উইকেট বানানো। যদি কখনো স্পিনার কিংবা পেসারদের সুযোগ দেয়া হয়, তখন আমাদের বোলারদের ২০ উইকেট নেয়ার যোগ্যতা আছে বলে মনে করছি আমি। কিন্তু যদি ফ্ল্যাট উইকেট বানিয়ে দেয়া হলে বোলারদের পক্ষে উইকেট নেয়া সম্ভব নয়।’
টেস্ট ক্যারিয়ারে ২ বার সেঞ্চুরি এবং ৫ উইকেটের মতো সেরা অল রাউন্ড পারফরমেন্সের অতীত আছে সাকিবের। এই মুহূর্তে টেস্ট দলকে ঘিরে যা কিছু স্বপ্ন, তা আবর্তিত হচ্ছে সাকিবকে ঘিরেই। তবে দল নিয়ে নয়, নিজের দায়িত্বটা পালনে সচেষ্ট থাকবেন বলে জানিয়েছেন সাকিবÑ‘দল নিয়ে চিন্তা করার দায়িত্বটা আমার নয়। আমার দায়িত্ব খেলা। আমার দায়িত্ব দলে কন্ট্রিবিউশন করা। তা আমি ভালোভাবে করার চেষ্টা করবো।’
টেস্টে পাঁচ অথবা ৬ নম্বরে খেলতে খেলতে এই পজিশনকেই স্থায়ী বলে ধরে নিয়েছেন সাকিবÑ‘সাধারণত ৫ কিংবা ৬ নম্বরে ব্যাটিং করি। মনে হয় না ওর থেকে বেশি পরিবর্তন হবে।’ জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সর্বশেষ ৪টি টেস্টের একটিতেও হারেনি বাংলাদেশ, ১ জয়ের পাশে তিন ড্র’। তবে টেস্ট র্যাংকিংয়ে তিন নম্বর দলের বিপক্ষে জেতার জন্যই খেলবে বাংলাদেশ দল, সে লক্ষ্যের কথাই জানিয়েছেন সাকিবÑ‘অবশ্যেই জেতার জন্যই খেলব। তার জন্য আমাদের অবশ্যই ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে। তা আমরা জানি। ওভাবেই প্রস্তুতি নিচ্ছি।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।