পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের (ইফা) অধীনে আউটসোসিং এর নিয়োগকৃত ২২৪ জন কর্মচারি বিগত ১৮ মাস যাবত বেতন ভাতা পাচ্ছে না। করোনা মহামারির লকডাউনের দরুণ দীর্ঘ দিন যাবত এসব কর্মচারি বেতন ভাতা না পাওয়ায় পরিবার পরিজন নিয়ে অনাহার অনিদ্রায় দিন কাটাচ্ছে। ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো.ফরিদুল হক খান এসব কর্মচারিদের চাকরি রাজস্ব খাতে স্থানান্তর এবং বকেয়া বেতন পরিশোধের প্রতিশ্রুতি দিলেও অদ্যাবধি তা’পূরণ করা সম্ভব হয়নি। একাধিক ভুক্তভোগি এতথ্য জানিয়েছেন। সূত্র জানায়, উল্লেখিত কর্মচারিরা ২০১৯ সালের নভেম্বর থেকে ২০২০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রায় ১৮ মাস বকেয়া বেতন না পেয়েই কাজ করে যাচ্ছে। বকেয়া না বেতন পরিশোধ এবং চাকরি রাজস্বখাতে স্থানান্তরের দাবিতে এসব কর্মচারি বিভিন্ন সময় মানববন্ধন থেকে শুরু করে অবস্থান ধর্মঘট কর্মসূচি পালন করেছে। করোনাকালীণ সময়ে দায়িত্ব পালন করেও বেতন-ভাতা না পাওয়ার কারণে প্রধানমন্ত্রী বকেয়া বেতন পরিশোধসত তাদের চাকরি রাজস্ব করার জন্য নির্দেশ দেন। প্রধানমন্ত্রী মডেল মসজিদে নিয়োগ দেয়ার কথা উল্লেখ করে নির্দেশ দেয়াটাকে ইফার কর্তৃপক্ষ অজুহাত দিচ্ছে। অথচ ইফাতে বর্তমানে প্রায় ৫০০ এর অধিক পথ শূন্য রয়েছে। ২২৪ জন জনবলের মধ্যে মাত্র ১৬৪ জন আউটসোর্সিং-এ নিয়োগ নিয়েছে। বাকি জনবল আজ অনাহার অর্ধাহারে দ্বারে দ্বারে ঘুরছে। এই আউটসোর্সিং করার ফলে ইফা হতে ৩য় শ্রেণির কিছু ও ৪র্থ শ্রেণির সকল সৃজনকৃত পথ বিলুপ্তির পথে। এসব অসহায় ২২৪ জন কর্মচারির দিক বিবেচনা করে তাদের দ্রুত রাজস্ব খাতে নিয়োগ এবং বকেয়া বেতন ভাতা পরিশোধের জন্য তারা প্রধানমন্ত্রীর আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।