নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বিশেষ সংবাদদাতা, চট্টগ্রাম থেকে : ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচে ২৭৭ স্কোর করেও হেরেছে বাংলাদেশ দল,তার কারন হিসেবে রাতের শিশিরই হয়েছে অভিযুক্ত। ডে-নাইট ম্যাচে শিশির ফ্যাক্টর, কিন্তু টেস্টে তো আর হানা দিচ্ছে না শিশির। সে কারণেই চট্টগ্রাম টেস্টে হোম এডভানটেজ নিতে চান বাংলাদেশ ম্যানেজার খালেদ মেহমুদ সুজনÑ‘এটা তো ডে-নাইট ম্যাচ না যে কুয়াশা পড়বে। বা উইকেটে বল ঘুরবে না, এমন কিছুও না। যেহেতু দিনের বেলা খেলা হবে, তাই কন্ডিশনের দিক থেকে আমাদের অ্যাডভান্টেজটা একটু বেশি। আমাদের হোম কন্ডিশন আমরা ভালো বুঝি। অনেকদিন পর টেস্ট খেলছি, এটা একটা বড় ব্যাপার। তারপরেও আমরা ভাগ্যবান, হোম কন্ডিশনে টেস্ট খেলছি। নিজেদের সেরা খেলাটা খেলতে পারলে সিরিজটা খুব প্রতিদ্ব›দ্বীতাপূর্ণ হবে।’
উইকেট পরখ করে গতকাল দেখেছেন হেড কোচ হাতুরুসিংহে, কিউরেটর জাহিদ রেজা বাবুর সঙ্গে বলেছেন কথা। চাইলেই রাতারাতি উইকেটের বৈশিষ্ট্য বদলে দিতে পারবেন না কিউরেটর। তবে বাংলাদেশ দলে যখন স্পিনারের সমাবেশ, তখন স্পিনাররাই এই টেস্টে বাংলাদেশকে দিবে সুখবর, এমনটাই ধারণা করছেন সুজনÑ‘মনে হচ্ছে এটা স্পোর্টিং উইকেট। স্পিনাররাই আমাদের মূলশক্তি। আশা করছি স্পিনাররা ভালো করবে।’
দলে সাব্বির, মিরাজের অন্তর্ভুক্তিতে বেড়েছে ব্যাটিং শক্তি। চট্টগ্রাম টেস্টের সম্ভাব্য দলে অন্তত: ৮ জন ব্যাটসম্যান থাকছেন, তা নিশ্চিত। তবে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট জয়ের দুঃসাহস যেখানে পাচ্ছেন না কোচ, ২০ উইকেট নেয়ার সামর্থ বর্তমান দলটির নেই বলে মিডিয়াকে বাস্তব চিত্র তুলে ধরেছেন, সেখানে বাংলাদেশ টিম ম্যানেজার সুজন টেস্ট সিরিজকে সামনে রেখে রক্ষণাত্মক মানসিকতার পক্ষপাতী নন। লক্ষ্য তার জয়। ১-০তে সিরিজ জিততে পারলে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে টপকে টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে ৮ এ উঠে আসবে বাংলাদেশ দল। সেই লক্ষ্য অর্জনে বোলারদের বিশেষ দায়িত্ব নেয়ার তাগিদ দিলেন সুজনÑ ‘অনেকে হয়তো ভাবে যে আমরা ডিফেন্সিভ হয়ে গেছি, ড্র’র জন্য খেলবো। আসলে সেরকম কিছু না। অবশ্যই আমরা জেতার জন্য খেলবো। টেস্টে ২০টি উইকেট না নিলে ভালো ব্যাটিং করেও লাভ নেই। উইকেট নিতেই হবে। ২০ উইকেট নেয়ার সামর্থ আমাদের নেই, তা ঠিক নয়।’
কিন্তু অভিজ্ঞতার দিক থেকে তো ইংল্যান্ডের চেয়ে যোজন যোজন দুরে বাংলাদেশ দল। ইংল্যান্ডের বর্তমান দলটির ক্রিকেটারদের টেস্ট অভিজ্ঞতার সমষ্টি যেখানে ৪৬৩ ম্যাচ, সেখানে বর্তমান বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটারদের টেস্ট ম্যাচের সমষ্টি ২৪৫টি। অ্যালিস্টার কুক এবং স্টুয়ার্ট ব্রডের দু’জনের ম্যাচ সংখ্যা যোগ করলে যা দাঁড়াবে, বাংলাদেশ ক্রিকেটারদের সবার টেস্ট ম্যাচের যোগফল তার চেয়ে ১৪টি বেশি! তবে অভিজ্ঞতার এই ব্যবধান খেলায় প্রতিফলিত হবে বলে মনে করছেন না সুজনÑ‘ইংল্যান্ডের টেস্ট দলটি পূর্ণ শক্তি নিয়ে এসেছে, তাদের টেস্ট খেলার অভিজ্ঞতা অনেক বেশি। তবে আমাদের অনেক পরিবর্তন হয়েছে। এখন আর আগের দিন নাই। আমরা অনেক প্ল্যান করেই খেলবো।’
যেভাবে টেস্টে বছরের পর বছর করছেন অ্যালিস্টার কুক, বাংলাদেশের বিপক্ষে অতীতটাও তার দারুণ, ৪ টেস্টে ৪০১ রান, আছে ২টি সেঞ্চুরি। ৬ বছর আগে ১৭৩ রানের ইনিংসে দু’দলের মধ্যে ব্যবধান গড়ে দিয়েছেন কুক। তাই কুককে নিয়ে বিশেষ পরিকল্পনা আছে বাংলাদেশ দলের, তা জানিয়েছেন সুজনÑ‘হ্যাঁ অবশ্যই কুককে নিয়ে টিম প্ল্যানতো থাকবেই।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।