পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সৈয়দপুর ও চিলাহাটি ইন্টারচেঞ্জে গত ৩ মাসে ভারত থেকে মালামাল পরিবহনের মাধ্যমে ৩ কোটি টাকারও বেশি আয় করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার শওকত আলী জানান, বাংলাদেশের চিলাহাটি ও ভারতের হলদিবাড়ী ইন্টারচেঞ্জ রুটটি গত বছরের ১ আগস্ট থেকে চালু হয়েছে। আন্তঃদেশীয় মালবাহী ট্রেন চলাচলের আওতায় এই রুট দিয়ে সৈয়দপুরে সবচেয়ে বেশি আমদানি হয়েছে ভারতীয় পাথর।
বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালকের দফতর সূত্রে জানা যায়, শুধুমাত্র আগস্ট মাসে ৭টি মালবাহী ট্রেন বহরে মোট ১২ হাজার ৫২ মেট্রিক টন ভারতীয় পাথর বাংলাদেশে এসেছে। এতে রেলেওয়ের আয় হয়েছে ৬৫ লাখ ৮৭ হাজার ৫৫২ টাকা।
সূত্রটি আরও জানায়, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে চলতি বছরের জুলাই মাস থেকে আন্তঃদেশীয় অক্সিজেন এক্সপ্রেস ট্রেন চলাচল করছে। গত ৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১৫টি ট্রেন বহরে মোট ৩ হাজার মেট্রিক টন অক্সিজেন রেলওয়ের মাধ্যমে ভারত থেকে বাংলাদেশে আনা হয়েছে।
রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত আগস্ট থেকে অক্টোবর পর্যন্ত চিলাহাটি-হলদিবাড়ী রুটে ৩ মাসে রেলওয়ের মোট আয় হয়েছে পৌনে ৩ কোটি টাকারও বেশি। এ ছাড়াও দেশের আরও ৫টি ইন্টারচেঞ্জ পয়েন্ট দিয়ে ভারতের বিভিন্ন রুট দিয়ে শুধু আগস্ট মাসে ১৫৩টি ট্রেন বহরে ৩ লাখ ১৪ হাজার ১৩০ মেট্রিক টন মালামাল পরিবহন করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। এতে রেলওয়ের আয় হয়েছে ১৫ কোটি ৫৯ লাখ ৭৭ হাজার ৪২৪ টাকা।
সরেজমিন দেখা গেছে, বাংলাদেশ-ভারত আন্তঃদেশীয় ট্রেন চলাচলের ফলে সৈয়দপুর ও চিলাহাটি রেলওয়ে স্টেশন এলাকার দৃশ্যপট পাল্টে গেছে। অবহেলিত জীর্ণশীর্ণ চিলাহাটি স্টেশনে ব্যাপক উন্নয়নের ফলে দর্শনীয় স্থানে পরিণত হয়েছে স্টেশনটি। চলছে আধুনিক দৃষ্টিনন্দন রেলওয়ে স্টেশন নির্মাণের কাজ। সৈয়দপুরসহ বিভিন্ন এলাকার মানুষ ডোমার উপজেলার ভোগডাবুড়ি ইউনিয়নের চিলাহাটি-হলদিবাড়ী জিরো পয়েন্ট দেখার জন্য যাচ্ছে। প্রতিদিন শতশত দর্শনার্থীর পদচারণায় মুখর থাকছে চিলাহাটি রেলওয়ে স্টেশন এলাকা।
সূত্র মতে, চিলাহাটি থেকে প্রতিদিন ৬টি ট্রেন দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে চলাচল করছে। চিলাহাটি থেকে ছেড়ে আসা এসব ট্রেনের প্রতিটির স্টপেজ রয়েছে সৈয়দপুরে।
রেলওয়ের অপর একটি সূত্রে জানা গেছে, আঞ্চলিক বিমানবন্দরের কারণে সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশনও আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। ইতোমধ্যেই উচ্চ পর্যায়ের একটি সমীক্ষা দল এর সম্ভাব্যতা যাচাই করেছে। এটি করা হচ্ছে সৈয়দপুর আঞ্চলিক হাব বিমানবন্দরের কারণে।
ইতোমধ্যে সৈয়দপুর-কক্সবাজারের মধ্যে প্রতি সপ্তাহে চার দিন সরকারি সংস্থার বিমানের ফ্লাইট চলাচল করছে।
প্রতিটি ফ্লাইট যাত্রীতে পূর্ণ থাকছে। ফ্লাইট সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে বিমানের একটি সূত্র। এ ছাড়াও ইউএস-বাংলা নিয়মিত সৈয়দপুর-চট্টগ্রাম রুটে তাদের ফ্লাইট পরিচালনা করছে। এর ফলে সরাকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে সৈয়দপুর শহরে ব্যাপক অবকাঠামোগত উন্নয়ন হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।