বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
নওগাঁর মান্দার গনেশপুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থীর দু’পক্ষের কর্মি-সমর্থকদের সংঘর্ষে এক গ্রাম পুলিশসহ ৮জন আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার সতিহাটে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে নওগাঁ-রাজশাহী মহাসড়কের সতিহাট বাসস্ট্যান্ড এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এতে মহাসড়কের উভয়পাশে যানবাহন আটক পড়ে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল পৌঁছে উভয়পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দিলে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়। সংঘর্ষে আহতরা হলেন, জাহাঙ্গীর আলম (৩৮), আলম হোসেন (২৮), হেলাল উদ্দিন (৪০), মোস্তাকিম হোসেন (৩৫), গ্রামপুলিশ আমিনুল ইসলাম (৩৩), মাও. সাইফুল ইসলাম শান্ত (৪০), রানা (৩৮), সাহাদত হোসেন বাবু (৩৫)। এর মধ্যে জাহাঙ্গীর ও আলম রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং শান্ত, রানা ও বাবুকে নওগাঁ হাসপাতালে স্থানাস্তর করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, গনেশপুর ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ও উপজেলা বিএনপির আহবায়ক শফিকুল ইসলাম বাবুল চৌধুরীর পক্ষে ভোট চাওয়ার অভিযোগে সাইফুল ইসলাম শান্ত নামে এক কর্মিকে শুক্রবার সন্ধ্যায় সতিহাটের আলেফ উদ্দিনের কাপড়ের দোকানে মারধর করে নৌকা প্রার্থী হানিফ উদ্দিন মন্ডলের কর্মি-সমর্থকরা। এ সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর উত্তেজিত কর্মি-সমর্থকরা ঘটনার বিচার দাবিতে সতিহাট বাসস্ট্যান্ড এলাকায় নওগাঁ-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধসহ বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। একই সময় সতিহাট শহীদ মিনার এলাকায় অবস্থান নেন হানিফ উদ্দিন মন্ডলের কর্মি-সমর্থকরা। এতে দু’পক্ষে চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ের উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণসহ উভয়পক্ষের লোকজনকে ছত্রভঙ্গ করে দেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী শফিকুল ইসলাম বাবুল চৌধুরী বলেন, গনেশপুর ইউনিয়নের গ্রামপুলিশ আমিনুল ইসলাম নৌকা প্রার্থীর পক্ষ নিয়ে আমার কর্মি-সমর্থকদের ওপর হামলা করায় পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ করে। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তসহ বিচার দাবি করছি। নৌকার প্রার্থী হানিফ উদ্দিন মন্ডল এসব অভিযোগ করে বলেন, নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে স্বতন্ত্র প্রার্থী বাবুল চৌধুরীর লোকজন অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতির সৃষ্টি করছে। স্বতন্ত্র প্রার্থীর লোকজন আমার নির্বাচনী একটি ক্যাম্প ভাঙচুর করেছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুর রহমান বলেন, এখন পর্যন্ত কোন পক্ষ মামলা করেননি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ওই ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুর রশিদ বলেন, ঘটনাটি অবহিত হয়েছি। সংঘর্ষের ঘটনাটি ফৌজাদারী অপরাধ। এ বিষয়ে প্রার্থীরা মামলা করতে পারেন। বিষয়টি নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘন জানিয়ে তিনি বলেন, অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।