Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

লেমোসের সিসেলেস আক্ষেপ

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১২ নভেম্বর, ২০২১, ১২:০৩ এএম

শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোতে প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে চারজাতি আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে নিজেদের প্রথম ম্যাচে আফ্রিকান দেশ সিসেলেসের বিপক্ষে পয়েন্ট হারিয়ে এখন দারুণ সমালোচিত বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের অবস্থান যেখানে ১৮৭, সেখানে সিসেলেস রয়েছে ১৯৯তম স্থানে। নিজেদের চেয়ে ১২ ধাপ পেছানো দলটির বিপক্ষে ম্যাচের শুরুতে প্রথমে গোল করেও শেষ পর্যন্ত লিড ধরে রাখতে পারেনি লাল-সবুজরা। ম্যাচের শেষ দিকে এসে গোল হজম করে ১-১ ব্যবধানের ড্র নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় জামাল ভূঁইয়াদের। ম্যাচে যে বাংলাদেশ শুধু পয়েন্ট হারিয়েছে তা কিন্তু নয়, পুরো ম্যাচে প্রত্যাশা অনুযায়ী খেলতে পারেনি পর্তুগিজ কোচ মারিও লেমোসের দল। সিসেলেসের বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রাপ্তি ১৭ মিনিটে ফরোয়ার্ড মোহাম্মদ ইব্রাহিমের গোলটিই। এগিয়ে যাওয়ার পর যেখানে ব্যবধান বাড়ানোর জন্য চেস্টা করার কথা সেখানে শ্রীহীন খেলা উপহার দিয়ে উল্টো চাপের মুখে পড়ে লাল-সবুজরা। ভাগ্য ভালো তাদের সিসেলেস ম্যাচের শেষ দিকে এসে সমতাসূচক গোলটি পায়। যদি তারা আরো আগে গোল পেত তাহলে হয়তো ম্যাচের ফলাফল অন্যরকম হতে পারতো। টুর্নামেন্টে নিজেদের প্রথম ম্যাচে র‌্যাঙ্কিংয়ে পিছিয়ে থাকা দলের বিপক্ষে পয়েন্ট হারিয়ে দারুণ হতাশ বাংলাদেশ কোচ লেমোস। বুধবার কলম্বোর রেসকোর্স স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে গোল পাওয়ার আগ পর্যন্ত দাপটের সঙ্গেই খেলেছে বাংলাদেশ। তবে এগিয়ে যাওয়ার পর ধীরে ধীরে যেন নিজেদের হারিয়ে ফেলেন জামাল-তপুরা। ফলে চাপে পড়তে হয় তাদের। যদিও এগিয়ে থেকেই দ্বিতীয়ার্ধ শুরু করে বাংলাদেশ। কিন্তু ধুঁকতে থাকেন তারা। বিরতির পর ছক বদলে ৪-৪-২ ফরমেশনে খেলে সফলতা পেয়েছে সিসেলেস। তাই তো ম্যাচ শেষে বাংলাদেশ কোচকে বলতে শোনা গেছে, ‘হতাশাজনক ম্যাচ। প্রথমার্ধে ভালো কিছু সুযোগ তৈরি করেছি আমরা, গোলও পেয়েছি। কিন্তু এগিয়ে যাওয়ার পর চেষ্টা করেও ব্যবধান বাড়াতে পারেনি ছেলেরা। দ্বিতীয়ার্ধে সিসেলেস ফরমেশন বদলে খেলেছে। যে কারণে খেই হারিয়ে ফেলে আমার দল। তাদের এই ফরমেশন বদল আমাদের জন্য বিপদের কারণ হয়েছে। তারা আমাদের চাপ দিয়েছে।’
লিড নিয়ে তা ধরে রাখতে না পারার কারণ হিসেবে মনোযোগে ঘাটতির পাশাপাশি ক্লান্তিকে দায়ী করছেন মারিও লেমোস। এ প্রসঙ্গে গতকাল তিনি কলম্বো থেকে বলেন, ‘মূলত মনোযোগে ঘাটতির কারণে সিসেলেসের বিপক্ষে প্রথমে গোল করেও লিড ধরে রাখতে পারিনি আমরা। যখন আপনি জয়ের পথে আছেন, তখন ৮৮ মিনিটে গোল খাওয়াটা আসলে মনোযোগের ঘাটতি। আমি জানি ছেলেরা ক্লান্ত ছিল, তারা খুব বেশি ফিটও নয়।’ তবে শেষ পর্যন্ত রক্ষণভাগ আরো সজাগ থাকলে পূর্ণ ৩ পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারতেন জামাল ভূঁইয়ারা। লেমোসের আক্ষেপ,‘এক গোলে এগিয়ে থাকার পর আমাদের সুযোগ ছিল ব্যবধান বাড়ানোর, কিন্তু তা করতে না পারায় পরে ম্যাচটা আরো কঠিন হয়ে যায়। আমরা চাপে পড়ে যাই। সত্যি বলতে কি আমাদের যদি ইয়াসিনের মতো আরেকজন সেন্টার ব্যাক থাকতো তাহলে রক্ষণ আরো জমাট রাখতে পারতাম। গোল হজম করার পর আমরা চেষ্টা করেছি, তবে অনেক দেরি হয়ে গেছে।’
সিসেলেসের বিপক্ষে ড্র করায় বাংলাদেশের জন্য ফাইনাল এখন কঠিন হয়ে পড়েছে। রাউন্ড রবিন লিগে আগামীকাল ফেভারিট মালদ্বীপের মুখোমুখি হবেন জামালরা। ফাইনাল খেলার জন্য এ ম্যাচে জয়ের বিকল্প নেই বাংলাদেশের।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: লেমোসের সিসেলেস আক্ষেপ

১২ নভেম্বর, ২০২১
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ