পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অন্যান্য বছরের মতো এবারও ‘বিতর্কিত ও বৈষম্যমূলক’ পদ্ধতিতেই অনুষ্ঠিত হচ্ছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা। গতকাল বৃহস্পতিবার প্রকাশিত হয়েছে ‘ডি’ ইউনিটের (জীববিজ্ঞান অনুষদ) ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল। প্রকাশিত ফলাফলে শিফট পদ্ধতিতে বৈষম্যের ভয়াবহ চিত্র উঠে এসেছে।
৯ ও ১০ নভেম্বর ১০ শিফটে সমপন্ন হয় ডি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা। ৩২০টি আসনের বিপরীতে আবেদন করেন মোট ৬৯ হাজার ১২৯ জন। পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ৪৫ হাজার ৫ শত ৯৪ জন। পরীক্ষায় কৃতকার্য হয় মোট ১৯ হাজার ১ শত ৭২ জন পরীক্ষার্থী।
প্রকাশিত ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ১০ টি শিফটের মধ্যে প্রথম শিফট থেকে ১০ জন, দ্বিতীয় শিফট থেকে ৭ জন, ৩য় শিফট থেকে সর্বনিম্ন ১ জন, চতুর্থ শিফটে ১৮, ৫ম শিফটে সর্বোচ্চ ১০৪ জন, ষষ্ঠ শিফটে ২২, সপ্তম শিফটে ৫৩, অষ্টম শিফটে ২৯, নবম শিফটে ৪৯ এবং দশম শিফটে ২৭ জন শিক্ষার্থী মেধা তালিকায় স্থান পায়। এর মধ্যে শীর্ষ ১০ জন শুধু মাত্র ৫ম শিফট থেকে মেধা তালিকায় স্থান পায়। তার মধ্যে মেয়েদের তালিকায় প্রথম দশজনের মধ্যে রয়েছে ৭ জন এবং ছেলেদের তালিকায় ৫ জন। এছাড়া ৩য় শিফট থেকে মাত্র ১জন ছাত্র মেধা তালিকায় স্থান পেলেও নেই কোন ছাত্রী।
ডি ইউনিটের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা শিক্ষার্থী সৌরভ সেন তন্ময় বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের শিফটভিত্তিক পদ্ধতিতে পরীক্ষার ফলে মারাত্মক বৈষম্য সৃষ্টি করা হয়েছে। এভাবে বৈষম্য সৃষ্টি করে আমাদের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। যদি শিফট পদ্ধতি রাখা হয় তবে প্রতি শিফটের জন্য আলাদা আসন বন্টন করা হোক।
বৈষম্যের বিষয়ে ছাত্র ইউনিয়ন বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সভাপতি রাকিবুল রনি বলেন, ভর্তি পরীক্ষার একেক শিফটে একেক ধরনের প্রশ্ন হওয়ায় ভর্তিচ্ছু শিক্ষাথীর মেধা যাচাইয়ের মানদন্ড নিঃসন্দেহে বৈষম্যের কারণ হয়ে ওঠেছে। পরীক্ষার কেন্দ্র বৃদ্ধি করে বা বিভাগীয় শহরে পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা করলে তা এড়ানো যেতো।
শিক্ষাবিদ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের প্রফেসর আনু মুহাম্মদ বলেন, আমরা অনেকবার বলেছি শিফট পদ্ধতি বাদ দিয়ে একই প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নিতে। এজন্য প্রয়োজনে দেশের বিভিন্ন শহরে পরীক্ষার আয়োজন করতে হবে। তাতে বৈষম্য কমবে এবং শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের ভোগান্তি কমবে।
ভর্তি পরীক্ষার এমন ফলাফলে শঙ্কা প্রকাশ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি (শিক্ষা) প্রফেসর নুরুল আলম। তিনি বলেন, পরীক্ষা পদ্ধতির কারণে সমস্যা হয়, তবে এতবেশি সমস্যা হওয়ার তো কথা না। এক শিফট থেকে ১০৪ জন আসবে অন্যদিকে অন্য একটা শিফট থেকে মাত্র ১ জন। আমরা এই ব্যাপারে আলোচনা করবো, কিভাবে সমস্যা থেকে উত্তরণ করা যায় সেটা দেখবো।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।