মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : ইরাকের মসুলে ইসলামি স্টেট যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত আক্রমণের প্রথম দিনে ইরাকি বাহিনী এবং কুর্দি অনিয়মিত যোদ্ধাদের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে। গত সোমবার ভোর থেকে শুরু হওয়া আক্রমণে যোগ দিয়েছে মার্কিন যুদ্ধ বিমান। পেন্টাগন বলছে, প্রথম দিনের লক্ষ্য নির্ধারিত সময়ের আগেই অর্জিত হয়েছে। মসুল পুনরুদ্ধারে প্রথম দিনে ভালো অগ্রগতি হলেও জিহাদিদের সাথে সরাসরি সংঘর্ষ হয়েছে খুবই কম। বিশ্লেষকরা বলছেন, এখন পর্যন্ত অর্জন অনেকটাই প্রতীকী। যদিও পেন্টাগনের মুখপাত্র পিটার কুক বলছেন, মসুলের লড়াই শেষ হতে বেশ সময় লাগতে পারে। কারণ ইসলামি স্টেট রুখে দাঁড়িয়ে লড়াই করবে কিনা তা এখনও বোঝা যাচ্ছে না।
এদিকে, মসুল অভিযানে কুর্দি পেশমার্গা যোদ্ধা এবং ইরাকি বাহিনীর যৌথ অংশগ্রহণকে স্বাগত জানিয়েছে ইরাকের কুর্দিস্তানের আঞ্চলিক প্রেসিডেন্ট মাসুদ বার্জানি। ইরবিলের কাছে খাজির শহরে এক সংবাদ সম্মেলনে মাসুদ বার্জানি বলেন, এরই মধ্যে আইএসের হাত থেকে অনেক এলাকা পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। এখন পর্যন্ত ২শ’ বর্গকিলোমিটার এলাকা স্বাধীন করা সম্ভব হয়েছে। এটি মসুল অভিযানের প্রথম ধাপ। ইরাকের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মসুল আইএসের দখলে যায় ২০১৪ সালে। জেহাদি সংগঠনটির প্রধান আবু বকর আল বাগদাদি তার কথিত খেলাফত প্রতিষ্ঠার ঘোষণার জন্য মসুলকে বেছে নেন। একারণে মসুল পুনরুদ্ধারের একটি প্রতীকী মূল্য রয়েছে বলেও মনে করে পেন্টাগন। কয়েক মাসের দীর্ঘ পরিকল্পনার পর ইরাকি, কুর্দি এবং সুন্নী বিভিন্ন গোত্রের প্রায় ৩০ হাজার যোদ্ধা ইরাকে আইএসের সর্বশেষ ঘাঁটি মসুলে অভিযান শুরু করে। ধারণা করা হয় শহরটিতে এখনও প্রায় ৪ থেকে ৮ হাজার আইএস যোদ্ধা রয়েছে।
অপর খবরে বলা হয়, ইরাকের যে শহর থেকে দু’বছর আগে খেলাফত প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দিয়েছিল জেহাদি গোষ্ঠী আইএস সেই মসুল পুনর্দখলের জন্য গত সোমবার সবচেয়ে বড় যুদ্ধ শুরু করেছে ইরাকী বাহিনী। যুদ্ধ শুরুর পর আইএস জেহাদিরা ইরাকী বাহিনীর বিরুদ্ধে আত্মঘাতী গাড়ি বোমা হামলা চালিয়েছে বলে জানা গেছে। ব্রিটিশ দৈনিক দ্য টেলিগ্রাফের অনলাইন সংস্করণের খবরে বলা হয়, ইরাকের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মসুল পুনর্দখল এবং আইএসকে মরণ আঘাত হানার লক্ষ্যে সোমবার আক্রমণ শুরু করে ইরাকি বাহিনী। গত কয়েক মাসের ব্যাপক প্রস্তুতির পর যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সসহ মার্কিন নেতৃত্বাধীন ৬০ জাতির জোটের বিমান হামলার সহায়তায় এই আক্রমণ চালানো হচ্ছে। মসুলের যুদ্ধে ইরাকের কেন্দ্রীয় সেনাবাহিনীর প্রায় ৩০ হাজার সৈন্য অংশ নিচ্ছে। আইএস জেহাদি গোষ্ঠীর এই সর্বশেষ শক্ত ঘাঁটি পুনর্দখলের যুদ্ধ কঠিন এবং দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যুদ্ধ শুরুর ফলে শহরটিতে আটকে পড়া অন্তত ১২ লাখ সাধারণ নাগরিকের নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক উদ্বেগ উৎকণ্ঠার সৃষ্টি হয়েছে। দ্য টেলিগ্রাফ, বিবিসি, রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।