নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
চলে গেলেন দেশের ক্রিকেটের প্রথম ট্রিপল সেঞ্চুরিয়ান তারিকুজ্জামান মুনির। আজ দুপুরে ঢাকা থেকে সিলেট যাওয়ার পথে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে ইন্তেকাল করেছেন তিনি। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৩ বছর। কিছুদিন আগে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তারিকুজ্জামান মুনির। সুস্থ হয়ে কর্মজীবনেও ফিরেছিলেন। কিন্তু গতকাল দুপুরে সিলেট যাওয়ার পথে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হঠাৎই তার বুকে ব্যথা অনুভ‚ত হয়। সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী ও এক ছেলে রেখে গেছেন। মৃত্যুর সময় স্ত্রী ও ছেলে তার সঙ্গে ছিলেন। এক সময় দেশের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ পর্যায়ে খেলেছেন। খেলেছেন জাতীয় ক্রিকেট দলেও। ১৯৮৫ সালে তিনি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুটি ম্যাচ খেলেছিলেন। ১৯৮৪-৮৫ মৌসুমে জাতীয় ক্রিকেট চ্যাম্পিয়নশিপে করেছিলেন ট্রিপল সেঞ্চুরি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপক্ষে ছিল ৩০৮ রানের সেই ইনিংস। খেলাটি হয়েছিল ধানমন্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। সেটি বাংলাদেশের ক্রিকেটের প্রথম ট্রিপল সেঞ্চুরি। ইগলেটসের হয়ে ক্লাব ক্রিকেটে খেলা শুরু করেছিলেন ১৯৭৬-৭৭ মৌসুমে। এরপর আবাহনী, মোহামেডান, বিমান ও জিমসিসির হয়ে খেলেছেন ১৯৯০-৯১ মৌসুম পর্যন্ত। তার বড় ভাই আসাদুজ্জামান মিশাও জাতীয় পর্যায়ের ক্রিকেটার ছিলেন। ছিলেন জাতীয় ক্রিকেট দলের নির্বাচকও।
খেলা ছাড়ার পর তিনি দেশের বিভিন্ন বড় বড় করপোরেট প্রতিষ্ঠানে উচ্চপদে কাজ করেছেন। সংগঠক হিসেবেও ক্রিকেটের সঙ্গে জড়িয়ে রেখেছিলেন নিজেকে। ২০১১ বিশ্বকাপে তিনি স্থানীয় সাংগঠনিক কমিটির সদস্য ছিলেন। এ ছাড়াও বিসিবির লজিস্টিক ও প্রটোকল কমিটির সদস্যসচিব হিসেবেও কাজ করেছেন। তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।