Inqilab Logo

বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৪ বৈশাখ ১৪৩১, ০৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

শ্রীহীন ফুটবল খেলে ড্র’য়ে শুরু জামালদের

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১০ নভেম্বর, ২০২১, ৮:৪৬ পিএম | আপডেট : ৮:৫৩ পিএম, ১০ নভেম্বর, ২০২১

ফুটবল, ক্রিকেটসহ আন্তর্জাতিক আসরে প্রায় সব খেলাতেই বাংলাদেশের চেহারা বিবর্ণ। চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভে চরম ব্যর্থ হয়ে যখন টাইগাররা দেশে, ঠিক তখনই প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে চারজাতি আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট খেলতে শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোতে জাতীয় ফুটবল দল। আর এখানেও শুরুটা জয়ে রাঙাতে পারেনি বাংলাদেশ। শ্রীহীন খেলা উপহার দিয়েই কাগজে-কলমে অপেক্ষাকৃত দূর্বল সিসেলেসের বিপক্ষে ড্র নিয়েই মাঠ ছেড়েছেন জামাল ভূঁইয়ারা। বুধবার কলম্বোর রেস কোর্স স্টেডিয়ামে চারজাতি টুর্নামেন্টে নিজেদের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ ১-১ গোলে ড্র করে আফ্রিকান দেশ সিসেলেসের বিপক্ষে।

শ্রীলঙ্কায় টানা বর্ষণে মাঠ খেলার অনুপযোগী থাকায় পরপর দুইদিন পেছানোর পর বুধবার সিসেলেসের বিপক্ষে মাঠে নামে বাংলাদেশ। ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে যে পার্থক্য তাতে সিসেলেসের বিপক্ষে ফেভারিট ছিল লাল-সবুজরাই। বাংলাদেশের র‌্যাঙ্কিং যেখানে ১৮৭, সেখানে সিসেলেস রয়েছে ১৯৯তম স্থানে। নিজেদের চেয়ে ১২ ধাপ পেছানো সিসেলেসের বিপক্ষে ম্যাচের শুরুটাও বাংলাদেশ করেছিল ফেভারিটদের মতই। শুরু থেকে গোছালো ফুটবল খেলে ম্যাচের শুরুর দিকে গোলও করেছে জামাল ভূঁইয়া বাহিনী। তবে মোহাম্মদ ইব্রাহিমের গোলে এগিয়ে যাওয়া বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত লিড ধরে রাখতে পারেনি। ১৭ মিনিটে নিজেদের সীমানা থেকে টুটুল হোসেন বাদশার লং পাস এক সতীর্থের পা হয়ে পেয়ে যান ফরোয়ার্ড ইব্রাহিম। বল নিয়ে সিসেলেসের বক্সে ঢুকে এক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে চমৎকার শটে গোল করেন তিনি (১-০)। এই গোলের পর মনে হয়েছিল বাংলাদেশ বুঝি বড় ব্যবধানের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়বে। কিন্তু কোথায় কী? প্রায় ধুঁকতে ধুঁকতে প্রথমার্ধের বাকি সময়ের খেলা শেষ করেন তপু বমর্ণরা। দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই মনে হচ্ছিল বাংলাদেশের জন্য গোলটা ধরে রাখা কঠিন হতে পারে। আর ম্যাচের শেষ দিকে তো এসে ছন্নছাড়া ফুটবল খেলার খেসারত দিতে হয়েছে পর্তুগিজ কোচ মারিও লেমোসের দলকে। সিসেলেস দ্বিতীয়ার্ধের প্রায় পুরোটা সময় প্রাধান্য বিস্তার করে খেলে তছনছ করে দেয় বাংলাদেশের রক্ষণদূর্গ। যার ফল তারা পায় ম্যাচের শেষ দিকে। ৮৮ মিনিটে সতীর্থের ক্রসে ওয়ারেন এরিন বুক দিয়ে বল নামিয়ে রশিদ ড্যান ল্যাবরোসকে দিলে তিনি শটে লক্ষ্যভেদ করেন (১-১)। একটু পর উডলে ট্যাম্বোর শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হলে বেঁচে যায় বাংলাদেশ। ভাগ্য খারাপ বলতে হবে আফ্রিকান দেশটির। তারা যদি সমতাসূচক গোলটি আগে পেত তাহলে হয়তো জয় নিয়েই মাঠ ছাড়তে পারতো। কারণ ম্যাচে ফেরার আগে-পরে সিসেলেস বেশ কয়েকটি সুযোগ পেয়েছিল। সময় মতো সেগুলো তারা কাজে লাগাতে পারলে ম্যাচের ফলাফল অন্যরকম হতো। বাংলাদেশের সৌভাগ্য যে শেষ পর্যন্ত ম্যাচটি হারতে হয়নি।

এই ম্যাচ দিয়েই ঢাকা আবাহনীর পর্তুগালের কোচ মারিও লেমোসের জাতীয় দলের ডাগআউটে অভিষেক হলো। তবে অভিষেকটা স্মরণীয় করে রাখতে পারলেন না তিনি। টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচ খেলবে ১৩ নভেম্বর। এ ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ শক্তিশালী মালদ্বীপ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চারজাতি ফুটবল-শ্রীলঙ্কা
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ