মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
তালিবান জমানায় আফগান পরিস্থিতি পর্যালোচনায় আঞ্চলিক পরিষদের বৈঠক হল নয়া দিল্লিতে। ভারতের নেতৃত্বে হওয়া এ বৈঠকে অনুপস্থিত চীন এবং পাকিস্তান। কিন্তু উপস্থিত ছিল ৭টি দেশ। ইরান, রাশিয়া, উজবেকিস্তান, কাজাখস্থান, তাজিকিস্থান, কিরঘিজস্থান এবং তুর্কমেনিস্থানের প্রতিনিধিরা বৈঠকে অংশ নিয়েছেন। ভারতের নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল এ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। ভারতের ইন্ডিয়ান একক্সপ্রেস একথা জানিয়েছে।
সংবাদমাধ্যমটি জানায়, নয়া দিল্লির প্রস্তাবে সাড়া দেয় রাশিয়াসহ পশ্চিম এবং মধ্য এশিয়ার বাকি রাষ্ট্রগুলো। আফগানিস্তানের মাটিকে কিছুতেই সন্ত্রাসবাদ প্রতিপালন, প্রশিক্ষণ এবং উৎপাদনে আখড়া বানানো চলবে না। ভারতের নেয়া এ প্রস্তাবেই সাড়া দিয়েছে বাকি ৭ রাষ্ট্র। পাশাপাশি তালিবান জমানায় সেই দেশের পুনর্গঠন এবং মানবাধিকার রক্ষায় ইতিবাচক প্রতিবেশী হিসেবে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবে এই আঞ্চলিক রাষ্ট্রগুলো। এ প্রস্তাব গ্রহণ করেছে দিল্লিসহ রাশিয়া, ইরান এবং অন্যরা।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানায়, গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে সরিয়ে তালিবান সে দেশে ক্ষমতা দখলের পরেই মধ্য এবং পশ্চিম এশিয়ায় অস্থিরতা তৈরি। আফগান মুলুককে সন্ত্রাসবাদের ঘাঁটি বানিয়ে বহির্বিশ্বে তার প্রভাব বাড়াতে সক্রিয় হবে মৌলবাদীরা। ভারত, ইরান, রাশিয়া এবং উজবেকিস্তানের মতো দেশগুলো এই আশঙ্কা করতে থাকে।
তাই চলতি বছর সেপ্টেম্বরে মস্কোয় তালিবান প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বসে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সেই বৈঠকে অংশ নিয়েছিল ভারতসহ ৯টি রাষ্ট্র। তখনই দিল্লির তরফে এ বৈঠকের প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল। সেই বৈঠকে আফগানিস্তানে বেড়ে চলা মৌলবাদ, মাদক চোরাচালান, জঙ্গিবাদ দমনে প্রতিবেশী দেশগুলো পরামর্শদাতা হিসেবে কাজ করবে। এই প্রস্তাবও নেয়া হয়েছে।
এদিকে, মঙ্গলবার তাজিক এবং উজবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করেছেন দোভাল। সূত্রের খবর, দোভাল এবং তাজিক এনএসএ নাসরুল্লাহ রহমতজন মাহমুদজাদা আফগানিস্তান পরিস্থিতি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেছেন। কীভাবে অতীতে বার বার আফগান মাটিতে সন্ত্রাসের বাড়বাড়ন্ত দেখা গিয়েছে তা মাথায় রয়েছে তাঁদের।
এছাড়াও মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ও উঠে এসেছে আলোচনায়। আফগানিস্তানে খাদ্য সঙ্কটের খবর আসছে, সেটাও চিন্তার বিষয়। উজবেক এনএসএ ভিক্টর মাখমুদভের সঙ্গে একান্ত বৈঠকে দোভাল এ বিষয়ে উপনীত হন যে, আফগানিস্তানের ভবিষ্যৎ কী হবে তা সেখানকার জনগণই ঠিক করবেন।
এদিকে, ভারতের ডাকা বৈঠক এড়িয়ে চীনের যুক্তি, আফগানিস্তানে স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে দ্বিপাক্ষিক ক‚টনৈতিক স্তরের আলোচনাতেই জোর দেওয়া হবে। সূত্র : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।