পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, নির্বাচনের নামে সারাদেশে দস্যুতা চলছে। কোথাও কারো নিয়ন্ত্রণ নেই। প্রশাসন চলছে দলীয় মাস্তানদের কথায়। পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, সারাদেশে ইউনিয়ন ও পৌরসভায় নির্বাচন চলছে। এসব নির্বাচনে সারাদেশে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর প্রার্থী ও কর্মীদের ওপর সরকারদলীয় সন্ত্রাসীরা নজীরবিহীন হয়রানি করছে। এমনকি সরকার দলীয় দস্যুদের বর্বরোচিত হামলা প্রাণনাশের চেষ্টা, অপহরণ মনোনয়নপত্র ছিনতাই, প্রার্থীতা প্রত্যাহারে নানা চাপ প্রয়োগ এবং মামলা দিয়ে হয়রানি করার মত ঘটনা ঘটিয়ে ভীতিকর পরিবেশ তৈরি করা হচ্ছে। নির্বাচনী এলাকায় বহিরাগত মাস্তানদের দিয়ে মহড়া দিচ্ছে। আজ বুধবার এক বিবৃতিতে পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, স্থানীয় প্রশাসন এবং রিটার্নিং কর্মকর্তা সরকারদলীয় দস্যুদের নিয়ন্ত্রণ করছে না বরং তাদের বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় বিজয়ী হতে সহযোগিতা করছে। সরকার দলীয় সন্ত্রাসীদের এসব দস্যুতা বন্ধ না হলে, জনগণ ঐক্যবদ্ধ হয়ে ঘুরে দাঁড়াবে। তিনি আরো বলেন, জাতীয় নির্বাচন থেকে শুরু করে পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন পর্যন্ত কোন নির্বাচনেই দেশের মানুষ ভোট দিতে পারছে না। নির্বাচনে মানুষের এখন বিন্দু পরিমাণ আস্থা নেই। তার পরও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ একটি দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল হিসাবে পরিবর্তনের প্রত্যাশা নিয়ে নির্বাচনের মাঠে থাকার আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে।
তিনি ক্ষোভের সাথে বলেন, দেশে কোন নির্বাচন কমিশন আছে বলে মনে হয় না। আওয়ামী লীগ নির্বাচনী ব্যবস্থাকে পুরোপুরি ধ্বংস করে দিয়েছে। তিনি বলেন, দেশ এক চরম পরিণতির দিকে ধাবিত হচ্ছে। দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন।
শুক্রবার ঢাকায় বিক্ষোভ : ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি, এরপর বাসের ভাড়া বাড়ানো এবং যাত্রীদের হয়রানির কঠোর সমালোচনা করেছেন। সেই সঙ্গে ইউপি নির্বাচনে সহিংসতায় উদ্বেগ জানিয়ে তিনি সহিংসতা বন্ধের দাবি জানান।
ইউনুছ আহমাদ বলেন, ডিজেলের দাম একসঙ্গে ১৫ টাকা বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত অমানবিক। ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির আগে বাসমালিক ও জনগণের প্রতিনিধির সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিলে সরকার বুঝতে পারতো জনগণ কত সমস্যায় জর্জরিত। আজ বিভিন্ন জেলা জেলা থেকে আগত বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন দলের সহকারি মহাসচিব মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, প্রচার ও দাওয়াহ সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী। ইউনুছ আহমাদ বলেন, বাসভাড়া বাড়ায় জনগণের যে দুর্ভোগ হয়েছে বাসভাড়া বৃদ্ধির পদক্ষেপ অমানবিক। অত্যন্ত বেশি ভাড়া হয়েছে। অধিকাংশ বাসই গ্যাসে চালিত। কিন্তু গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি না হওয়ার পরেও সব বাসের ভাড়া বৃদ্ধির যৌক্তিকতা নেই। আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি, যাতে সহিংসতা বন্ধ হয়। নিরপেক্ষ, অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে যাতে জনগণ ভোটে অংশগ্রহণ করতে পারে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।