মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
গ্রিস অভিযোগ করেছে তুরস্ক অভিবাসীদের এনে দেশটির জলসীমায় ছেড়ে দিচ্ছে। এই বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নকে হস্তক্ষেপের অনুরোধ জানিয়েছে তারা। তুরস্কও গ্রিসের বিরুদ্ধে অভিবাসী নিয়ে সাহায্য না করার অভিযোগ এনেছে।
গ্রিস একটা ভিডিও প্রকাশ করেছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, রবারের ডিঙ্গি নৌকায় থাকা অভিবাসীদের গ্রিসের জলসীমায় প্রবেশ করিয়ে দিচ্ছে তুরস্কের কোস্ট গার্ডের একটি নৌযান। এর আগে গ্রিস বহুবার অভিযোগ করেছে, শরণার্থীদের নিয়ে আসা এজেন্টদের তুরস্ক আটকাচ্ছে না। তারা প্রচুর মানুষকে গ্রিসে নিয়ে আসছে। এটা ইইউ চুক্তির বিরোধী।
চুক্তি অনুযায়ী, তুরস্ক শরণার্থী স্রোত আটকাবে। বিনিময়ে তারা ইইউ-র কাছ থেকে কোটি কোটি ডলার অর্থসাহায্য পাবে। গ্রিস কোস্ট গার্ডের তরফে একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে তুরস্কের কোস্ট গার্ডের নৌযান অভিবাসীদের নৌকগুলোকে পথ দেখিয়ে নিয়ে আসছে। তারপর তারা গ্রিসের জলসীমায় তদের ছেড়ে দেয়ার চেষ্টা করছে। গ্রিসের কোস্ট গার্ড তখন প্রতিবাদ করায় তুরস্কের কোস্ট গার্ড ও অভিবাসীদের নৌকা ফিরে যায়।
গ্রিসের সমুদ্র বিষয়ক মন্ত্রীর অভিযোগ, তুরস্ক জলদস্যু রাষ্ট্রের মতো আচরণ করছে। তারা ইইউ-র চুক্তিভঙ্গ করছে। ইইউ-র কাছে দেশটি আবেদন করেছে, তারা যেন তুরস্কের উপর চাপ দেয়, যাতে দেশটি আন্তর্জাতিক দায় মেনে চলে। গ্রিস ও তুরস্ক একে অপরের বিরুদ্ধে ২০১৬ সালের চুক্তিভঙ্গেরঅভিযোগ এনেছে। তুরস্ক জানিয়েছে, গ্রিস কোনো সহযোগিতা করছে না। তারা শরণার্থীদের সঙ্গে অমানবিক ব্যবহার করছে।
মিডিয়া ও মানবাধিকার সংগঠনগুলো শরণার্থীদের প্রতি গ্রিসের মনোভাবের সমালোচনা করেছে। সাংবাদিক সম্মেলনে গ্রিসের প্রধানমন্ত্রীকে ডাচ সাংবাদিক ইনগবর্গ বিউগেল বলেন, অভিবাসীদের নিয়ে তিনি যে সব কথা বলছেন তা মেনে নেয়া যায় না। অভিবাসীদের পুশব্যাক করা নিয়ে তিনি মিথ্যা কথা বলছেন। জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনএইচসিআর এর আগে অভিযোগ করেছে, গ্রিসই তাদের স্থল ও জলসীমা থেকে অভিবাসীদের জোর করে তুরস্কে পাঠাচ্ছে।
জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি বুঝতে পারছি, নেদারল্যান্ডসে রাজনীতিকদের প্রতি সরাসরি প্রশ্ন করার সংস্কৃতি আছে। আমি এটাকে শ্রদ্ধা করি। কিন্তু আপনি এখানে বসে আমাকে ও গ্রিসের মানুষকে অপমান করবেন, তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করবেন এটা মেনে নেয়া যায় না।’ ডাচ সাংবাদিক তখন বলেন, গ্রিসে অভিবাসীদের অবস্থা খুবই খারাপ। প্রধানমন্ত্রী জবাব দেন, গ্রিস খুব কড়া কিন্তু ন্যায্য অভিবাসন নীতি নিয়ে চলে। সূত্র: রয়টার্স, এপি, এএফপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।