মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইরাক থেকে আসা শরণার্থীদের বেআইনিভাবে পোল্যান্ডে ঢোকার ব্যবস্থা করে দিচ্ছে বেলারুশ। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এই নিয়ে সোমবার উত্তাল হয় সীমান্ত।
ভিডিও-তে দেখা যায়, প্রায় তিন হাজার শরণার্থী বেলারুশের সীমান্ত দিয়ে পোল্যান্ডে ঢোকার চেষ্টা করছে। তাদের রাস্তা দেখিয়ে দিচ্ছে বেলারুশের সেনা। শরণার্থীদের হাতে ফেন্স কাটার। পুলিশের সঙ্গে লড়াই করার অস্ত্রও আছে তাদের হাতে। সে সবও বেলারুশ তাদের হাতে তুলে দিয়েছে বলে অভিযোগ। সোমবার এই শরণার্থীদের সঙ্গে রীতিমতো সংঘর্ষ হয় পোল্যান্ডের সীমান্তরক্ষীদের। কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুঁড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করা হয়। তবে পোল্যান্ড জানিয়েছে, বেশ কয়েক জায়গায় ফেন্সের ক্ষতি হয়েছে।
কয়েকটি ভিডিও ফুটেজ দেখিয়ে পোল্যান্ড দাবি করেছে, বেলারুশ ইচ্ছাকৃতভাবে এ কাজ করছে। শরণার্থীদের তারা ইউরোপে ঢোকানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। এবং সে কারণে তাদেরই পরিকল্পনায় পোল্যান্ডের এই শরণার্থী রুট তৈরি হয়েছে। যে ভিডিও-র কথা বলা হচ্ছে, তা স্থানীয় কিছু সংবাদমাধ্যমের বলে দাবি করা হচ্ছে। কিন্তু সত্যতা ডিডাব্লিউ যাচাই করতে পারেনি। ভিডিও-তে দেখা যাচ্ছে, কীভাবে শরণার্থীদের বেলারুশের পুলিশ নেতৃত্ব দিয়ে সীমান্ত পর্যন্ত পৌঁছে দিচ্ছে। এরপর সীমান্ত পেরনোর পরামর্শ দিচ্ছে। সংঘর্ষের পর অবশ্য সীমান্তেই ক্যাম্প তৈরি করে আছেন শরণার্থীরা।
এই শরণার্থীরা মূলত ইরাক থেকে এসেছেন। কুর্দ সম্প্রদায়ের এই মানুষরা ইরাক থেকে বেলারুশ হয়ে পোল্যান্ডে ঢোকার চেষ্টা করছেন। এর আগে এই রুট দিয়ে শরণার্থীরা যাতায়াত করতেন না বলে পোল্যান্ডের দাবি। পোল্যান্ডের অভিযোগ, ইউরোপীয় ইউনিয়নের উপর চাপ সৃষ্টি করার জন্যই এই রাস্তা তৈরি করেছে বেলারুশ। শরণার্থীদের ঢুকিয়ে তারা পোল্যান্ড-সহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের একাধিক দেশে বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা করছে।
বেশ কিছুদিন ধরেই এই অভিযোগ করছে পোল্যান্ড। তাদের বক্তব্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন বেলারুশের রাষ্ট্রপ্রধান লুকাশেঙ্কোর উপর চাপ সৃষ্টি করছে। বেলারুশের উপর একাধিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। তারই বদলা নেওয়ার চেষ্টা করছে বেলারুশ। শরণার্থী ঢুকিয়ে তারা পাল্টা ইউরোপীয় ইউনিয়নের উপর চাপ তৈরি করছে।
শুধু পোল্যান্ড নয়, ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রধান উরসুলা ফন ডেয়ার লাইয়েনও একই অভিযোগ করেছেন। বেলারুশের উপর নিষেধাজ্ঞা আরো কড়া হতে পারে বলে তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন। মঙ্গলবার ইইউ-র একাধিক দেশের সঙ্গে তার বৈঠক করার কথা। জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রীও একই অভিযোগ করেছেন। পোল্যান্ডকে সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। বস্তুত এর আগেও পোল্যান্ড-জার্মান সীমান্তে পোল্যান্ডের সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে সাহায্য করেছে জার্মান প্রশাসন। জার্মানির বক্তব্য, শরণার্থীরা পোল্যান্ড দিয়ে জার্মানি ঢোকার চেষ্টা চালাচ্ছেন।
এদিকে গত কয়েকমাস ধরেই শরণার্থীদের ঠেকাতে সীমান্তে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে রেখেছে পোল্যান্ড। বেশ কিছু শরণার্থীকে সীমান্ত থেকে ঠেলে বেলারুশে ঢুকিয়েও দেয়া হয়েছে। মানবাধিকার সংগঠনগুলির বক্তব্য, দুই দেশের রাজনৈতিক সংঘাতের মধ্যে সমস্যায় পড়ছেন শরণার্থীরা। প্রবল ঠান্ডায় জঙ্গলের মধ্যে তাঁবু বানিয়ে থাকতে হচ্ছে তাদের। বহু শরণার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ছেন বলেও জানিয়েছে তারা। সূত্র: রয়টার্স, এএফপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।