Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

টিটিপির সাথে সম্পূর্ণ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত পাকিস্তান

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৯ নভেম্বর, ২০২১, ১২:০০ এএম

পাকিস্তানের তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী গতকাল বলেছেন যে, পিটিআই সরকার তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তানের (টিটিপি) সাথে একটি ‘সম্পূর্ণ যুদ্ধবিরতি’ বিষয়ে একটি চুক্তিতে পৌঁছেছে। তিনি বলেন, প্রতিবেশী তালেবান নিয়ন্ত্রিত আফগানিস্তানের কর্তৃপক্ষ আলোচনায় সহায়তা করেছে। চৌধুরী এক ভিডিও বিবৃতিতে বলেছেন, ‘আলোচনার অগ্রগতির সাথে যুদ্ধবিরতি অব্যাহত থাকবে’।
সংবিধান ও আইনের সীমার বাইরে কোনো সরকার কোনো আলোচনা করতে পারে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকার এবং টিটিপি উভয়েই সমঝোতা অনুযায়ী সম্পূর্ণ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। তিনি বলেন, আলোচনার সময় রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় শান্তি, সামাজিক ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বিবেচনায় রাখা হবে। তিনি আরো বলেন, ‘এ এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের কখনোই উপেক্ষা করা হবে না এবং এসব আলোচনায় স্থানীয় জনগণকে আস্থায় নেওয়া হবে’।
পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী বলেন, আলোচনায় অগ্রগতির পরিপ্রেক্ষিতে যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানো হবে। ‘এটি একটি স্বাগত সূচক যে, দেশের ক্ষতিগ্রস্থ এলাকাগুলো এখন দীর্ঘকাল পরে সম্পূর্ণ শান্তির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে’। তিনি বলেন, আফগান অন্তর্বর্তী সরকার এ আলোচনায় সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে। ফাওয়াদ স্পষ্ট করেছেন যে, গত মাসে একটি সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ঘোষণার সাথে সঙ্গতি রেখে নিষিদ্ধ টিটিপির সাথে পাকিস্তানের আলোচনা শুরু হয়েছিল।
ইসলামাবাদ দ্বিমুখী কৌশল নিয়ে তালেবান সরকারের সঙ্গে সমঝোতায় পৌঁছেছে বলে মনে করা হচ্ছে। তালেবান সরকারের অনুরোধে পাকিস্তান আলোচনার সুযোগ দিতে রাজি হয়েছে। যদি সেই প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়, তালেবান সরকার টিটিপি এবং পাকিস্তানের জন্য হুমকি অন্যান্য গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সামরিক ব্যবস্থা নেবে।
আফগান তালেবানরা কাবুলের দ্বারপ্রান্তে আসার কয়েকদিন আগে পাকিস্তান ইতোমধ্যেই টিটিপি এবং বালুচ গোষ্ঠীগুলোর মতো সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর সাথে মোকাবিলা করার জন্য সরকার-ইন-ওয়েটিং এর সাথে আলোচনা শুরু করেছিল যা প্রতিবেশী দেশ থেকে বছরের পর বছর ধরে কাজ করছে।
তালেবান নেতৃত্বের সাথে তাদের কথোপকথনে পাকিস্তানি কর্মকর্তারা স্পষ্ট দাবি করেছেন যে, এসব গোষ্ঠীকে কেবল কাজ করার জায়গা থেকে বঞ্চিত করতে হবে না বরং তাদের বিরুদ্ধে সামরিক ব্যবস্থাও চাওয়া হবে।
১৫ আগস্ট তালেবান কাবুল দখল করার পর পাকিস্তান তাদের প্রত্যর্পণ চাওয়া মোস্ট ওয়ান্টেড সন্ত্রাসীদের একটি তালিকা শেয়ার করেছে। তালেবান নেতৃত্ব টিটিপি এবং এর সহযোগীদের সাথে আলোচনা শুরু করার জন্য পাকিস্তানকে তাদের ভাল অফিসের প্রস্তাব দিয়ে একটি প্রস্তাব নিয়ে এসেছিল। কিন্তু এই কর্মকাণ্ডের সাথে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্রের মতে, একই সময়ে, অন্তর্বর্তীকালীন তালেবান সরকার সেই গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, যারা পুনর্মিলনে ইচ্ছুক ছিল না।
এ কারণেই পাকিস্তান টিটিপির সাথে আলোচনা শুরু করেছিল। দুই পক্ষ অন্তত তিনটি মুখোমুখি বৈঠক করেছে বলে জানা গেছে। একটি কাবুলে অনুষ্ঠিত হয় এবং অন্য দুটি খোস্তে।
হাক্কানি নেটওয়ার্কের প্রধান সিরাজুদ্দিন হাক্কানি মধ্যস্থতার ভূমিকা পালন করেছেন বলে ধারণা করা হয়। আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করা না হলেও প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, পাকিস্তান কয়েক ডজন সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর বন্দীর মুক্তির বিনিময়ে টিটিপি এক মাসব্যাপী যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করতে সম্মত হয়েছে। সূত্র : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পাকিস্তান


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ