মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের উরির সেনাছাউনিতে হামলার পর পাকিস্তানকে কড়া জবাব দেয়ার জন্য এখনো চাপে রয়েছে নরেন্দ্র মোদির সরকার। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারত কী কী পদক্ষেপ নিতে পারে তা নিয়ে নানা আলোচনা চলছে। গত ১৮ সেপ্টেম্বর উরির সেনাছাউনিতে সন্ত্রাসী হামলায় ১৯ জন ভারতীয় সেনাসদস্য নিহত হন। হামলার জন্য পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গিদের দায়ী করে ভারত। উরি হামলার জবাবে গত ২৯ সেপ্টেম্বর পাকিস্তান ভূখ-ের মধ্যে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালিয়েছে বলে দাবি করেছে ভারত। তবে কথিত এই অভিযানের পরও ভারতে বেশ কয়েকটি হামলা হয়েছে। সীমান্তে দুই দেশের মধ্যে চলছে গুলিবিনিময়। ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সৃষ্টি হয় চরম উত্তেজনা। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি থেকে শুরু করে দেশটির ক্ষমতাসীন দল বিজেপির মন্ত্রী, এমপি ও নেতাদের কাছ থেকে আসে হুংকার। তাঁরা পাকিস্তানকে দাঁতভাঙা জবাব দেয়ার হুমকি দিয়েই যাচ্ছে।
ভারতীয় বিশ্লেষকরা বলছেন, পাকিস্তানকে শায়েস্তা করার জন্য ভারতের সামনে নানা বিকল্প আছে। এর মধ্যে সামরিক, কূটনৈতিক, অর্থনৈতিক ও কৌশলগত পদক্ষেপ অন্যতম। কাশ্মীরে দায়িত্ব পালন করা অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা লে. জেনারেল সৈয়দ আতা হাসনাইনের মতে, ভর্ৎসনা-ধিক্কার আর কাজে আসছে না। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের দিক থেকে কূটনৈতিক ও সামরিক উভয় ধরনের পদক্ষেপ নেয়া উচিত। পদক্ষেপ নিতে হবে সতর্কতার সঙ্গে, পাকিস্তানের ফাঁদে পা দিয়ে নয়। উরি হামলার প্রত্যুত্তরে পাকিস্তানের ভেতরে ভারতের চালানো কথিত সার্জিক্যাল স্ট্রাইককে সফলতা হিসেবে প্রচার করছে নয়াদিল্লি। ভারতীয় কর্তৃপক্ষের ভাষ্য, এই অভিযানে পাকিস্তান পুরোপুরি তাজ্জব হয়ে গেছে। কিন্তু ভারতের এই দাবি অসত্য বলে উড়িয়ে দিয়ে পাকিস্তান এই অভিযানের সত্যতাই নাকচ করে দিয়েছে। পাকিস্তান বরং উল্টা ভারতী সেনা হত্যার দাবি করেছে। পাকিস্তানের প্রখ্যাত সাংবাদিক হামিদ মীর নয়াদিল্লির দাবিকে ডাহা মিথ্যা প্রপাগা-া অভিহিত করে ভারতকে মিথ্যাবাদী বলে অভিযোগ তুলেছেন।
ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে ক্ষতি ছাড়া কোনো ইতিবাচক সমাধান আসবে বলে মনে করেন না বিশ্লেষকরা। পাকিস্তানও যে পরমাণু শক্তিধর দেশ, সে কথা ভারতকে বিবেচনায় রাখতে হবে। সাম্প্রতিক উত্তেজনার মধ্যে আকারে-ইঙ্গিতে ভারতকে হুশিয়ার করে দিয়েছে পাকিস্তান। দেশটির পক্ষ থেকে বলা হয়, পারমাণবিক অস্ত্র সাজিয়ে রাখার জন্য নয়; প্রয়োজনে তা ব্যবহার করবে ইসলামাবাদ। পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গিদের দমনে ভারতের প্রকাশ্য বা গোপন সামরিক পদক্ষেপের পক্ষে কোনো কোনো ভারতীয় বিশ্লেষক। কেউ কেউ ইসলামাবাদের মতো পাল্টা কৌশল নেয়ারও পক্ষে। তা ছাড়া প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, নজরদারি কার্যক্রম ও গোয়েন্দা তৎপরতা জোরদারের মাধ্যমে ভারতের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সুসংহত করার পরামর্শ রয়েছে।
পাকিস্তানকে কোণঠাসা করতে দেশটির বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক পদক্ষেপের বিষয়টি নয়াদিল্লির সক্রিয় বিবেচনায় রয়েছে বলে জানা যায়। সিন্ধু চুক্তি রদ করে পাকিস্তানকে পানিতে মারার কৌশল গ্রহণের জন্য মোদি সরকারের কাছে অনেকে দাবি তুলেছেন। তবে এই কৌশলের ব্যাপারে ভারতের নিরাপত্তা ও পানি বিশেষজ্ঞদের আপত্তি রয়েছে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার ক্ষেত্রে ভারতকে চীনের কথাও মাথায় রাখতে হবে। এখানে দীর্ঘমেয়াদি স্বার্থের একটি বিষয়টি রয়েছে, যা বিবেচনায় রাখাও দরকার। ইন্ডিয়া টুডে, ওয়েবসাইট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।