বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
দক্ষিণাঞ্চলে ১৮ বছরের উর্ধে প্রায় ২৭ ভাগ মানুষকে ইতোমধ্যে করোনা ভ্যাকসিনের দুই ডোজের আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে। ১ম ডোজ প্রদান করা হয়েছে প্রায় ৩০ভাগের কাছে। ৫ নভেম্বর থেকে দক্ষিণাঞ্চলের সহশ্রাধীক কমিউনিটি ক্লিনিকে ভ্যাকসিন প্রদান শুরু হয়েছে, চলবে ১১ নভেম্বর পর্যন্ত। পাশাপাশি উপজেলা হেলথ কমপ্লেক্স ও হাসপাতাল ছাড়াও বরিশাল সিটি করপোরেশন সহ দক্ষিণাঞ্চলের সবগুলো পৌরসভায় ওয়ার্ড ভিত্তিক ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রমও চলমান রয়েছে। ১১ নভেম্বরের মধ্যে দক্ষিণাঞ্চলের প্রায় ৩০ভাগ মানুষকে দুই ডোজ ভ্যাকসিনের আওতায় আনার ব্যাপারে আশাবাদী স্বাস্থ্য বিভাগের দায়িত্বশীল মহল। ডিসেম্বরের মধ্যে এ অঞ্চলের ১৮ উর্ধের অন্তত ৪০ভাগ মানুষকে করোনা ভ্যাকসিনের আওতায় আনার লক্ষ্যে কাজ করছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
গত বছর ১১ মার্চ দক্ষিণাঞ্চলে প্রথম করেনা রোগী শনাক্তের পাশাপাশি মৃত্যুর খবর আসে ১৮ মার্চ। এবছরের ৭ নভেম্বর পর্যন্ত সরকারী হিসেবে দক্ষিণাঞ্চলের ৬টি জেলায় ২ লাখ ২২ হাজার ৬৫০ জনের নমুনা পরিক্ষায় ৪৫ হাজার ২৭৮ জনের দেহে করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে। এপর্যন্ত গড় শনাক্তের হার ২০.৩৫% হলেও চলতি মাসে তা প্রায় ১%-এর নিচে নেমে এসছে। অথচ গত জুলাই মাসে বরিশাল শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজের আরটিÑপিসিআর ল্যাবে শনাক্তের হার প্রায় ৭৫%-এ উঠে গিয়েছিল। রোববার পর্যন্ত দক্ষিণাঞ্চলে মোট মৃত্যু হয়েছে ৬৭৯ জনের। গড় মৃত্যুর হার ১.৫০%।
তবে গত মাসে দক্ষিণাঞ্চলে মোট মৃত্যুর সংখ্যা ছিল মাত্র দুজন। যা জুলাই মাসে ছিল প্রায় দেড়শ। ঐ মাসে আক্রান্তের সংখ্যাও ছিল প্রায় ১৫ হাজার। অথচ গত মাসে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল মাত্র ২১৭জন। আর চলতি মাসের প্রথম ৭ দিনে দক্ষিণাঞ্চলে মোট শনাক্তের সংখ্যা দাড়িয়েছে মাত্র ১৫ জনে। কোন মৃত্যু সংবাদ নেই।
তবে এখনো দক্ষিনাঞ্চলের ৬টি জেলার মধ্যে মহানগরীর সুবাদে বরিশাল জেলাতেই আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা সর্বাধীক। মহানগরীতে ১০২ জন সহ বরিশাল জেলায়ই এপর্যন্ত ২৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর নগরীতে প্রায় ১১ হাজার সহ বরিশাল জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৮ হাজার ২৯৮ ।
প্রায় ১ কোটি জনসংখ্যার দক্ষিণাঞ্চলে ১৮ ও তদোর্ধ বয়সের জনসংখ্যা প্রায় ৭০ লাখ। গত ৭ ফেব্রুয়ারী থেকে বরিশাল মহানগরী সহ দক্ষিণাঞ্চলের ৬টি জেলা সদরে করোনা ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রম শুরু হয়। নানা প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে ৭ নভেম্বর পর্যন্ত প্রথম ডোজের প্রায় সাড়ে ২৬ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন প্রদান করা হলেও দুটি ডোজ সম্পন্ন হয়েছে প্রায় ২০ লাখ মানুষের দেহে। এরমধ্যে বরিশাল মহানগরীর দুই ২ লাখ ১২ হাজার জনের দেহে দুই ডোজ ভ্যাকসিন প্রদান সম্ভব হয়েছে বলে নগর ভবন জানিয়েছে।
তবে এখনো দক্ষিণাঞ্চলের জনসংখ্যার একটি বড় অংশের মধ্যে করোনা ভ্যাকসিন গ্রহনে অনিহার সাথে ভীতিও আছে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় সরকার প্রশাসনের দায়িত্বশীল ভ’মিকার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন স্বাস্থ্য বিভাগের দায়িত্বশীল মহল। পাশপাশি স্বাস্থ্য বিধি অনুসরন সহ করেনা সম্পর্কে আমজনতাকে সজাগ রাখতেও স্থানীয় সরকার প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ ভ’মিকার কথা স্মরন করিয়ে দেয়া হয়েছে।
এদিকে স্বাস্থ্য বিভাগের হিসেব অনুযায়ী রোববার পর্যন্ত দক্ষিণাঞ্চলে যে ৪৫ হাজার ২৭৮ জন করোনা অঅক্রান্ত হয়েছেন তার মধ্যে ভোলাতেই ৬ হাজার ৮৫৯জন আক্রান্ত ও ৯১ জনের মৃত্যু হয়েছে। পটুয়াখালীতে আক্রান্তের সংখ্যা ৬ হাজার ২২৪। মারা গেছেন ১০৯ জন। পিরোজপুরে ৫ হাজার ২৮৯ জন আক্রান্তের মধ্যে ৮৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। ঝালকাঠীতে ১৯ হাজার ৮২ জনের নমুনা পরিক্ষায় ৪ হাজার ৬৫৩ জনের দেহে করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে। দক্ষিণাঞ্চলের সবচেয়ে ছোট এ জেলাটিতে সংক্রমন হার সর্বাধীক ২৪.৩৮%। জেলাটিতে এপর্যন্ত মারা গেছেন ৬৯ জন। সর্বাধীক মৃত্যুহারের বরগুনাতে এপর্যন্ত ৩ হাজার ৯৫৫ জন আক্রন্তের মধ্যে ৯৭ জন মারা গেছেন । গড় মৃত্যুহার ২.৪৫%। অথচ সমগ্র দক্ষিণাঞ্চলে গড় মৃত্যুহার এখনো ১.৫০%।
অপরদিকে গত ২৪ ঘন্টায় ১৭ জন সহ দক্ষিনাঞ্চলের ৬ জেলায় এপর্যন্ত সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৪৩ হাজার ৫১৫ জন। গড় সুস্থতার হার এখন ৯৬.১১%
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।